স্কোয়াল শব্দের অর্থ ক্ষণস্থায়ী দমকা ঝড়। এর আবির্ভাব ও প্রস্থান উভয়ই অকস্মাৎ। এর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় 16 নটিক্যাল মাইল বা তার বেশি। নাতিশীতােয় ঘূর্ণবাতের প্রবাহপথের ডানদিকে একটি রেখা বরাবর অংসখ্য বজ্ঝঞ্চা কক্ষের সৃষ্টি হয়, একে স্কোয়াল লাইন বলে। একটি রেখা বরাবর অসংখ্য ঝঙ্কা কক্ষ সৃষ্টি হয় বলে এক-একটি কক্ষ অন্তর্হিত হলেও ওই অঞ্চলে বহুক্ষণ ঝঞ্াবিক্ষুদ্ধ আবহাওয়া বজায় থাকে। নাতিশীতােয় ঘূর্ণবাতের প্রবাহপথে প্রায়শই এই স্কোয়াল লাইনের অস্তিত্ব দেখা যায়।

[1] বিস্তৃতি : ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের ব্যাস 200 কিমি থেকে 700 কিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর গভীরতা হয় প্রায় 12 কিমি থেকে 16 কিমি।

[2] কেন্দ্রীয় শান্ত অঞ্চলের অবস্থান : ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের একটি বৃত্তকার কেন্দ্র থাকে যেখানে বায়ুর শান্ত অবস্থা বিরাজ করে। একে ঝড়ের চক্ষু বলে। এর ব্যাস সাধারণত 10কিমি থেকে 20 কিমি।

[3] মেঘের আকৃতি : ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতে শত শত কিলােমিটার দীর্ঘ ও কয়েক কিলােমিটার প্রশস্ত নীহারিকার মতাে মেঘের কুণ্ডলী থাকে।

[4] ঘূর্ণবাতের আকৃতি : ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত গােলাকার থেকে ডিম্বাকৃতিতে পরিণত হয়।

[5] ঘূর্ণবাতের চক্ষুপ্রাচীর : ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের বৃত্তাকার কেন্দ্রের চারপাশে কিউমুলােনিম্বাস মেঘের একটা স্তর বা আবরণ লক্ষ করা যায়। এটি ঘূর্ণবাতের চক্ষুপ্রাচীর নামে পরিচিত।

[6] ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের উল্লম্ব বিন্যাস : উল্লম্ব বিন্যাস অনুযায়ী ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতকে 3টি স্তরে ভাগ করা যায়। যথা一

  • অন্তস্থ স্তর : এই স্তরটি ঘূর্ণবাতের সর্বনিম্ন স্তর। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 3 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত প্রসারিত।

  • মধ্যস্থ স্তর : এই স্তরটি 3 কিমি থেকে 7 কিলােমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত।

  • বহিস্থ স্তর : ঘূর্ণবাতের এই স্তরটি ভূপৃষ্ঠের 7 কিলােমিটার উচ্চতা থেকে ট্রলােপজের নিম্ন সীমানা পর্যন্ত প্রসারিত।