মােগল সাম্রাজ্যের অবক্ষয়ের সময় ভারতের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা কয়েকটি আঞ্চলিক শক্তির নাম উল্লেখ করাে।
মােগল সাম্রাজ্যের অবক্ষয়ের সময় ভারতের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা উল্লেখযােগ্য কয়েকটি আঞ্চলিক শক্তি ছিল বাংলা, হায়দ্রাবাদ, মহীশূর, মারাঠা, পাঞ্জাব প্রভৃতি।
অষ্টাদশ শতকে ভারতে আগত কয়েকটি ইউরােপীয় বণিক জাতির নাম লেখাে।
অষ্টাদশ শতকে ভারতে আগত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ইউরােপীয় বণিক জাতি ছিল পাের্তুগিজ, ওলন্দাজ, ইংরেজ, ফরাসি, দিনেমার প্রভৃতি।
কবে, কাদের মধ্যে পলাশির যুদ্ধ হয়েছিল?
পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন হয়েছিল। এই যুদ্ধে একদিকে ছিল বাংলার নবাব সিরাজ-উদদৌলা ও তার ফরাসি জোট এবং অন্যদিকে ছিল কলকাতার বিট্রিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।
বক্সারের যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল?
বক্সারের যুদ্ধ ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ অক্টোবর হয়েছিল। এই যুদ্ধে একদিকে ছিল বাংলার নবাব মিরকাশিম, অযােধ্যার নবাব সুজা-উদদৌলা ও দিল্লির বাদশাহ দ্বিতীয় শাহ আলমের মিলিত বাহিনী এবং অন্যদিকে ছিল কলকাতার হেক্টর মুনরাে-এর নেতৃত্বে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।
মােগল আমলে ভারতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করেন এমন একজনের বক্তব্য উল্লেখ করাে।
ইকতিদার আলম খান তার দ্য মিডল ক্লাসেস ইন দ্য মােগল এম্পায়ার প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন যে, মােগল আমলে সরকারি কর্মচারী, উকিল, শিক্ষক, হাকিম, বৈদ্য প্রভৃতি মধ্যবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিল।
নবাবি আমলে বাংলায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করেন এমন একজনের বক্তব্য উল্লেখ করাে।
অধ্যাপক নরেন্দ্রকৃয় সিংহ মনে করেন যে, নবাবি আমলে বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির অস্তিত্ব ছিল। বাংলায় ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা, শাসন পরিচালনা, পুলিশ বিভাগ, বিচার ব্যবস্থা প্রভৃতির সঙ্গে যুক্ত লােকজন ছাড়াও পেশাদার ব্যাংকের মালিক, বণিক, মহাজন, কবি, সাহিত্যিক, দরবেশ, হাকিম, বৈদ্য প্রমুখ এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিল।
কবে, কার উদ্যোগে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়?
১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে বড়ােলাট লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংসের উদ্যোগে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।
অতীত স্মরণ (Short-Q&A)
উনবিংশ ও বিংশ শতকে উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের প্রসার (Short-Q&A)
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি: নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (Short-Q&A)
ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (Short-Q&A)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশসমূহ (Short-Q&A)
ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগ (Short-Q&A)
অব-উপনিবেশীকরণ (Short-Q&A)
কবে, কার উদ্যোগে বারাণসীতে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
১৭৯১ খ্রি. (মতান্তরে ১৭৯২ খ্রি.) জোনাথান ডানকানের উদ্যোগে বারাণসীতে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
কে, কবে, কোথায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?
বড়লাট লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের ১০ জুলাই কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
কাদের উদ্যোগে শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়?
খ্রিস্টান মিশনারি মার্শম্যান, উইলিয়াম ওয়ার্ড ও উইলিয়াম কেরি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।
শ্ৰীরামপুর ত্রয়ী কাদের বলা হয়?
জোশুয়া মার্শম্যান, উইলিয়াম ওয়ার্ড ও উইলিয়াম কেরিকে ‘শ্রীরামপুর ত্রয়ী বলা হয়।
জেসুইট মিশনারিদের উদ্যোগে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত দুটি কলেজের নাম লেখাে।
জেসুইট মিশনারিদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দুটি কলেজ হল সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং লরেটো হাউস কলেজ।
কবে, কাদের উদ্যোগে কলকাতায় হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ডেভিড হেয়ার, রাজা রামমােহন রায়, বর্ধমানের মহারাজা তেজচন্দ্র রায়, প্রসন্নকুমার ঠাকুর, বদ্দিনাথ মুখােপাধ্যায়, রাজা রাধাকান্ত দেব, বৈদ্যনাথ মুখােপাধ্যায়, স্যার এডওয়ার্ড হাইড ইস্ট প্রমুখের উদ্যোগে কলকাতায় হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। অবশ্য হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠায় রামমােহন রায়ের অবদানের কথা ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার অস্বীকার করেছেন।
আলেকজান্ডার ডাফ কে ছিলেন?
আলেকজান্ডার ডাফ ছিলেন একজন স্কটিশ মিশনারি। তিনি ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটাতে উদ্যোগ নেন এবং কলকাতায় স্কটিশ চার্চ কলেজ স্থাপন করেন।
কে, কবে পটলডাঙ্গা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন?
ডেভিড হেয়ার ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় পটলডাঙ্গা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।
কার উদ্যোগে এবং কী উদ্দেশ্যে ‘ক্যালকাটা স্কুল বুক সােসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়?
ডেভিড হেয়ারের উদ্যোগে ক্যালকাটা স্কুল বুক সােসাইটি (১৮১৭ খ্রি.) প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা করা।
কে, কবে কলকাতা স্কুল সােসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন?
ডেভিড হেয়ার ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর ‘কলকাতা স্কুল সােসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন।
ভারতের ব্রিটিশ সরকার কবে, কার উদ্যোগে এদেশে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারকে সরকারি নীতি হিসেবে ঘােষণা করে?
ভারতের ব্রিটিশ সরকার ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে বড়ােলাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের সহায়তায় এবং কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন-এর সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলের উদ্যোগে এদেশে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারকে সরকারি নীতি হিসেবে ঘােষণা করে।
চুইয়ে পড়া নীতি বা ক্ৰমনিম্ন পরিশ্রুত নীতি বলতে কী বােঝায়?
কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন-এর সভাপতি মেকলে বলেন যে, ভারতে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটলে তা মধ্যবিত্তদের মাধ্যমে ক্রমে সাধারণ জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। মেকলের এই পরিকল্পিত নীতি ‘চুইয়ে পড়া। নীতি’ বা ‘মনিন্ন পরিশ্রুত নীতি’ (Downward Filtration Theory) নামে পরিচিত।
উড-এর ডেসপ্যাচ কী?
ভারতে ব্রিটিশ সরকারের বাের্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষা সংক্রান্ত এক নির্দেশনামা প্রকাশ করেন যা ‘উড-এর ডেসপ্যাচ’ (Wood’s Despatch) নামে পরিচিত। এই নির্দেশনামা অনুসারে আধুনিক ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতে কোন্ কোন্ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের কলকাতা, বােম্বাই ও মাদ্রাজে মােট তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতের কয়েকজন সমাজ ও ধর্মসংস্কারকের নাম লেখাে।
ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতের কয়েকজন উল্লেখযােগ্য সমাজ ও ধর্মসংস্কারক ছিলেন রাজা রামমােহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, কেশবচন্দ্র সেন, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জ্যোতিবা ফুলে, নারায়ণ গুরু, বীরসালিঙ্গম, স্যার সৈয়দ আহমেদ খান প্রমুখ।
কে, কবে আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন? এই সভার উল্লেখযােগ্য সদস্য কারা ছিলেন?
