শিক্ষার সার্কাস কবিতাটি আইয়াপ্পা পানিকর-এর শিক্ষাবিষয়ক ভাবনার একটি কাব্যিক উপস্থাপনা। কবি লক্ষ করেছেন, এদেশে শিক্ষা যেন এক অন্তঃসারশূন্য ব্যবস্থার অর্থহীন অনুশীলন। যেভাবে সার্কাসে ট্রাপিজের খেলায় একটা দড়ি ছেড়ে আর একটা দড়ি ধরে কুশলী খেলােয়াড়, ঠিক সেভাবেই এক শ্রেণি থেকে আর-এক শ্রেণিতে ওঠার মধ্যেই শিক্ষার সার্থকতা খুঁজে পায় শিক্ষার্থীরা। এখানে পরীক্ষায় পাস করাটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। নিজেকে জ্ঞানের দ্বারা সমৃদ্ধ করার বদলে ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠাই সেখানে চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। শিক্ষা এখানে ব্যক্তিজীবনের বিকাশের বাহক নয়, ব্যক্তির আত্মসুখের প্রক্রিয়ামাত্র। যেভাবে পরীক্ষায় পাসের মাধ্যমে, এক শ্রেণি থেকে পরের শ্রেণিতে উত্তরণের মাধ্যমে শিক্ষার সার্থকতা খোঁজার চেষ্টা করা হয়, তাকে কবি কিছুতেই মন থেকে মানতে পারেননি। গােটা শিক্ষণ ব্যবস্থাটাই তার কাছে তাই সারবত্তাহীন এক মজাদার উপস্থাপনা বলে মনে হয়েছে। রুশাে প্রকৃতির থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেছিলেন—“Go to the nature” কিন্তু আমাদের যান্ত্রিক শিক্ষাপদ্ধতি শুধুই শিক্ষার্থীকে যন্ত্র বানিয়ে তােলে। শিক্ষার্থীর প্রকৃত মানসিক বিকাশ এখানে হয় না। সে কারণেই কবি পানিকর শিক্ষাকে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন তার শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায়।

নামকরণ যেহেতু যে-কোনাে রচনায় প্রবেশের প্রাথমিক চাবিকাঠি, তাই নামকরণের ক্ষেত্রে সাহিত্যিককে সবসময়েই আলাদা করে যত্নবান হতে হয়। আলােচ্য কবিতার ক্ষেত্রেও তার কোনাে ব্যতিক্রম লক্ষ করা যায় না। মালয়ালম্ কবি আইয়াপ্পা পানিকরের ‘দিন ও রাত্রি’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘শিক্ষার সার্কাস কবিতাটিতে কবি বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার অসারতা সম্পর্কে পাঠককে সচেতন করতে চেয়েছেন। এই কবিতায় কবি শিক্ষাকে ব্যঙ্গার্থে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সার্কাসে ট্র্যাপিজের খেলায় দুলতে দুলতে যেভাবে একটা দড়ি ছেড়ে দিে আর-একটা দড়ি ধরে কুশলী খেলােয়াড়, ঠিক সেভাবেই এক শ্রেণি থেকে আর-একটি শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্যেই শিক্ষার সার্থকতা খুঁজে পায় শিক্ষার্থীরা।

অথচ এর ফলে শিক্ষার্থীর নিজস্ব মানসিক বিকাশ যে রুদ্ধ হয়ে যায়, সেদিকে কারও নজর থাকে না। এই প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণ করে উপযুক্ত মানুষ হওয়ার পরিবর্তে শিক্ষার্থীরা কেবল সমাজের এক প্রতিযােগী হয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যস্ত থাকে। ফলে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ বা উদ্ভাবনী শক্তি একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে শিক্ষাকে তারা বাহন না করে কেবল বহন করে চলে। জ্ঞানের সঙ্গে সংযােগহীন এই শিক্ষা তাই কবির কাছে কেবল ধোঁকা। এই বিষয়টিই আলােচ্য কবিতায় সহজ-সরল ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে বলে কবিতার নামকরণ সার্থক হয়েছে।

