ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় মানবশরীরে ভাষার প্রকৃতি ও গঠনগত অবস্থান নিয়ে আলােচনা করা হয়, তাকে বলা হয় স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান (Neuro-Linguistics)। ভাষার সঙ্গে মানবমস্তিষ্কের সম্পর্ক এবং মানুষের ভাষা ব্যবহারগত সমস্যা—এই দুই-ই স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানের আলােচ্য বিষয়। স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, ভাষাসি্ধ যুক্তিক্রম, পরিকল্পনা, আত্মপ্রকাশ, বাচিক সৃজনক্ষমতা প্রভৃতি অর্থাৎ ভাষার অনুভব, জ্ঞান আহরণ, বলা, লেখা, পড়া-প্রভৃতি সব কিছুই মস্তিষ্কের সঙ্গে সম্পর্কিত। মস্তিষ্কের বাম গােলার্ধ বলা, লেখা, পড়া, গণনা, বিশ্লেষণ, চিন্তাভাবনা—প্রভৃতি বিষয়গুলি এবং ডান গােলার্ধ বাকি বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ মস্তিষ্কের বাম গােলার্ধের স্নায়ুর গঠন ভাষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সেকারণেই দেখা যায় যে, মাথার বাঁ-দিকে আঘাত লাগলে বা সেরিব্রাল স্টোক হলে মানুষের কথা বলার ক্ষমতা লােপ পায় বা হ্রাস পায়। স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান এই ধরনের সমস্যা ও তার প্রতিকারেরও পথনির্দেশ করে। স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানের দু প্রকার কার্যকল্প(১) ভাষা শেখা (Language Acquisition) ও প্রক্রিয়াকরণ (Processing) ও (২) ভাষাগত সমস্যার সংস্কার (Language Repairment) স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান ভাষাচর্চা ও ভাষা-গবেষণা ছাড়াও ভাষার ব্যবস্থাগত (Systemic), চলনগত (Movement) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য (Sensory), কোশীয় (Cellular) প্রভৃতি নানা বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

স্নায়ুবিজ্ঞানের ধারাবাহিক চর্চা স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে। ভাষার সৃষ্টি, প্রয়ােগ এবং তার সংস্কারের নানা দিকের আলােচনার অবকাশ রয়েছে স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানে।

নৃভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে আলােচনা করাে। 

শৈলীবিজ্ঞান কাকে বলে? শৈলীবিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

শৈলীবিজ্ঞানের বিশেষ বিশেষ প্রকরণের নাম লেখাে এবং নির্বাচন প্রকরণ-এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 

অভিধান বিজ্ঞান কাকে বলে? অভিধান কত রকমের হতে পারে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। 

অথবা, অভিধান বিজ্ঞান কী? বিষয়টি ভাষাবিজ্ঞান অনুসারে ব্যাখ্যা করাে। 

ধ্বনিমূল সম্পর্কে তােমার ধারণাটি সংক্ষেপে স্পষ্ট করাে। 

ধ্বনিমূলের স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য (Distinctive feature) উদাহরণ সহযােগে বুঝিয়ে দাও। 

ধ্বনিতত্ত্বে ন্যূনতম শব্দজোড়ের (Minimal pair) ভূমিকা সবিস্তারে লেখাে। 

সহধ্বনির (Allophone) স্বরূপ বিশ্লেষণ করাে। 

বিভাজ্য ধ্বনিমূল ও অবিভাজ্য ধ্বনিমূলের তুলনামূলক আলােচনা করাে। 

উদাহরণ সহযােগে ধ্বনিমূলের অবস্থান (Distribution) ব্যাখ্যা করাে। 

কয়েকটি পদ্ধতির সাহায্যে খুব সংক্ষেপে ভাষায় উচ্চারিত বিভিন্ন ধ্বনির মধ্যে ধ্বনিমূল ও সহধবনি শনাক্ত করাে। 

অথবা, ভাষার ধ্বনিমূল এবং সহধ্বনি শনাক্তকরণের প্রধান তিনটি পদ্ধতির আলােচনা সংক্ষেপে করাে। 

উদাহরণসহ ধ্বনিমূল এবং সহ ধ্বনির সম্পর্ক নির্ণয় করাে।