রাজা রামমােহন রায় ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন। আত্মীয় সভার সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রসন্নকুমার ঠাকুর, নন্দকিশাের বসু, রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ প্রমুখ।
কে, কবে ব্রাহ্মসভা প্রতিষ্ঠা করেন?
রাজা রামমােহন রায় ১৮২৮ (মতান্তরে ১৮২৯) খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মসভা প্রতিষ্ঠা করেন।
ব্রাহ্মসভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
ব্রাহ্মসভা প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পৌত্তলিকতা ত্যাগ করে নিরাকার পরম ব্রয়ের উপাসনা। ব্রাহ্মসভা ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে ‘ব্রাত্যসমাজ’ নাম ধারণ করে।
কে, কবে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেন?
রাজা রামমােহন রায়ের সহায়তায় বড়ােলাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর এক আইনের মাধ্যমে সতীদাহপ্রথা নিষিদ্ধ করেন।
রাজা রামমােহন রায় কর্তৃক প্রকাশিত দুটি সংবাদপত্রের নাম লেখাে।
রাজা রামমােহন রায় কর্তৃক প্রকাশিত দুটি সংবাদপত্র হল বাংলা ভাষায় সম্বাদ কৌমুদী (১৮২১ খ্রি.) এবং ফারসি ভাষায় ‘মিরাৎ-উল-আখবর (১৮২২ খ্রি.)।
রামমােহনের পরবর্তীকালে ব্রাহ্ম আন্দোলনের উল্লেখযােগ্য দুজন নেতার নাম লেখাে।
রামমােহনের পরবর্তীকালে ব্রাহ্ম আন্দোলনের উল্লেখযােগ্য দুজন নেতা ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কেশবচন্দ্র সেন।
কেশবচন্দ্র সেন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি সংগঠনের নাম লেখাে।
কেশবচন্দ্র সেন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি সংগঠন হল ব্রাহ্মবন্ধু সভা (১৮৬০ খ্রি.), সংগত সভা’ (১৮৬০ খ্রি.), ‘ক্যালকাটা কলেজ (১৮৬২ খ্রি.), বামাবােধিনী সভা (১৮৬৩ খ্রি.), ব্রাহ্মিকা সমাজ (১৮৬৫ খ্রি.) প্রভৃতি।
কবে, কাদের উদ্যোগে ‘ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
দেবেন্দ্রনাথ কর্তৃক বহিষ্কৃত হওয়ার পর কেশবচন্দ্র সেন ও তার অনুগামী শিবনাথ শাস্ত্রী, রামকুমার বিদ্যারত্ন, দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়, শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে ‘ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
কবে, কারা সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন?
শিবনাথ শাস্ত্রী, আনন্দমােহন বসু, দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়, দুর্গামােহন দাস প্রমুখ তরুণ ব্রাহ্ম ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মে ‘সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
নববিধান কী? কে, কবে এই নীতি ঘােষণা করেন?
সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ হল ‘নববিধান। ব্রাহ্ম আন্দোলনের নেতা কেশবচন্দ্র সেন ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে নববিধান ঘােষণা করেন।
নব্যবঙ্গ আন্দোলন বলতে কী বােঝায়?
উনিশ শতকে ডিরােজিওর নেতৃত্বে একদল তরুণ পুরােনাে যুক্তিহীন এবং প্রচলিত হিন্দুধর্মের কুসংস্কারগুলি অন্যায় সামাজিক প্রথাগুলিকে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলে নতুন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন শুরু করেন। এই তরুণরা ইয়ং বেঙ্গল বা নব্যবঙ্গ এবং তাদের আন্দোলন নব্যবঙ্গ আন্দোলন নামে পরিচিত।
কে, কবে অ্যাকাডেমিক অ্যাসােসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা করেন? এই প্রতিষ্ঠানের মুখপত্রের নাম কী ছিল?
ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের নেতা হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরােজিও ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে অ্যাকাডেমিক অ্যাসােসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মুখপত্রের নাম ছিল এথেনিয়াম’।
কে, কবে পার্থেনন পত্রিকাটি প্রকাশ করেন?
ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের অন্যতম নেতা ডিরােজিও ও তাঁর ছাত্ররা মিলে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে পার্থেনন’ নামে পত্রিকাটি প্রকাশ করেন।
ডিরােজিওর উদ্যোগে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্রের নাম লেখাে।
ডিরােজিওর উদ্যোগে প্রকাশিত কয়েকটি উল্লেখযােগ্য সংবাদপত্র ছিল ‘এথেনিয়াম, ‘পার্থেনন’, ‘ক্যালাইডােস্কোপ’, ‘হেসপেরাস’, ‘ক্যালকাটা লিটারারি গেজেট’ প্রভৃতি।
ডিরােজিওর অনুগামী এবং ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের অন্যতম কয়েকজন সদস্যের নাম লেখাে।
ডিরােজিওর অনুগামী এবং ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের কয়েকজন অন্যতম সদস্য ছিলেন কৃষ্ণমােহন বন্দ্যোপাধ্যায়, রামগােপাল ঘােষ, প্যারীচাঁদ মিত্র, কিশােরীচাদ মিত্র, রামতনু লাহিড়ী, দক্ষিণারঞ্জন মুখােপাধ্যায়, রসিককৃয় মল্লিক, তারাচাদ চক্রবর্তী, শিবচন্দ্র দেব প্রমুখ।
ডিরােজিওর অনুগামীদের প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্রের নাম লেখাে।
ডিরােজিওর অনুগামীদের কয়েকটি উল্লেখযােগ্য পত্রিকা হল জ্ঞানান্বেষণ, এনকোয়ারার, ‘বেঙ্গল স্পেকটেটর’, ‘হিন্দু পাইওনিয়ার’ প্রভৃতি।
ডিরােজিওর অনুগামীদের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি সংগঠনের নাম লেখাে।
ডিরােজিও-র অনুগামীদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল ‘সাধারণ জ্ঞানােপার্জনী সভা (১৮৩৬ খ্রি.) এবং ‘বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সােসাইটি’ (১৮৪৩ খ্রি.)।
ভারতের কোন্ সন্ন্যাসী কবে শিকাগাের বিশ্বধর্ম সম্মেলনে অদ্বৈত বেদান্তবাদের জয় ঘােষণা করেন?
ভারতের স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে শিকাগাের বিশ্বধর্ম সম্মেলনে অদ্বৈত বেদান্তবাদের জয় ঘােষণা করেন।
কে, কী উদ্দেশ্যে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন?
স্বামী বিবেকানন্দ মানবিক আদর্শ ও সমাজ কল্যাণের উদ্দেশ্যে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১ মে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।
স্বামী বিবেকানন্দের লেখা দুটি গ্রন্থের নাম লেখাে।
স্বামী বিবেকানন্দের লেখা দুটি গ্রন্থ হল- [i] ‘পরিব্রাজক’, [ii] ‘বর্তমান ভারত’।
সংস্কৃত শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিদ্যাসাগর কর্তৃক রচিত দুটি গ্রন্থের নাম লেখাে।
সংস্কৃত শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিদ্যাসাগর কর্তৃক রচিত দুটি অন্যতম গ্রন্থ হল ‘সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা’ ও ‘ব্যাকরণ কৌমুদী।
কে, কার পৃষ্ঠপােষকতায়, কবে ‘হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন?
