নির্মাণকার্য: প্রশ্নোধৃত অংশে উল্লিখিত রাজমিস্ত্রিরা চিনের প্রাচীর নির্মাণ করেছিল।

কথামুখ : ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতায় কবি প্রথাগত ইতিহাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ইতিহাসের কাহিনি তুলে ধরেছেন পাঠকের সামনে।

নির্মাণকারীর কথা : সাত দরজাওয়ালা থিসের জন্য জগৎজোড়া খ্যাতি পেয়েছে তার নির্মাতা রাজা। কিন্তু চোখের আড়ালে থেকে গেছে সেই নির্মাণকার্যের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা। ঠিক সেভাবেই চিনের প্রাচীর তৈরির যাবতীয় কৃতিত্ব যে রাজমিস্ত্রিদের, তারাও ইতিহাসে কোনাে স্থান পায়নি।

শ্রমিকের মৃত্যুদান : কিন সাম্রাজ্যের আমলে বিদেশি শত্রুর, বিশেষত হুনদের আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্য যে চিনের প্রাচীর তৈরি শুরু হয় এবং পরে হান, সুই কিংবা মিং সাম্রাজ্য যে প্রাচীরকে গড়ে তােলে, তার নির্মাণে অজস্র শ্রমিকের মৃত্যুর সাক্ষ্য ইতিহাসেই পাওয়া যায়। কিন্তু এই ঘটনাও শ্রমজীবী মানুষদের নায়কত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

অন্য ইতিহাস : এই ইতিহাস শুধুই বাইরের উজ্জ্বলতাকে মহিমা দেয়, রাজা অথবা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির জয়ধ্বনি করে। তার আড়ালেই থাকে সাধারণ মানুষের রক্ত-ঘাম-কান্না আর শ্রমের আর-এক ইতিহাস।

অচেনা ইতিহাসের সত্যতা : পুঁজিবাদী সমাজ সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের ইতিহাসকে কখনও স্বীকার করে না। সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে সেই অচেনা ইতিহাসের সত্যতাকে প্রশ্নের আকারে তুলে ধরতে চেয়েছেন কবি ব্রেখট আলােচ্য কবিতায়।