আইয়াপ্পা পানিকর-এর ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোচদ্ধৃত অংশে সব শ্রেণি বলতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিসমূহকে বােঝানাে হয়েছে। পরীক্ষায় সাফল্য শিক্ষার্থীকে প্রথম থেকে দ্বিতীয়, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় কিংবা তারও পরে পর্যায়ক্রমে ওপরের শ্রেণিতে পৌঁছে দেয়। একসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন শেষ হয় কিন্তু উচ্চতর শিক্ষাক্ষেত্রেও থেকে যায় এই এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তরণ পর্ব। এমনকি এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে মানুষের শিক্ষা বহির্ভূত বা শিক্ষা-পরবর্তী জীবনেও।

এভাবেই এক নিরন্তর প্রতিযােগিতার মধ্য দিয়ে পার্থিব সাফল্যের সন্ধান করে মানুষ। জ্ঞান এবং চেতনাহীন মানুষ আত্মসুখের বাসনা চরিতার্থ করার মধ্যেই তখন সাফল্যের পথ খুঁজে যায়। সব শ্রেণি শেষ হয়ে গেলেও পরের শ্রেণি-তে যাওয়ার কথা বলে কবি আসলে সমাপ্তিহীন সাফল্যের পথসন্ধানকেই এখানে বােঝাতে চেয়েছেন। তিনি আরও বােঝাতে চেয়েছেন যে, পরীক্ষায় পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া মােটেও এক জিনিস নয়। তাই আমাদের দেশের ছেলেরা শিক্ষাশেষে শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শীর্ণ হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে। (বই পড়া-প্রমথ চৌধুরি)। এই কলে-ছাঁটা শিক্ষার ফলে কিছুতেই শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ সম্পূর্ণ হতে পারে না, তাদের অন্তর্নিহিত শক্তি বা গুণ কোনােমতেই প্রকট বা ব্যক্ত হতে পারে না।

‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় প্রশ্নোপ্ত মন্তব্যটির বক্তা কবি আইয়াপ্পা পানিকর স্বয়ং। মানুষের জীবন সবসময়ই শ্রেণিবদ্ধ। সামাজিক ও ব্যক্তিগত চাহিদা এবং লক্ষ্যপূরণের প্রয়ােজনে নিরন্তর এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তরণের পথ খুঁজে চলে মানুষ। শিক্ষাক্ষেত্রে এর বিপুল অনুশীলন লক্ষ করা যায়। কিন্তু পরীক্ষায় সাফল্যই জীবনে প্রধানতম হয়ে ওঠায় জ্ঞানের অন্বেষণের আকাঙ্ক্ষা ক্রমশই শিক্ষার্থীর মন থেকে হারিয়ে যায়। মানুষ দ্রুত যান্ত্রিক এবং আত্মসুখ-সর্বস্ব হয়ে পড়ে। শিক্ষাহীন এই শিক্ষাব্যবস্থাকে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন কবি। সার্কাসের ট্রাপিজের খেলায় যেমন খেলােয়াড় একটা দড়ি বা বার থেকে শারীরিক কসরত দেখিয়ে আর-একটিতে চলে যান, শিক্ষার ক্ষেত্রে এক শ্রেণি থেকে উত্তীর্ণ হয়ে পরের শ্রেণিতে যাওয়া তেমনই একটা বাহ্যিক চলনমাত্র। এর সঙ্গে জ্ঞানার্জনের কোনাে সম্পর্ক নেই। সার্কাসে যেমন কখনাে কখনাে মুহূর্তের বিচ্যুতি মানে নিশ্চিত পতন, প্রচলিত পরীক্ষানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থাতেও তেমনি একটি পরীক্ষায় সাফল্য না পেলে জীবনই যেন নিরর্থক হয়ে যায়। পাসের লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকের তথ্যকে গলাধঃকরণ করার চেষ্টা চলে নিরন্তর। জ্ঞানহীন, চেতনাবিমুখ এই শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীন কবি পানিকর তাই শিক্ষাকে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

নুন কবিতার নামকরণের সার্থকতা আলােচনা করাে।

শ্রমজীবী বঞ্চিত মানুষের জীবনযন্ত্রণা ‘নুন কবিতায় যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা সংক্ষেপে লেখাে।

“আমাদের শুকনাে ভাতে লবণের ব্যবস্থা হোক” -কেন কার কাছে এই দাবি করেছে?

