সেবা খাতের সংজ্ঞা:

দেশে কৃষি ও শিল্প যাতের পাশাপাশি বৃহৎ আফারের সেবা রয়েছে। জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সেবা খাতের ভূমিকা অনেক বেশি। এখানে মূলত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, ঢাক ব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা, পনি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি নিয়ে আলোকপাত করা হল। প্রকৃতপক্ষে এ গুলোকে সেবা খাত বলা হয়।

পরিবহণ ও যোগাযোগ খাত: একটি উন্নয়নশীল দেশের টেকসই উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হল আধুনিক, নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ-বান্ধব পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্রমোন্নয়ন। বর্তমান বিশ্বায়ন ও বাজার অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদনের উপকরণ ও উৎপাদনের পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাতকরণ, দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে যুগোপযোগী, সুসংগঠিত ও আধুনিত পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যাবশকীয় ভৌত অবকাঠামো হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃত। পরিবেশ-বান্ধব, নিরাপদ এবং সুলভে মালামাল পরিবহণের নির্ভরশীল মাধ্যম হিসেবে রেলের ভূমিকা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়েকে বাণিজ্যিক ও আর্থিক সফলতা অর্জনে এবং পেশাগত জ্ঞানের ভিত্তিতে পরিচালনার লক্ষ্যে সাংগঠণিক পরিমার্জন, সেক্টর উন্নয়ন প্রকৃতি বিষয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নৌপথের নাব্যতা সংরক্ষণ ও নৌ পথ উদ্ধার, নিরাপদ নৌ-যান চলাচল নিশ্চিতকরণ, অভ্যন্তরীণ নৌবন্দরসমূহের উন্নয়ন, ঢাকার চারপাশের নৌপথ সচলকরণ, অভ্যন্তরীণ নৌপথে কন্টেইনার পণ্য পরিবহণের অবকাঠামো সৃষ্টি, ডিভিটাল পদ্ধতিতে হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট প্রনয়ন ইত্যাদি কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। আকাশ পথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা এবং সীমিত সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ ও আর্ন্তজাতিক গন্তব্যে সার্ভিস পরিচালনা করছে। দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং এর মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সাব-মেরিন কেবল এর মাধ্যমে একটি আধুনিক টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দেশজ উৎপাদনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ‘পরিবহন ও যোগাযোগ’ খাত (স্থল পথ পরিবহন, পানি পথ পরিবহন, আকাশ পথ পরিবহন, সহযোগী পরিবহন যোগ ও সংরক্ষণ এবং ডাক ও তার যোগাযোগ উপ-খাত সমন্বয়ে গঠিত) এর অবদান ১১.২৫ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ৬.৬৮ শতাংশ।