রসায়নে বিশ্লেষণী কাজে নমুনার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিশ্লেষণ পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করা হয়। সেমি মাইক্রো ও মাইক্রো নমুনা বিশ্লেষণের দুটি ভিন্ন পদ্ধতি।
পদ্ধতি দুটির মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ
১. সেমি মাইক্রো পদ্ধতিতে 0.05g – 0.2g কঠিন নমুনা ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে, ম্যাক্রো বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে 0.5g – 2g কঠিন নমুনা ব্যবহার করা হয়।
২. 2ml – 4ml আয়তনের দ্রবণ সেমি মাইক্রো বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু, 20ml – 30ml আয়তনের দ্রবন ম্যাক্রো বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়।
৩. সেমি মাইক্রো পদ্ধতিতে কম পরিমাণ নমুনার প্রয়োজন হয়।
কিন্তু, ম্যাক্রো বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে অধিক পরিমাণ নমুনার প্রয়োজন হয়।
৪. সেমি মাইক্রো পদ্ধতিতে উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমাণ কম হয়।
কিন্তু, ম্যাক্রো পদ্ধতিতে উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমাণ বেশি হয়।
৫. সেমি মাইক্রো পদ্ধতিটি পরিবেশ বান্ধব।
কিন্তু, ম্যাক্রো বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে পরিবেশ দূষিত হয়।
৬. সেমি মাইক্রো পদ্ধতিতে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস এর পরিবর্তে দ্রবণে থায়োঅ্যাসিটামাইড ব্যবহার করা হয়। যা পানির সাথে বিক্রিয়া করে দ্রবণে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস উৎপন্ন করে। যা পরিবেশকে দূষিত করে না।
কিন্তু, ম্যাক্রো বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে কিপ যন্ত্র হতে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
৭. সেমি মাইক্রো বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে সময় কম প্রয়োজন হয়।
কিন্তু, ম্যাক্রো বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে অধিক সময় প্রয়োজন হয়।
৮. সেমি মাইক্রো বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে তরল পরিমাপ করার জন্য সেমি মাইক্রো ক্যাপিলারি টিউব ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু, ম্যাক্রো বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে তরল পরিমাপের জন্য মেজারিং সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়।
Leave a comment