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুনের পৃষ্ঠপােষকতায় ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে ‘হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় (পরবর্তীকালে নাম হয় বেথুন স্কুল) প্রতিষ্ঠা করেন।
কে, কবে মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠা করেন?
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠা করেন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখাে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত উল্লেখযােগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হল বর্ণমালা’, ‘কথামালা’, বােধােদয়’, ‘নীতিবােধ’, শকুন্তলা’, ‘সীতার বনবাস’ প্রভৃতি।
কে, কবে বিধবাবিবাহ আইন পাস করেন?
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহায়তায় বড়ােলাট লর্ড ডালহৌসি ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুলাই হিন্দু বিধবা পুনর্বিবাহ আইন বা বিধবাবিবাহ আইন পাস করেন।
বাংলায় প্রথম কবে, কাদের মধ্যে বিধবাবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়?
বাংলায় প্রথম ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে (৭ ডিসেম্বর) শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ও কালীমতী দেবীর মধ্যে বিধবাবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।
কে, কাকে একজন ঐতিহ্যবাহী আধুনিকতাবাদের প্রবক্তা বলে অভিহিত করেছেন?
ঐতিহাসিক ড. অমলেশ ত্রিপাঠী পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ‘একজন ঐতিহ্যবাহী আধুনিকতাবাদের প্রবক্তা’ বলে অভিহিত করেছেন।
ঔপনিবেশিক আমলে বাংলার বাইরে সমাজসংস্কার আন্দোলনের কয়েকজন নেতার নাম লেখাে।
ঔপনিবেশিক আমলে বাংলার বাইরে সমাজসংস্কার আন্দোলনের কয়েকজন উল্লেখযােগ্য নেতা ছিলেন জ্যোতিবা ফুলে, শ্রীনারায়ণ গুরু, বীরসালিজ্গম, স্যার সৈয়দ আহমেদ খান প্রমুখ।
প্রার্থনা সমাজ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
মহারাষ্ট্রের সমাজসংস্কারক আত্মারাম পান্ডুরঙ্গ ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে মহারাষ্ট্রে ‘প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
কে, কবে প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন? এই সমাজের অন্য দুজন নেতার নাম লেখাে।
মহারাষ্ট্রের সমাজসংস্কারক আত্মারাম পাণ্ডুরঙ্গ ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে মহারাষ্ট্রে প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সমাজের অন্য দুজন নেতা ছিলেন বিচারপতি মহাদেব গােবিন্দ রানাডে ও ঐতিহাসিক রামকৃয় ভাণ্ডারকর।
কে, কবে দাক্ষিণাত্য শিক্ষাসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন? এই সমাজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দুটি কলেজের নাম লেখাে।
প্রার্থনা সমাজের অন্যতম নেতা মহাদেব গােবিন্দ রানাডে ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে ‘দাক্ষিণাত্য শিক্ষাসমাজ’ বা ডেকান এডুকেশন সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই সমাজের উদ্যোগে পুনার ‘ফারগুসন কলেজ (১৮৮৫ খ্রি.) এবং সাংলি-র উইলিংডন কলেজ (১৯১৯ খ্রি.) প্রতিষ্ঠিত হয়।
কে, কবে, কোথায় সর্বজনিক সভা প্রতিষ্ঠা করেন?
প্রার্থনা সমাজের অন্যতম নেতা মহাদেব গােবিন্দ রানাডে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে পূুনায় ‘সর্বজনিক সভা প্রতিষ্ঠা করেন।
দাদোবা পরমহংসমণ্ডলী সমাজ কে কোন্ সালে গঠন করেন?
দাদোবা পাণ্ডুর্গ, মেহতাজি দুর্গারাম এবং তাদের কতিপয় সঙ্গী মিলে ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে সুরাটে দাদোবা পরমহংসমণ্ডলী সমাজ গঠন করেন।
কারা, কবে এবং কোথায় প্রথম থিওসফিক্যাল সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন?
হেলেনা ব্লাভাটস্কি, কর্নেল এইচ. এস. ওলকট ও উইলিয়াম কোয়ান জাজ ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে থিওসফিক্যাল সােসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন।
কে, কবে আর্যসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন?
মহারাষ্ট্রের অন্যতম সমাজসংস্কারক স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে (৭ এপ্রিল) বােম্বাইতে ‘আর্যসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
কে, কবে এবং কোথায় দয়ানন্দ অ্যাংলাে-বৈদিক কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?
লালা হংসরাজ ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে লাহােরে দয়ানন্দ অ্যাংলাে-বৈদিক কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
কে গুরুকুল আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন?
স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে হরিদ্বারে গুরুকুল আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।
স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর পরবর্তীকালে আর্যসমাজের কয়েকজন নেতার নাম লেখাে।
স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর পরবর্তীকালে আর্যসমাজের কয়েকজন উল্লেখযােগ্য নেতা ছিলেন লালা হংসরাজ, পণ্ডিত গুরু দত্ত, লালা লাজপত রায়, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ।
‘Home for Prevention of Infanticide প্রতিষ্ঠান কে, কবে গঠন করে?
১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে জ্যোতিবা গােবিন্দরাও ফুলে এবং তার স্ত্রী সাবিত্রীবাঈ ‘Home for Prevention of Infanticide’ গঠন করেন।
কে, কবে ‘সত্যশােধক সমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই সমাজের মুখপত্রের নাম কী ছিল?
মহারাষ্ট্রের সমাজসংস্কারক জ্যোতিবা ফুলে ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে সত্যশােধক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সমাজের মুখপত্রের নাম ছিল ‘দীনমিত্র।
জ্যোতিবা ফুলে রচিত কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখাে।
জ্যোতিবা ফুলে রচিত উল্লেখযােগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হল ব্রাত্মণাচে কসাব’, ‘শ্বেতকার্য অসুদ’ এবং ‘গুলামগিরি।
কে, কবে শ্রীনারায়ণ ধর্ম প্রতিপালন যােগম প্রতিষ্ঠা করেন?
শ্রীনারায়ণ গুরু ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রীনারায়ণ ধর্ম পরিপালন যােগম’ প্রতিষ্ঠা করেন।
বীরসালিঙ্গম কর্তৃক প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্রের নাম লেখাে।
বীরসালিঙ্গম কর্তৃক প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্র ছিল “চিন্তামণি’, ‘সতীহিতবােধিনী’, সত্যবাদী প্রভৃতি।
কে, কবে অ্যাংলাে-ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?
স্যার সৈয়দ আহমেদ খান ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে আলিগড়ে ‘অ্যাংলাে-ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
আলিগড় আন্দোলন বলতে কী বােঝায়?
বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে স্যার সৈয়দ আহমদ খান মুসলিম সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে তাদের মধ্যে নবজীবনের সঞ্চার করেন। তিনি যে আলিগড় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন তাকে কেন্দ্র করে মুসলিম সমাজের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চিন্তাধারা বিবর্তিত হয়। মুসলিম সমাজের এই জাগরণ আলিগড় আন্দোলন নামে পরিচিত।
আলিগড় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট কয়েকজন নেতার নাম লেখাে।
আলিগড় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট কয়েকজন নেতা ছিলেন চিরাগ আলি, আলতাফ হােসেন আলি, মৌলানা শিবলি নােমানি, নাজির আহম্মদ, কবি হালি, শিক্ষাবিদ খুদাবক্স প্রমুখ।
‘তিন আইন’ কী? এটি কবে পাস হয়?
