সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সম্পর্কে বাবা ও মেয়ের মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
বাবা : মুনিয়া, নতুন কলেজে ভর্তি হয়ে কেমন লাগছে? শ্রেণিতে কারও সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে?
মুনিয়া : হ্যাঁ, বাবা। আমার দীপান্বিতা নামের একটা মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। ওর সাথে আমার অনেক কিছুই মিলে যায় । তবে ওর ধর্ম আলাদা।
বাবা : বেশ ভালাে কথা। ধর্ম আলাদা হলেও সকল মানুষ সমান। আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনেক নজির রয়েছে। বাংলাদেশে আবহমানকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে ধারা বয়ে চলেছে, বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে তার বহিঃপ্রকাশ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়। তুমি কি এ বিষয় উপলব্ধি করতে পার?
মনিয়া : হ্যাঁ, আমাদের শ্রেণি শিক্ষকও বলেছেন, বিদ্যালয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে।
বাবা : তােমাদের শিক্ষক একদম ঠিক কথা বলেছেন। সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। সামনে তাে ইদ। তুমি কি তােমার বান্ধবীকে আমাদের বাসায় নিমন্ত্রণ করতে চাও?
মনিয়া : হ্যাঁ বাবা, অবশ্যই। কলেজের প্রথম দিনেই ও আমাকে নানাভাবে সাহায্য করেছে। আগামীকাল ও আমাকে ওদের বাসায় নিয়ে যাবে বলেছে।
বাবা : ভালাে। তােমরা একে অপরের সাথে মিলেমিশে থাকবে। তােমাদের দেখে সকলে যেন ধর্মীয় ব্যবধানের উর্ধ্বে গিয়ে মানবতার কথা ভাবতে অনুপ্রাণিত হয়। তােমরা অন্যদেরও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে। আমার কথা মনে থাকবে তাে?
মুনিয়া : হ্যাঁ বাবা । তােমার পরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বাবা : তােমাকেও ধন্যবাদ মা, আমার কথা মনােযােগ দিয়ে শােনার জন্য।
Leave a comment