সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।

অমিত : কেমন আছ অমিত?

নির্ঝর : ভালো আছি । তুমি কেমন আছ?

অমিত : ভালো আছি । তবে মনটা খুব খারাপ ।

নির্ঝর : কেন কী হয়েছে?

অমিত : চোখের সামনে ছোট্ট একটি ছেলেকে গাড়ি চাপা পড়তে দেখলাম । ছেলেটি শুধু একটিবার মা বলে ডাকতে পেরেছিল ।

নির্ঝর : দুর্ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে?

অমিত : ফার্মগেটে ।

নির্ঝর : ব্যস্ত রাস্তা, তারপরও এমন বেপরোয়া গাড়ি চালনা!

অমিত : বলতে পার, কবে আমাদের দেশে এরকম বেপরোয়া গাড়ি চালনা বন্ধ হবে?

নির্ঝর : যতদিন চালকরা শিক্ষিত না হবে, প্রশিক্ষিত না হবে, লাইসেন্সবিহীন চালকরা যতদিন রাস্তায় গাড়ি চালাবে, ততদিন এই বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ হবে না ।

অমিত : আরও একটি সমস্যা আছে, সেটা হলো চালকদের মাদকাসক্তি ।

নির্ঝর : ঠিক বলেছ। এ কারণে অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটছে ।

অমিত : সরকার দুর্ঘটনা রোধের জন্য কী করতে পারে?

নির্ঝর : অপ্রশস্ত রাস্তা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ । সরকারকে অবশ্যই রাস্তাঘাটগুলো প্রশস্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । বিআরটিএ-এর কাজে স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও জবাবদিহিতা আনতে হবে ।

অমিত : বিআরটিএ-এর গতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বলতে তুমি কী বোঝাচ্ছ?

নির্ঝর : গাড়ি ও চালককে সঠিকভাবে লাইসেন্স দিতে হবে এবং গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেটও সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে দিতে হবে । এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠিন ব্যবস্থা নিতে হবে।

অমিত : আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কী হবে?

নির্ঝর : ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে । ফিটনেসবিহীন, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি যাতে রাস্তায় চলতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে ।

অমিত : একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না । তাই আমাদের সমাজের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

নির্ঝর : পত্র-পত্রিকা এবং গণমাধ্যমগুলোর দৃঢ় ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে ।

অমিত : আমিও তাই মনে করি, তোমাকে ধন্যবাদ ।

নির্ঝর : তোমাকেও ধন্যবাদ ।