ব্রিটিশ সরকার ভারতে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা এবং অসবর্ণ বিবাহের স্বীকৃতি দিয়ে একটি আইন পাস করে। এটি ‘তিন আইন’ নামে পরিচিত। ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে তিন আইন পাস হয়।
দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন কত খ্রিস্টাব্দে কোন বড়ােলাট পাস করেন?
দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে বড়ােলাট লর্ড লিটন পাস করেন।
কবে, কাদের উদ্যোগে ‘শ্রীগুরু সিংহ সভা স্থাপিত হয়?
১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে সর্দার ঠাকুর সিংহ, বাবা শ্রীখেম সিংহ বেদি ও বিক্রম সিংহ প্রমুখের উদ্যোগে পাঞ্জাবের অমৃতসরে ‘শ্রীগুরু সিংহসভা’ স্থাপিত হয়।
কবে, কার উদ্যোগে লাহােরে সিংহসভা স্থাপিত হয়?
১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে অধ্যাপক গুরুমুখ সিংহের উদ্যোগে লাহােরে সিংহসভা স্থাপিত হয়।
কবে, কোথায় অকালি আন্দোলন শুরু হয়? এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী ছিল?
১৯২০ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবে অকালি আন্দোলন শুরু হয়। অকালি আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল শিখদের ধর্মীয় স্থান গুরুদ্বারগুলির দুর্নীতি দূর করে সৎ ধর্মীয় পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা।
কবে, কাদের উদ্যোগে রেহনুমাই মাজদায়াসন সভা বা ধর্মসংস্কার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়?
মহারাষ্ট্রের পারসি সমাজসংস্কারক নওরােজি ফার্দুনজি, দাদাভাই নওরােজি, এস. এস. বেঙ্গলি প্রমুখের উদ্যোগে উজ্জ্বগুন্ড খ্রিস্টাব্দে রেহনুমাই মাজদায়াসন সভা বা ধর্মসংস্কার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়।
সরকার কবে, কার সহায়তায় বিবাহ সম্মতি আইন পাস করে?
সরকার ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে পারসি সংস্কারক বেহরামজি মেরওয়ানজি মালাবারি-র সহায়তায় বিবাহ সম্মতি আইন পাস করে।
র্যালে কমিশন কত সালে গঠিত হয়? এর অপর নাম কী?
১৯০২ খ্রিস্টাব্দে র্যালে কমিশন গঠিত হয়। র্যালে কমিশনের অপর নাম ছিল ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন।
কবে, কী উদ্দেশ্যে হুইটলি কমিশন নিয়ােগ করা হয়?
১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে হুইটলি কমিশন নিয়ােগ করা হয়। এই কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি করা।
প্রাচ্যবাদী বা ওরিয়েন্টালিস্ট নামে কারা পরিচিত? অথবা, প্রাচ্যবাদী কাদের বলা হয়?
ভারতে ব্রিটিশ শাসনকালে এইচ. টি. প্রিন্সেপ, কোলব্রুক, উইলিয়াম প্রমুখ উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারীগণ ভারতে প্রাচ্য রীতিতে শিক্ষাদানের পক্ষপাতী ছিলেন। এরা প্রাচ্যবাদী বা ওরিয়েন্টালিস্ট নামে পরিচিত।
পাশ্চাত্যবাদী বা অ্যাংলিসিস্ট নামে কারা পরিচিত ছিল?
ভারতে ব্রিটিশ শাসনকালে মেকলে, আলেকজান্ডার ডাফ, স্যান্ডার্স, ক্যালভিন প্রমুখ উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারীগণ ভারতে পাশ্চাত্য রীতিতে শিক্ষাদানের পক্ষপাতী ছিলেন। এরা পাশ্চাত্যবাদী বা অ্যাংলিসিস্ট নামে পরিচিত।
মেকলের ‘মিনিট’ কী?
বাের্ড অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশনের সভাপতি মেকলে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে বড়ােলাট লর্ড বেন্টিঙ্কের কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার সমর্থনে সরাসরি মত প্রকাশ করেন। মেকলের এই প্রস্তাব মেকলের ‘মিনিট’ নামে পরিচিত।
প্রাচ্যবিদ্যার গবেষণার কয়েকজন পথপ্রদর্শকের নাম লেখাে।
প্রাচ্যবিদ্যার গবেষণার কয়েকজন পথপ্রদর্শক ছিলেন স্যার উইলিয়াম জোনস, ম্যাক্সমুলার, কানিংহাম, প্রিন্সেপ, রাজেন্দ্রলাল মিত্র প্রমুখ।
খালসা কলেজ কবে, কোথায় স্থাপিত হয়?
১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবের অমৃতসরে খালসা কলেজ স্থাপিত হয়।
কোন গভর্নর জেনারেল অ্যাংলিসিস্ট-ওরিয়েন্টালিস্ট বির্তক’-এর অবসান ঘটান?
গভর্নর জেনারেল উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ইংরেজি শিক্ষার প্রসারকে কেন্দ্র করে অ্যাংলিসিস্ট বা পাশ্চাত্যবাদী এবং ওরিয়েন্টালিস্ট অর্থাৎ প্রাচ্যবাদীদের মধ্যেকার বির্তকের অবসান ঘটান।
চালর্স উড কে ছিলেন?
ভারতে ব্রিটিশ সরকারের বাের্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি ছিলেন চালর্স উড। তিনি এদেশের সরকারি শিক্ষা নীতির ওপর উডের ডেসপ্যাচ নামক এক পরিকল্পনা পেশ করেছিলেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য কে ছিলেন?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন জেমস উইলিয়াম কোলভিল।
কবে এবং কেন স্যাডলার কমিশন গঠিত হয়?
ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিকল্পনা রূপায়নের লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে স্যাডলার কমিশন গঠন করে।
মানুষ গড়ার আদর্শে কে বিশ্বাসী ছিলেন?
মানবতাবাদী স্বামী বিবেকানন্দ মানুষ গড়ার আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। এই আদর্শ রূপায়নের জন্যই তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
কেরালায় কে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন?
কেরালায় শ্রী নারায়ণ গুরু অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।
কে, কবে প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন?
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে আত্মারাম পান্ডুরঙ্গ প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
কলকাতাতে বিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন এমন কয়েকজন বিদেশির নাম লেখাে।
কলকাতাতে বিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন এমন কয়েকজন বিদেশির নাম হল শেরবাের্ন, মার্টিন বাে, আরটুন পিটার্স, ডেভিড ড্রামন্ড প্রমুখ।
বাঙালিদেরকে ‘ভারতমাতার মুকুট’ বলে সম্মানিত করেছিলেন কোন রাজনীতিবিদ?
বাঙালিদেরকে ‘ভারতমাতার মুকুট’ বলে সম্মানিত করেছিলেন স্যার সৈয়দ আহমেদ খান।
‘আধুনিক অন্ধের জনক’ এবং অন্ধ্র নবজাগরণের অগ্রদূত নামে কে পরিচিত?
কান্দুকুরি বীরসালিঙ্ পান্তুলুকে আধুনিক অন্ধের জনক এবং অন্ত্র নবজাগরণের অগ্রদূত’ বলা হয়।
সৈয়দ আহমেদ ছাড়া আলিগড় আন্দোলনের কয়েকজন নেতার নাম লেখাে।
সৈয়দ আহমেদ ছাড়া আলিগড় আন্দোলনের কয়েকজন নেতা হলেন—আলি মৌলানা শিবলি নােমানি, কবি হালি, আলতাফ হােসেন, শিক্ষাবিদ খুদাবক্স, চিরাগ আলি, নাজির আহমেদ প্রমুখ।
একেশ্বরবাদকে সমর্থন জানিয়ে রামমােহন যে পুস্তিকাটি লেখেন তার নাম কী?
