যে অর্থপূর্ণ, ক্ষুদ্রতম ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি সর্বদা অন্য ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি সহযােগে বাক্যে ব্যবহৃত হয়, এককভাবে যা বাক্যে ব্যবহৃত হতে অক্ষম, তাকে বলে বদ্ধ রূপমূল বা পরাধীন রূপমূল। যেমন—’বেড়ালগুলাে’-র ‘গুলাে’ হল পরাধীন রূপমূল। আর যে সমস্ত পরাধীন রূপমূলের ঠাই অভিধানে হয় না, অথচ তা ব্যাকরণসিদ্ধ, তাই ই হল পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূল। এই পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূল দুপ্রকারের—(১) সমন্বয়ী রূপমূল, (২) নিম্পাদিত রূপমূল।
সমন্বয়ী রূপমূল : যে পরাধীন, ব্যাকরণসম্মত রূপমূল শব্দকে পদে পরিণত করে অর্থাৎ শব্দের সমন্বয়সাধন করে তার স্থিরতা আনে, তাকেই বলা হয় সমন্বয়ী রূপমূল। বিভক্তি হল সমন্বয়ী রূপমূল। যেমন—’রমা মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এল’। এই বাক্যে ‘মেয়ে’ শব্দের সঙ্গে ‘কে’ এবং ‘স্কুল’ শব্দের সঙ্গে ‘এ’ বিভক্তি যুক্ত হয়ে তারা যথাক্রমে ‘মেয়ে’ এবং ‘স্কুল’ শব্দদ্বয়ের সমন্বয়সাধন করল এবং তাদের পদে পরিণত করল। এই দুই পদের শেষে অন্য কোনাে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ কখনােই যুক্ত হতে পারে না। তাই সমন্বয়ী রূপমূল নতুন শব্দ সৃষ্টি করতে পারে না। তবে তা পদ গঠনে সম্পূর্ণতা আনে।
নিম্পাদিত রূপমূল : যে পরাধীন, ব্যাকরণসম্মত রূপমূল ধাতু বা নাম-শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দ নিষ্পন্ন করে, তাকে বলে নিম্পাদিত রূপমূল। এই রূপমূলের সাহায্যে কখনও শব্দের কার্যগত রূপের পরিবর্তন ঘটে, কখনও কেবলমাত্র অর্থেরই পরিবর্তন হয়। উপসর্গ, প্রত্যয় হয় নিম্পাদিত রূপমূল। যেমন- নি (উপসর্গ) + খোঁজ (বিশেষ্য) = নিখোঁজ (বিশেষণ); পাকা (বিশেষণ)+ মি (প্রত্যয়) = পাকামি (বিশেষ্য); অ (উপসর্গ) + চেনা (বিশেষণ) =অচেনা (বিশেষণ);কলম (বিশেষ্য) + দানি (প্রত্যয়) = কলমদানি (বিশেষ্য)।
আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান অনুযায়ী বাক্য বিশ্লেষণ করে বাক্যের গঠনের ধারণাটি সুস্পষ্ট করাে।
বাক্যের গঠন ও গঠনগত উপাদানের তুলনা করে বাক্যের অন্যতম গঠনগত উপাদান হিসেবে অব্যবহিত উপাদান-এর স্বরূপ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের ধারায় বাক্যবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পদগুচ্ছ সংগঠন ও তার সূত্রগুলি ব্যাখ্যা করাে।
বাক্যগঠন তত্ত্ব অনুসারে অধিগঠন ও অধােগঠন প্রক্রিয়া কাকে বলে লেখাে এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করাে।
গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? উদাহরণ-সহ প্রত্যেকটি ভাগের পরিচয় দাও।
বাংলা বাক্যের ভঙ্গিগত শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করাে।
অথবা, ভঙ্গিগত দিক থেকে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ করাে। যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও।
অথবা, বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগগুলি আলােচনা করাে।
বাংলা বাক্যের প্রধান দুটি অংশ এবং তাদের বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করাে।
গঠন অনুসারে বাক্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও।
শব্দার্থের প্রসার ও শব্দার্থের রূপান্তর বলতে কী বােঝ?
অথবা, শব্দার্থ-পরিবর্তনের ধারাগুলি উল্লেখ করাে। যে-কোনাে দুটি ধারার উদাহরণসহ পরিচয় দাও।
বাক্যতত্ত্ব কাকে বলে? এই ক্ষেত্রে ফার্দিনান্দ (ফের্দিনা) দ্য সােস্যুর (Ferdinand De Saussure)-এর অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
গঠনগত দিক থেকে বাক্য কত প্রকারের? যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও।
বাক্যের অব্যবহিত উপাদান বিশ্লেষণ বলতে কী বােঝ? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
Leave a comment