“সব দিন হয় না বাজার” -বাজার হয় না কেন? হলে কী কী বাজার হয়?

“সে অনেক পরের কথা”—কোন্ কথা? উক্তিটির মর্মার্থ লেখাে।

‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে’ গল্পে প্রতীকের ব্যবহার যেভাবে ঘটেছে তা সমগ্র গল্প অবলম্বনে আলােচনা করাে।

কে, কোন্ পরিস্থিতিতে গল্পে ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়ােকে প্রথম দেখেছিল?

“পড়ে-থাকা শরীরটার দিকে তাকিয়ে তারা কেমন হতভম্ব হয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল।” -তাদের হতভম্ব হয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকার কারণ কী?

বিশাল ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়ােকে দেখে বিভিন্ন জনের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা নিজের ভাষায় লেখাে।

পাদরি গােনসাগা ডানাওয়ালা বুড়ােটিকে কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করেছিলেন তা বিশ্লেষণ করাে।

“শেষটায় তার মাথায় ফন্দিটা খেলে গেলাে” -ফন্দিটা সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করাে।

“এই দেবদূতই ছিল একমাত্র যে তার নিজের এই হুলুস্থুল নাট্যে কোনােই ভূমিকা নেয়নি।” -মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে।

‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে’ গল্পে মাকড়সায় রূপান্তরিত হওয়া মেয়ের চরিত্রটি কোন প্রয়ােজন সিদ্ধ করেছে?

মাকড়সা হয়ে যাওয়া মেয়েটি থুরথুরে ডানাওয়ালা বুড়ােকে কতটা প্রভাবিত করেছিল আলােচনা করাে।

“বাড়ির মালিকদের অবশ্য বিলাপ করার কোনােই কারণ ছিল না।” -এই বিলাপ করার কারণ ছিল না কেন?

মানুষের কৌতূহল কমে যাওয়ার পরে ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়ােকে যেভাবে গল্পে পাওয়া যায় তা আলােচনা করাে।

“এলিসেন্দা একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললে-” এলিসেন্দা কী দেখেছিল? এলিসেন্দা কেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল? সে কেমনভাবে উড়ে যাচ্ছিল? এলিসেন্দা কেন তাকিয়ে তাকে দেখতে থাকে?

“…সে তাে আর তখন তার জীবনের কোনাে উৎপাত বা জ্বালাতন নয়, বরং সমুদ্রের দিকচক্রবালে নিছকই কাল্পনিক একটা ফুটকিই যেন।” -উদ্দিষ্ট ব্যক্তিটিকে কাল্পনিক একটা ফুটকির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন?

‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে’ গল্পে ডানাওয়ালা বুড়াের আবির্ভাব ও মিলিয়ে যাওয়ার কাহিনি বিবৃত করাে।

‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো’ গল্পে পাদরি গােনসাগার চরিত্রটি আলােচনা করাে।

‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে’ গল্পে জাদু বাস্তবতা (magic realism)-র যে ব্যবহার লক্ষ করা যায় তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।

ছােটোগল্প হিসেবে ‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে’ গল্পের সার্থকতা আলােচনা করাে।

“পড়ে থাকা শরীরটার দিকে তাকিয়ে তারা কেমন হতভম্ব হয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল” -কারা ‘চুপচাপ’ দাঁড়িয়ে রইল? পড়ে থাকা শরীরটার’ বিবরণ তােমার নিজের ভাষায় লেখাে।

‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতাটির মূল উৎস ও আঙ্গিক সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতাটির কাব্যশৈলী বিচার করাে।

শিক্ষার সার্কাস কবিতাটির মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় কবির যে মনােভাবের প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখাে।