বাংলা গদ্যের বিকাশে মাসিক পত্রিকার অবদান মূল্যায়ন কর
উত্তর: বাংলা সাহিত্যে গদ্যের সূচনা হয় আধুনিক যুগের প্রবর্তনের সাথে সাথে। আর তখন থেকেই গদ্য ভাষায় নানা বিষয় রচনায় প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সাময়িকপত্রের বিকাশ ও গদ্যের বিকাশের সাথে জড়িত। উনিশ শতকে বাংলা গদ্যের গঠনে তৎকালীন সাময়িকপত্রাদির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এ ক্ষেত্রে মাসিক পত্রিকা
তবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তৎকালীন সময়ে একটি বিশিষ্ট পত্রিকা ছিল ‘মাসিক পত্রিকা’। ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে প্যারীচাঁদ মিত্র ও রাধানাথ শিকদারের সম্পাদনায় এ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছিল “এই পত্রিকা সাধারণের বিশেষত স্ত্রীলোকের জন্য ছাপা হইতেছে। যে ভাষায় আমাদিগের সচরাচর কথাবার্তা হয় তাহাতেই প্রস্তাব সকল রচনা হইবেক।” পত্রিকাটি আকারে খুব ছোটো ছিল, বারো পৃষ্ঠার চার বছর তা চলে। কিন্তু অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলা গদ্যের বিকাশে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কথ্যভাষার রীতিতে বাক্য রচনা, প্রচুর তদ্ভব ও ফারসি শব্দের ব্যবহার এবং ক্রিয়াপদের তৎসম ও চলিত পদের মিশ্রণ এই ছিল মাসিক পত্রিকার বৈশিষ্ট্য। প্যারীচাঁদ মিত্রের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আলালের ঘরের দুলাল’ ধারাবাহিকভাবে এই পত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে। এই গ্রন্থের ভাষারীতিই পত্রিকায় অনুসৃত হতো।
পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলা গদ্যকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করতে মাসিক পত্রিকার অবদান অনস্বীকার্য।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।
Leave a comment