একেশ্বরবাদকে সমর্থন জানিয়ে রামমােহন যে পুস্তিকাটি লেখেন তার নাম হল ‘তুহুফৎ উল-মুয়াহিদ্দিন’।
ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক, আধুনিক ভারতের জনক, ভারত পথিক, ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ ইত্যাদি অভিধায় কোন্ ভারতীয়কে ভূষিত করা হয়েছে?
ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক, আধুনিক ভারতের জনক, ভারত পথিক, ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ ইত্যাদি অভিধায় রাজা রামমােহন রায়কে ভূষিত করা হয়েছে।
শ্ৰীশ্ৰী রামকৃষ্ণের ধর্ম দর্শনের মূল কথা কী ছিল?
শ্ৰীশ্ৰী রামকৃষ্ণের ধর্ম দর্শনের মূল কথা ছিল—সকল ধর্মের উদ্দেশ্য ঈশ্বর লাভ, শুধু পথ আলাদা।
কে বিবেকানন্দকে ‘চিরন্তন মহাপরিব্রাজক’ বলে অভিহিত করেছিলেন?
ঐতিহাসিক অমলেশ ত্রিপাঠি বিবেকানন্দকে ‘চিরন্তন মহাপরিব্রাজক’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
নারীদের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে হিতকারিণী সংগঠন কে গড়ে তােলেন?
নারীদের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে অর্ধপ্রদেশে হিতকারিণী সংগঠন গড়ে তােলেন কাকুরি বীরসালিম পান্তুলু।
‘ব্রাহ্মণচে কসাব’ (পুরােহিততন্ত্রের স্বরূপ প্রকাশ) এবং শ্বেতকার্যচ অসুদ (কৃষকদের চাবুক) নামক গ্রন্থ দুটি কে রচনা করেন?
‘ব্রাহ্মণচে কসাব’ (পুরােহিততন্ত্রের স্বরূপ প্রকাশ) এবং ‘শ্বেতকার্যচ অসুদ (কৃষকদের চাবুক) নামক গ্রন্থ দুটি জ্যোতিবা ফুলে রচনা করেন।
স্বামীজি কবে শিকাগাে বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনে হিন্দু ধর্মের উপর আলােকপাত করেন?
স্বামীজি ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে ১১-২৭ সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগাে শহরে আয়ােজিত বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনে হিন্দু ধর্মের উপর আলােকপাত করেন।
স্বামীজির লেখা কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখাে।
স্বামীজির লেখা কয়েকটি গ্রন্থের নাম হল—’বর্তমান ভারত’, ‘পরিব্রাজক’, জ্ঞানযােগ’, ‘রাজযােগ’ ইত্যাদি।
কে, কবে, কোথায় বিধবাবিবাহ সমিতি গঠন করেন?
মহাদেব গােবিন্দ রানাডে মহারাষ্ট্রে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে বিধবাবিবাহ সমিতি গঠন করেন।
‘থিওসফিক্যাল সােসাইটি’ কথাটির অর্থ কী?
‘থিওসফিক্যাল সােসাইটি’ কথাটির অর্থ হল ব্রাহ্মবিদ্যাচর্চার প্রতিষ্ঠান।
কারা, কোথায় প্রথম থিওসফিক্যাল সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন?
১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের বাসিন্দা রুশ মহিলা মাদাম ব্লাভাটস্কি ও ব্রিটিশ সামরিক অফিসার কর্নেল ওলকট নিউইয়র্কে থিওসফিক্যাল সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।
কারা ভারতে থিওসফিক্যাল সােসাইটির শাখা প্রতিষ্ঠা করেন?
মাদাম ব্রাভাটস্কি ও কর্নেল ওলকট ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজের আদিয়ার-এ থিওসফিক্যাল সােসাইটির শাখা প্রতিষ্ঠা করেন।
কে, কোথায় বেনারস সেন্ট্রাল হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন?
অ্যানি বেসান্ত নিজে বারাণসীতে বেনারস সেন্ট্রাল হিন্দু স্কুল (পরবর্তীকালের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি) স্থাপন করেন।
ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় সমাজে কৃষিপ্রধান যে নতুন সামাজিক শ্রেণিগুলির উদ্ভব ঘটে তাদের পরিচয় দাও।
নতুন সামাজিক শ্রেণিগুলির মধ্যে ছিল—[i] গ্রামে জমিদার, বণিক, মহাজন শ্রেণি আর [ii] শহরে পুঁজিপতি (শিল্প কলকারখানার মালিক, ব্যবসায়ী), রেলপরিবহণ ব্যবস্থা ও খনিতে নিযুক্ত কর্মচারী এবং চিকিৎসক, শিক্ষক, আইনজীবী, প্রযুক্তিবিদ, কেরানি প্রভৃতি।
দেবদাসী প্রথা কী?
ছােটোবেলা থেকে অবিবাহিত নারীদের মন্দিরে দেবতাদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হত এবং এরা নাচগানের মধ্য দিয়ে দেবতাদের তুষ্ট করত। মন্দিরে এভাবে নারীদের নিয়ােজিত করার প্রথার নাম ছিল দেবদাসী প্রথা।
কার আমলে চিনের মহাবিদ্যালয়টি পিকিং ইম্পিরিয়াল ইউনিভার্সিটিতে রূপান্তরিত হয়?
চিনা সম্রাট কোয়াংসুর আমলে চিনের মহাবিদ্যালয়টি পিকিং ইম্পিরিয়াল ইউনিভার্সিটিতে রূপান্তরিত হয়।
‘সত্যার্থ প্রকাশ’ ও ‘বেদভাষ্য’ গ্রন্থ দুটি কে রচনা করেন?
‘সত্যার্থ প্রকাশ’ ও ‘বেদভাষ্য’ গ্রন্থ দুটি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী রচনা করেন।
কার উদ্যোগে, কবে, কোথায় দয়ানন্দ ইঙ্গ- বৈদিক কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
লালা হংসরাজের উদ্যোগে ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে লাহােরে দয়ানন্দ-ই-বৈদিক কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
কোথায়, কার উদ্যোগে একটি বেদচর্চার প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়?
স্বামী শ্ৰদ্ধানন্দের উদ্যোগে হরিদ্বারে ‘গুরুকুল বিদ্যালয়’ নামে একটি বেদচর্চার প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়।
কত খ্রিস্টাব্দে কে গৌ-রক্ষিণী সভা প্রতিষ্ঠা করেন?
১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী গৌরক্ষিণী সভা’ (Cow Protection Association) প্রতিষ্ঠা করেন।
গাে হত্যার নিন্দা করে লেখা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর গ্রন্থটির নাম কী?
গাে হত্যার নিন্দা করে লেখা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর গ্রন্থের নাম হল—’গাে করুণানিধি’।
‘পণ্ডিত দয়ানন্দের উন্মােচন’ গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
‘পণ্ডিত দয়ানন্দের উন্মােচন’ গ্রন্থটি ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে শিবনারায়ণ অগ্নিহােত্রী রচনা করেন।
কত খ্রিস্টাব্দে, কোথায় ‘হিন্দু মহাসভা রাজনৈতিক গােষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে?
