নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র ‘সধবার একাদশী’ প্রহসনটির রচয়িতা। সধবার একাদশী তিন অঙ্ক যুক্ত একটি প্রহসন। এটি ১৮৬৬ সালে প্রকাশিত হয়। এ প্রহসনটির প্রধান উদ্দেশ্য মদ্যপানের কুফল দেখানো। তৎকালীন উচ্ছৃঙ্খল ইংরেজি শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়ের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। মধুসূদনের ‘একেই কি বলে সভ্যতা’র প্রভাব আছে। কিন্তু সধবার একাদশী অধিকতর সার্থক। এর মধ্যে জটিল কোন কাহিনি নেই। সংলাপের অসাধারণ নৈপুণ্যে দীনবন্ধু নাটকটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। অটল, নিমচাঁদ, রামমাণিক্য- এসব চরিত্র অবলম্বন করে নাট্যকার একটি বিশেষ সমাজের পরিচয় তুলে ধরেছেন। এখানে ব্যক্তির কথা বলা হলেও তারা সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের ভূমিকা পালন করেছে। . বড়োলোকের সন্তান অটল কেমন হবে সে সম্পর্কে গোকুল বাবুর ধারণা ছিল এমন- “দেখ অটল, তুমি সম্বংশজাত, ভদ্র সন্তান, অতুল ঐশ্বর্যের অধিকারী তুমি ধর্মকর্ম করবে, এডুকেশন কমিটির মেম্বার হবে, অনারেরি ম্যাজিস্ট্রেট হবে।” কিন্তু সঙ্গদোষে এই প্রত্যাশা ব্যর্থ হয়েছে অটলের জীবনে। নিমচাঁদ সে সম্পর্কে বলেছেন। “তুই ব্যাটা আর বিদ্যে খরচ করিসনে তোর বাপ ব্যাটা বিষয় করেছে। বসে বসে খা- পাঁচ ইয়ারকে খাওয়া মজা মার।”

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।