উত্তরঃ নন্দিত কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাসের বহুল পরিচিত ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হাড্ডি খিজির। শরীরের অক্ষমতার পরিচয় ও অবয়ব বহন করে বলে তার এরূপ নামকরণ।
খিজির রিকশা ও স্কুটার চালানাে শেখে রহমত উল্লাহর গ্যারেজে। পাশাপাশি আত্মস্থ করে স্কুটার মেরামতের কাজ। আলাউদ্দিন কারাগারে গেলে খিজির তার গ্যারেজও দেখাশােনা করতে থাকে। খিজির আলাউদ্দিনের মতাে স্বাধীনতার পক্ষে। এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক। ৬-দফা আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের মৃতদেহ মিলিটারি নিয়ে গেলে খিজির রাগান্বিত হয়ে যায়। সে সময়ে সমগ্র ঢাকা জুড়ে যেমন- নাখালপাড়া, মালীবাগে বিশাল বিশাল মিছিল চলতে থাকে, তখন সে মিছিলে। যােগ দেয় খিজির। আগরতলা মামলার বিচারককে পুড়িয়ে মারতে চায় সে। ভিক্টোরিয়া পার্কের মিটিং অভিমুখে চলতে থাকা মিছিলে খিজির গুলিবিদ্ধ হয়। সন্ধ্যায় তার ঠিকানা হয় ড্রেনের ধার। খিজির পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়, মিলিটারিরা তুলে নিয়ে যায় তার লাশ।
চলতে থাকা মুক্তির আন্দোলনে আমাদের শ্রমজীবী সম্প্রদায়ের অবদানকে কোনােভাবে অস্বীকার করা চলে না; তারা আলােবর্তিকা রূপে আমাদের স্বাধীনতাকে বাস্তবতার ভূমিতে অবতীর্ণ করিয়েছেন। খিজির এই মহান স্বাধীনতা কামী শ্রমজীবীদের প্রতিনিধি যারা আত্মাহুতির মাধ্যমে আমাদের চিরঋণী হতে বাধ্য করেছেন।
Leave a comment