১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে হরিদ্বারের কুম্ভমেলায় হিন্দু মহাসভা রাজনৈতিক গােষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
ব্রহ্মানন্দ শিবযােগীর লেখা দুটি গ্রন্থের নাম লেখাে।
ব্রহ্মানন্দ শিবযােগীর লেখা দুটি গ্রন্থের নাম মােক্ষপ্রদীপম, আনন্দসূত্রম ইত্যাদি।
বীরসালিঙ্গম পান্ডুলু-র সম্পাদিত পত্রপত্রিকাগুলির নাম উল্লেখ করাে।
বীরসালি্গম পান্তুলুর সম্পাদিত পত্রপত্রিকাগুলির নাম হল- ‘বিবেকবর্ধিনী’, ‘চিন্তামনি’, ‘সত্যবাদী’, ‘সতীহিতবােধিনী’ ইত্যাদি।
পুরুষদের বহুবিবাহের (Polygamy) প্রতিবাদে বীরসালিঙ্গম পান্তুলু-র লেখা নাটকটির নাম কী?
পুরুষদের বহুবিবাহের (Polygamy) প্রতিবাদে বীরসালিঙ্গম পান্তুলু-র লেখা নাটকটির নাম হল—সত্যরাজাচার্য পূর্বদেশ যাত্রা।
এজাভা শিবলিঙ্গম’ (Ezava Shivalingam) কী?
নারায়ণ গুরু কর্তৃক সংগঠিত এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নাম হল—এজাভা শিবলিঙ্গম।
ভারতের সুপ্রিমকোর্টের প্রথম বিচারপতি কে ছিলেন?
এলিজা ইম্পে ভারতের সুপ্রিমকোর্টের প্রথম বিচারপতি ছিলেন।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কে প্রতিষ্ঠা করেন?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন আলেকজান্ডার ডাফ (২৪ জানুয়ারি ১৮৫৭খ্রি.)।
কে, কবে এশিয়াটিক সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন?
উইলিয়াম জোনস ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ১৫ জানুয়ারি এশিয়াটিক সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় কী প্রতিষ্ঠিত হয়?
১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে উইলিয়াম জোনসের উদ্যোগে কলকাতায় এশিয়াটিক সােসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
মেকলে কে ছিলেন?
টমাস ব্যাবিংটন মেকলে ছিলেন বড়ােলাট উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের আইনসচিব। তিনি তার বিখ্যাত ‘মিনিট’ বা ‘প্রস্তাব’-এ পাশ্চাত্য শিক্ষার পক্ষে অভিমত দেন।
নববিধান ব্রাহ্মসমাজ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
নববিধান ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন কেশবচন্দ্র সেন (১৮৮০ খ্রি.)।
প্রার্থনা সমাজের কর্মসূচি কী ছিল?
প্রার্থনা সমাজের মূলকর্মসূচিগুলি ছিল অস্পৃশ্যতা বর্জন, পর্দাপ্রথা বর্জন, বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রদ, মদ্যপান নিবারণ, সমাজের দুস্থদের উন্নয়ন, স্ত্রীশিক্ষার প্রসার, নারীমুক্তির আদর্শ প্রচার এবং শিশু সদন, অনাথ আশ্রম, বিধবা আশ্রম, চিকিৎসালয় স্থাপন প্রভৃতি।
কাকে বাংলা গদ্যসাহিত্যের জনক বলা হয়?
রাজা রামমােহন রায়কে বাংলা গদ্যসাহিত্যের জনক বলা হয় কারণ তিনি একেশ্বরবাদের প্রস্তাবের জন্য বাংলা পুস্তিকা রচনা, উপনিবেশের বাংলা অনুবাদ প্রভৃতির মাধ্যমে বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশ ঘটান।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কাকে ‘ব্রহ্মানন্দ’ উপাধি দিয়েছিলেন?
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কেশবচন্দ্র সেনকে ‘ব্রহ্মানন্দ’ উপাধি দিয়েছিলেন (১৮৬২ খ্রি.)।
কে, কাকে ভারতের রাজনৈতিক পুনরুজ্জীবনের জনক বলে অভিহিত করেছেন?
বিপিনচন্দ্র পাল রামমােহন রায়কে ভারতের রাজনৈতিক ‘পুনরুজ্জীবনের জনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র কোনটি?
বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র সমাচার দর্পণ।
আর্যসমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
আর্যসমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুধর্মের ওপর অন্য ধর্মের আক্রমণ প্রতিরােধ করা এবং হিন্দুধর্মের অভ্যন্তরীণ সংস্কার ঘটানাে।
আলিগড় কলেজের বিভেদপন্থী অধ্যক্ষ কে ছিলেন?
আলিগড় কলেজের বিভেদপন্থী অধ্যক্ষ ছিলেন থিয়ােড়র বেক।
নীলদর্পণ নাটকটি কে রচনা করেন?
নীলদর্পণ নাটকটি দীনবন্ধু মিত্র রচনা করেন।
মহাজনরা গ্রামীণ জীবনে কী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে?
উনবিংশ শতকে ক্রমশ ভারতীয় সমাজজীবনে মহাজনদের প্রভাব বাড়তে থাকে। ফলে তারা গ্রামজীবনে উচ্চশ্রেণি বা এলিট শ্রেণি রূপে আত্মপ্রকাশ করে। মহাজন শ্রেণির ব্যাপক উত্থানের ফলে গ্রামীণ অর্থনৈতিক কাঠামােয় যে পরিবর্তন ঘটে তা গ্রাম সমাজের প্রচলিত কাঠামােয় ফাটল সৃষ্টি করে।
পতিদার কাদের বলা হত?
গুজরাটের একটি স্থানীয় মােড়ল বা আধিপত্যকারী সম্প্রদায় ছিল পতিদার। এখানে গ্রামের যৌথ ভূমি পতি’ নামে পরিচিত ছিল। আর ভূমিরাজস্ব আদায়কারীরা পরিচিত হত পতিদার নামে। গুজরাটে কুনবিরা সাধারণত পতিদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করত।
জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার ফলে পতিদারবিরােধী আন্দোলনের কী অবস্থা হয়েছিল?
১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পরবর্তীকালে গুজরাটের পতিদারবিরােধী সম্প্রদায়গুলি উপলব্ধি করেছিল যে, পতিদাররাই হল সেখানকার কংগ্রেসের ভিত্তি। পতিদারদের কংগ্রেস-ঘনিষ্ঠতার ফলে পতিদার-বিরােধী সম্প্রদায় স্বতন্ত্র পার্টির সমর্থকে পরিণত হয়েছিল।
কয়েকটি মহাজনি সম্প্রদায়ের উল্লেখ করাে।
ভারতবর্ষের নানা অঞ্চলে মহাজনি সম্প্রদায় বাস করত। উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে ক্ষত্রী, গুজরাটে বানিয়া, রাজস্থানে মাড়ােয়ারি, তামিলনাড়ুতে চেট্টিয়ার, বাংলায় সাহা ও বণিক প্রভৃতি সম্প্রদায় মহাজনি সম্প্রদায় নামে পরিচিত।
কারা ভাগচাষি নামে পরিচিত?
কৃষক সমাজের দ্বিতীয় স্তরে অবস্থান করত বর্গাদার বা ভাগচাষিরা। ধনী কৃষকরা সরাসরি জমি চাষ না করে এদের চাষের দায়িত্ব দিতেন। আসলে, এরা ছিল দরিদ্র কৃষক। মহাজনের ঋণের অর্থ পরিশােধ করতে ব্যর্থ হলে মহাজনরা তাদের জমিজমা কড়ে নেয়। ফলে তারা ভাগচাষিতে পরিণত হয়।
সাউকার কাদের বলা হয়?
