অথবা, সুপরিবর্তনীয় সংবিধান কাকে বলে?
অথবা, সুপরিবর্তনীয় সংবিধান কী?
অথবা, সুপরিবর্তনীয় সংবিধানের সংজ্ঞা দাও।
ভূমিকাঃ প্রত্যেক রাষ্ট্রের নিজস্ব সংবিধান থাকে। সংবিধান হলাে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক নীতি এবং একটি দেশের মেরুদণ্ড স্বরূপ। সংবিধান হলাে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল চালিকাশক্তি। সংবিধানের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। সংবিধান ছাড়া কোন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। সংবিধান হচ্ছে যে কোন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, যা অন্যান্য আইন এবং সরকারকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। প্রতিটি স্বাধীন দেশের জন্য সংবিধান অত্যাবশ্যক।
সুপরিবর্তনীয় সংবিধানঃ আইনসভা যে সংবিধানকে সাধারণ আইন প্রণয়ন পদ্ধতির ন্যায় সংশােধন বা পরিবর্তন করতে পারে, তাকে সুপরিবর্তনীয় সংবিধান বলে। এরূপ সংবিধান পরিবর্তনের জন্য বিশেষ কোন পদ্ধতি অনুসরণের প্রয়ােজন হয় না। সংশােধন পদ্ধতি যখন সহজ হয় তখন তাকে নমনীয় বা সুপরিবর্তনীয় সংবিধান বলা হয়।
প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন রাষ্ট্র দার্শনিকগণ বিভিন্নভাবে সংবিধানের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে কতিপয় সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো-
অধ্যাপক ফাইনার বলেছেন, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রকে সর্বাপেক্ষা সুপরিবর্তনীয় বলে গণ্য করা হয়।”
সুপরিবর্তনীয় সংবিধানের সংজ্ঞা প্রদান করতে গিয়ে অধ্যাপক আর জি গেটেল বলেছেন, “If a constitution may be easily amended by the ordinary law-making body and procedure it may be classed as flexible.”
উদাহরণঃ ইংল্যান্ডের অলিখিত সংবিধান এবং নিউজিল্যান্ডের লিখিত সংবিধান সু-পরিবর্তনীয় সংবিধানের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
উপসংহারঃ বর্তমান বিশ্বের শাসন ব্যবস্থা পর্যালােচনা করলে প্রতীয়মান হয় যে, অধিকাংশ দেশেই এরূপ সংবিধান গৃহীত হয় নি। তা সত্ত্বেও সুপরিবর্তনীয় সংবিধানের গুরুত্বকৈ অস্বীকার করা যায় না। বর্তমান বিশ্বে ইংল্যান্ড সুপরিবর্তনীয় সংবিধানের অন্যতম ধারক ও বাহক। লর্ড ব্রাইস এর ভাষায়, “Flexible constitution bends but does not break.
Leave a comment