যে সকল মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে এর সর্বশেষ ইলেকট্রন d- অরবিটালে প্রবেশ করে তাদেরকে d-ব্লক মৌল বলা হয়। 

আবার, যেসব d- ব্লক মৌলের কোন স্থিতিশীল আয়নের ইলেকট্রনীয় কাঠামো আংশিক পূর্ণ অর্থাৎ d – d হলে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে। 

এক্ষেত্রে স্ক্যানডেনিয়াম, জিংক ও আয়রন এর ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপঃ 

Sc (21)—> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s² 3d¹

Zn(30)—> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s² 3d¹º

Fe(26)—> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s² 3d⁶

ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় এদের সর্বশেষ ইলেকট্রন d- অরবিটালে প্রবেশ করেছে। কাজেই এরা সকলেই d-ব্লক মৌল। 

আবার, এদের স্থিতিশীল আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপঃ 

Sc³+ (21)—> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶

Zn²+(30)—> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 3d¹º

Fe²+ (26)—> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 3d⁶

ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় স্ক্যানডেনিয়ামের d -অরবিটালে কোন ইলেকট্রন থাকে না। 

জিংকের স্থিতিশীল অয়নের d-  অরবিটাল পূর্ণ থাকে। 

কাজেই স্ক্যানডেনিয়াম ও জিংক অবস্থান্তর মৌল নয়, শুধু d -ব্লক মৌল।

কিন্তু আয়রন এর স্থিতিশীল আয়ন অবস্থায়  d- অরবিটাল আংশিক পূর্ণ থাকে। 

কাজেই আয়রন d-ব্লক মৌল অবস্থান্তর মৌল উভয়। 

সুতরাং বলা যায়, সকল অবস্থান্তর মৌল d-ব্লক মৌল, কিন্তু সকল d-ব্লক মৌল অবস্থান্তর মৌল নয়।