দাক্ষিণাত্যের বােম্বাই প্রেসিডেন্সিতে সুদখাের মহাজন শ্রেণি সাউকার নামে পরিচিত ছিল।
কে, কবে ভারতের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেন?
১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে বি. পি. ওয়াদিয়া ভারতের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেন।
ব্রিটিশ আমলে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বামপন্থী নেতার নাম লেখাে।
ব্রিটিশ আমলে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বামপন্থী নেতা ছিলেন মুজাফফর আহমেদ, শ্রীপাদ অমৃত ডাঙ্গে, পি. সি. যােশি, হেমন্তকুমার সরকার, কবি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
কবে, কাদের মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসানাে হয়?
সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযােগে ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে (২০ মার্চ) ৩৩ জন শ্রমিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসানাে হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিলেন মুজাফফর আহমেদ, এস. এ. ডাঙ্গে, পি. সি. যােশি, মীরাজকর, গঙ্গাধর অধিকারী, শিবনাথ ব্যানার্জি, ধরণী গােস্বামী, বেঞ্জামিন ব্রাডলি, ফিলিপ স্প্যাট প্রমুখ।
ভারতে কীভাবে আধুনিক শিল্পের সূচনা ঘটে?
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে বিভিন্ন উদ্যোগে ভারতে আধুনিক শিল্পের সূচনা ঘটে। প্রথমদিকে ব্রিটিশ পুঁজিপতিদের উদ্যোগে এবং পরে ভারতীয় পুঁজিপতিদের উদ্যোগে ভারতে লৌহ-ইস্পাত, কাগজ, চা, পাট, কয়লা, সুতিবস্ত্র, সিমেন্ট, কাচ, দেশলাই, রাসায়নিক শিল্পের বিকাশ ঘটে।
শ্রমিকদের অর্থনৈতিক দুরবস্থার ফল কী হয়েছিল?
শ্রমিকদের কম মজুরি, তাদের ওপর বিপুল করের বােঝা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রভৃতি তাদের অর্থনৈতিক সংকটের পথে ঠেলে দেয়। ফলে শ্রমিকরা ক্ষুদ্ধ হয়। শ্রমিক অসন্তোষের ফলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিকরা আন্দোলনের পথে পা বাড়ায়।
দলিত কাদের বলা হয়?
ভারতে ব্রাহ্মণসহ উচ্চবর্ণের শােষণে শােষিত মাহার, নাদার, চামার, হরিজন, নমঃশূদ্র, ইঝাভা প্রভৃতি নিম্নবর্ণের লােকেরা দলিত নামে পরিচিত।
ভাইকম সত্যাগ্রহ বলতে কী বােঝ?
বিংশ শতকের শুরুতেও দক্ষিণ ভারতের ভাইকমে বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দিরের নিকটবর্তী রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। নিম্নবর্ণের মানুষের জন্য এই রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রীনারায়ণ গুরু তীব্র আন্দোলন গড়ে তােলেন (১৯২৪ খ্রি.) যা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত।
কাদের মধ্যে পুনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে (২৪ সেপ্টেম্বর) কংগ্রেস নেতা মহাত্মা গান্ধি ও তফশিলি নেতা ড. বি. আর. আম্বেদকরের মধ্যে পুনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ড. বি. আর. আম্বেদকর কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ড. বি. আর আম্বেদকর ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে মধ্যপ্রদেশের মাহার সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহণ করেন।
ড. আম্বেদকর কবে কোথায় কোন্ মন্দিরে প্রবেশের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন?
ড. আম্বেদকর ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে নাসিকের কলারাম মন্দিরে প্রবেশের দাবিতে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেন।
কারা, কবে মন্দিরে প্রবেশ-সংক্রান্ত বিল পাস করে?
বােম্বাই-এর প্রাদেশিক কংগ্রেস সরকার ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরে প্রবেশ-সংক্রান্ত বিল পাস করে।
দক্ষিণ ভারতে দলিত শ্রেণির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন নেতার নাম লেখাে।
দক্ষিণ ভারতে দলিত শ্রেণির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন নেতা ছিলেন। শ্রীনারায়ণ গুরু, এন. কুমারন আসান এবং টি. কে. মাধবন।
বর্ণহিন্দুদের কোন্ কোন্ সংগঠন ভাইকম সত্যাগ্রহকে সমর্থন করে?
নায়ার সার্ভিস সােসাইটি’, ‘নায়ার সমাজম, ‘কেরালা হিন্দুসভা, যােগক্ষমা প্রভৃতি বর্ণহিন্দু সংগঠন ভাইকম সত্যাগ্রহ আন্দোলনকে সমর্থন করে।
কেরালায় কে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন?
শ্ৰীনারায়ণ গুরু কেরালায় অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তার সংস্কার আন্দোলনের মূলমন্ত্র ছিল এক জাতি, এক ধর্ম ও এক ঈশ্বর।
গুরুবায়ুর মন্দিরের প্রবেশ-সংক্রান্ত আন্দোলনে কাদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়?
গুরুবায়ুর মন্দিরের প্রবেশ-সংক্রান্ত আন্দোলনে পি. কৃয় পিল্লাই ও এ. কে. গােপালনকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়।
কেলাপ্পান কবে কেন অনশন আন্দোলন করেন?
কে. কেলাপ্পান সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য গুরুবায়ু মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে (২১ সেপ্টেম্বর) অনশন আন্দোলন শুরু করেন।
দিকু কাদের বলা হত?
ব্রিটিশ শাসনকালে বহিরাগত জমিদার, জোতদার, বণিক, মহাজন, ঠিকাদার, দালাল প্রভৃতি বিভিন্ন স্তরের মধ্যস্বত্বভােগী ব্রিটিশ সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে ভারতের বিভিন্ন আদিবাসী এলাকায় ঢুকে পড়ে। আদিবাসীরা এই বহিরাগতদের ‘দিকু বলত।
সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম করাে।
সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতা হলেন সিধু ও কানহু মুর্মু।
বাংলায় নমঃশূদ্রদের দুজন উল্লেখযােগ্য নেতার নাম লেখাে।
বাংলার দুজন গুরুত্বপূর্ণ নমঃশূদ্র নেতা ছিলেন প্রমথরঞ্জন ঠাকুর ও যােগেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
পুনা চুক্তিতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?
পুনা চুক্তির দ্বারা আম্বেদকর দলিতদের পৃথক নির্বাচনের অধিকারের দাবি থেকে সরে আসেন এবং গান্ধিজিও দলিতদের আরও বেশি সংখ্যক আসন সংরক্ষণের দাবি মেনে নেন।
মাহাদ মার্চ কী?
সর্বসাধারণের জলাশয় থেকে অস্পৃশ্যরা যাতে জল নেওয়ার অধিকার পায় সেই দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে দলিত নেতা ড. ভীমরাও আম্বেদকরের নেতৃত্বে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে (২০ মার্চ) বােম্বাইয়ের কোলাবা জেলায় চৌদার জলাশয়কে কেন্দ্র একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এটি ‘মাহাদ মার্চ’ নামে পরিচিত।
কে, কবে সর্বভারতীয় নিপীড়িত শ্রেণির কংগ্রেস (All India Depressed Classes Congress) প্রতিষ্ঠা করেন?
