স্থান বা দূরত্ব ও গভীরতা প্রত্যক্ষণের কারণগুলিকে দুভাগে ভাগ করা যায়। এগুলি হল- শারীরবৃত্তীয় এবং মনস্তাত্ত্বিক। শারীরবৃত্তীয় কারপুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল কেন্দ্রীভবন, সমন্বয়সাধন বা উপযােজন এবং রেটিনার অসমতা।
(১) কেন্দ্রীভবন: বস্তু যত কাছে থাকে আমাদের চোখ দুটির কেন্দ্রাভিমুখিতা তত বাড়ে। বস্তু যত দূরে থাকে ততই চোখের কেন্দ্রাভিমুখিতা কমে। এর ফলে চোখের পেশিতে বিভিন্ন রকমের সংবেদনের সৃষ্টি হয় এবং দূরত্বের প্রত্যক্ষণ হয়ে থাকে।
(২) উপযোজন: দূরের কোনাে বস্তুকে ঠিকমতাে দেখার জন্য আমাদের চক্ষুলেন্সের ঘনত্ব বাড়ে বা কমে। লেন্সের সিলিয়ারি পেশির এই উপযােজনের জন্যই দূরত্বের প্রত্যক্ষণ হয়।
(৩) রেটিনার অসমতা: আমাদের দুটি চোখের মধ্যে অবস্থানগত কিছুটা পার্থক্য থাকায় দুটি রেটিনায় প্রতিবিম্ব গঠনের ক্ষেত্রে কিছু অসমতা ঘটে। আমরা বাঁ চোখ দিয়ে কোনাে বস্তুর বাঁ দিকটা বেশি করে দেখি, আবার ডান চোখ দিয়ে বস্তুর ডান দিকটা বেশি করে দেখি। তাই দুটির মধ্যে কিছু ভেদ সৃষ্টি হয়। একে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলে রেটিনাল ডিসপ্যারিটি বা রেটিনার অসমতা। যার জন্য বস্তুর গভীরতার প্রত্যক্ষপ হয়।
বিভিন্ন ধরনের ধারণা গঠনে সম্ভাব্য সহায়ক বিষয়গুলি সম্পর্কে নীচে আলােচনা করা হল一
(১) সময়-সম্পর্কিত ধারণা: ঘড়ির সাহায্য নিলে এই ধরনের ধারণা গঠনের কাজটি অপেক্ষাকৃত সহজ হয়।
(২) সংখ্যা-সম্পর্কিত ধারণা: সংখ্যার সাহায্যে খেলা বা সংখ্যা-সম্পর্কিত ধাঁধার উত্তর তৈরি প্রভৃতির সাহায্য নিলে এই জাতীয় ধারণা গড়ে তােলা তুলনামূলকভাবে সহজ হয়।
(৩) উষ্ণতা সম্পর্কিত ধারণা: নানা ধরনের থার্মোমিটারের সাহায্য নিলে উষ্ণতার ধারণা গঠনের কাজটি সহজে করা যায়।
(৪) বর্ণবিষয়ক ধারণা: বিভিন্ন রঙের পােশাক-পরিচ্ছদ বা বস্তুর সাহায্য নিলে এই ধরনের ধারণা গঠনে সুফল পাওয়া যায়।
(৫) সামাজিক পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা: নানাপ্রকার সামাজিক অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিলে এই প্রকারের ধারণা গঠনের কাজটি সাবলীলভাবে ঘটে।
(৬) প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা: পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান, যেমন-জল, মাটি প্রভৃতি নিয়ে খেলাধুলাে করলে বা ওই সমস্ত উপাদান নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করলে এই প্রকার ধারণা সহজেই গঠিত হয়।
Leave a comment