ড. বি. আর. আম্বেদকর ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় নিপীড়িত শ্রেণির কংগ্রেস (All India Depressed Classes Congress) প্রতিষ্ঠা করেন।
সংস্কৃতায়ন আন্দোলন বলতে কী বােঝ?
উনিশ শতকে একাধিক অস্পৃশ্য ও দলিত সম্প্রদায় সমাজে নিজেদের অবস্থানকে উন্নিত করার লক্ষ্যে বারেবারে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল তা সংস্কৃতায়ন আন্দোলন নামে পরিচিত।
বাংলার নবজাগরণের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন মনীষীর নাম লেখাে।
বাংলার নবজাগরণের সঙ্গে যুক্ত উল্লেখযােগ্য কয়েকজন মনীষী ছিলেন রাজা রামমােহন রায়, ডিরােজিও, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কেশবচন্দ্র সেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখ।
বাংলার নবজাগরণের যুগে কয়েকজন বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম লেখাে।
বাংলার নবজাগরণের যুগে কয়েকজন বাঙালি বিজ্ঞানী ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী, মেঘনাদ সাহা প্রমুখ।
ভারতে কাদের প্রভাবে এবং কীভাবে ঘড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পায়?
ব্রিটিশ শাসনকালে ভারত পাশ্চাত্যের অনুকরণে স্কুল-কলেজ ও অফিস-আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে এগুলিতে কাজ চলত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই সময় অনুসারে কাজের জন্য ঘড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।
বিদেশি ভাষা শিক্ষার উদ্দেশ্যে চিনে কবে, কী নামে কলেজ স্থাপিত হয়?
বিদেশি ভাষা শিক্ষার উদ্দেশ্যে চিনে ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে তুং ওয়েন কুয়ান নামে কলেজ স্থাপিত হয়।
চিনে পাশ্চাত্য ভাবধারার প্রসারে ভূমিকা ছিল এমন কয়েকজন মিশনারির নাম লেখাে।
চিনের পাশ্চাত্য ভাবধারার প্রসারে ভূমিকা ছিল এমন কয়েকজন মিশনারি ছিলেন ব্রিটেনের আলেকজান্ডার উইলিয়ামসন, টি. রিচার্ড এবং আমেরিকার ইয়ং জে, অ্যালেন, এ. পি. মার্টিন প্রমুখ।
চিনের আধুনিক ভাবধারার প্রসারে ভূমিকা ছিল এমন কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর নাম লেখাে।
চিনের আধুনিক ভাবধারার প্রসারে ভূমিকা ছিল এমন কয়েকজন বুদ্ধিজীবী ছিলেন কাং- ইউ-ওয়ে, লিয়াং-চি-চাও, সাই-উয়ান-পেই, চেন-তু-শিউ, হু শী প্রমুখ।
শতদিবসের সংস্কার কী?
চিনের সম্রাট কোয়াং সু সে দেশের সংস্কারকদের দাবি মেনে ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে এক সংস্কার কর্মসূচি ঘােষণা করেন। এই সংস্কারকার্য ১০০ দিন ধরে চলে বলে তা শতদিবসের সংস্কার’ নামে পরিচিত।
আধুনিক ভাবধারার প্রসারে প্রকাশিত চিনের কয়েকটি সংবাদপত্রের নাম লেখাে।
আধুনিক ভাবধারার প্রসারে প্রকাশিত চিনের কয়েকটি সংবাদপত্র ছিল জাগরণ’, জ্ঞানের আলাে’, ‘নব তারুণ্য, ‘নতুন জোয়ার প্রভৃতি।
কে, কবে, কাদের কাছে একুশ দফা দাবি পেশ করে?
জাপান ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জানুয়ারি চিনের কাছে একুশ দফা দাবি পেশ করে।
সান-ইয়াৎ-সেন প্রস্তাবিত তিনটি নীতি কী কী ছিল?
চিনের সান-ইয়াৎ-সেন ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে ‘চিনা জনগণের জন্য তিনটি নীতি’ অর্থাৎ সান- মিন-চু-আই’ ঘােষণা করেন। এই তিনটি নীতি হল- [i] জন-জাতীয়তাবাদ, [ii] জন- গণতন্ত্রবাদ ও [iii] জন-জীবিকাবাদ বা জন-সমাজবাদ।
কুয়ােমিনতাং দলের প্রতিষ্ঠাতা কে?
কুয়ােমিনতাং দলের প্রতিষ্ঠাতা হলেন সান-ইয়াৎ-সেন (১৯১২ খ্রি.)।
কে, কবে এবং কার বিরুদ্ধে ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ এর ডাক দেন?
চিনের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সান ইয়াৎ-সেন ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ইউয়ান-সি-কাই-এর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিপ্লব-এর ডাক দেন।
কবে, কার নেতৃত্বে ‘তুং-মেং হুই গঠিত হয়?
১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে চিনের নেতা ড. সান ইয়াৎ-সেন-এর নেতৃত্বে ‘তুং-মেংহুই গঠিত হয়।
চিনে কোন বছর মে ফোর্থ আন্দোলন শুরু হয়েছিল?
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ মে চিনে মে ফোর্থ মুভমেন্ট বা ৪ মে র আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
তাইপিং বিদ্রোহ কবে এবং কোথায় হয়েছিল?
১৮৫০-৬৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে চিনে তাইপিং বিদ্রোহ হয়েছিল।
কবে, কোথায় ৪মে আন্দোলন শুরু হয়েছিল?
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ৪মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ারে ৪মে আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
চিনে ৪ মে আন্দোলনকে নেতৃত্ব কে দেন?
চিনে ৪ মে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন চেন-তু শিউ।
8 মে আন্দোলনে কোন্ বিশ্ববিদ্যালয় জড়িত ছিল?
৪ মে আন্দোলনে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় জড়িত ছিল।
চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক বলতে কী বােঝ?
কোনাে নিয়ােগকর্তার অধীনে নির্দিষ্ট বেতনের বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করার চুক্তিতে আবদ্ধ শ্রমিকশ্রেণিকে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক বলা হয়। উনিশ শতকে ভারত ও চিনের বহু চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক বিদেশে কাজ করতে যায়।
ইংরেজরা এশিয়ার কোন্ কোন দেশ থেকে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক রপ্তানি করত এবং তাদের কোন কোন্ কাজে নিয়ােগ করত?
ইংরেজরা এশিয়ার ভারত ও চিন থেকে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক আফ্রিকার বিভিন্ন উপনিবেশে রপ্তানি করত। সেখানে এই শ্রমিকরা আখ চাষ, চিনি উৎপাদন প্রভৃতি কাজ করত।
ভারতের চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের নিয়ে সর্বপ্রথম জাহাজটি কবে, কোন্ স্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়?
ভারতের চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের নিয়ে সর্বপ্রথম জাহাজটি ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে আফ্রিকার মরিশাসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
বিদেশের কোন্ কোন্ স্থানে ভারতের চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের প্রেরণ করা হত?
বিদেশের মরিশাস, জামাইকা, ব্রিটিশ গুয়েনা, ট্রিনিদাদ, গ্রানাডা, সেন্ট লুসিয়া, নাটাল প্রভৃতি স্থানে ভারতের চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের প্রেরণ করা হত।
বিদেশের কোন্ কোন্ স্থানে চিনা চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের প্রেরণ করা হত?
বিদেশের ট্রিনিদাদ, আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল, আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, কিউবা প্রভৃতি অঞ্চলে চিনা চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের প্রেরণ করা হত।
Leave a comment