‘লভ সিন’ উপস্থাপনার উদ্যোগ: শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকে দেখা যায়, নাট্যদলের সম্পাদকের নির্দেশ অনুসারে, জনপ্রিয় হাসির নাটক মঞ্চস্থ করবার জন্য তৃপ্তি মিত্র ‘লভ সিন’ উপস্থাপনার উদ্যোগ নেন। কিন্তু নিজেকে কলেজছাত্রী নায়িকা এবং শম্ভু মিত্রকে নায়ক করে যে দৃশ্যটির অভিনয় হয়, তাতে যে হাসির সৃষ্টি হচ্ছে না সে বিষয়ে শম্ভু মিত্র এবং অমর গাঙ্গুলি সহমত পােষণ করেন।
প্রগ্রেসিভ লভ সিন-এর উপস্থাপনা : তখন তৃপ্তি মিত্রের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রগ্রেসিভ লভ সিন অভিনয়ের সিদ্ধান্ত হয়। নায়ক শম্ভু মিত্রকে একজন আত্মগােপনকারী রাজনৈতিক নেতা, তৃপ্তি মিত্রকে তার প্রেমিকা এবং অমর গাঙ্গুলিকে পুলিশ হিসেবে উপস্থাপন করে অভিনীত এই দৃশ্যের প্রতিক্রিয়ায় শম্ভু মিত্র “একটু একটু হাসি পাচ্ছিল” বললেও অমর গাগুলি স্পষ্টতই জানিয়ে দেন—“…এতে আমার হাসি পেল না।” এতে বউদি তৃপ্তি মিত্র অত্যন্ত রেগে গিয়ে বলেন “তা হলে আপনার হাসি জীবনে কোনােদিন পাবে না।”
অপ্রিয় সত্যপ্রকাশে বাধা : এরই পরিপ্রেক্ষিতে শম্ভু মিত্র অপ্রিয় সত্য বলতে অমর গাঙ্গুলিকে নিষেধ করেন। নিজের কথার সমর্থনে সংস্কৃত বাক্য উদ্ধৃত করে শম্ভু মিত্র জানান—”মা ব্রুয়াৎ সত্যম অপ্রিয়ম” অর্থাৎ অপ্রিয় সত্য কথা বলা উচিত নয়। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই অমর গাঙ্গুলি প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেন। সংস্কৃত ভাষায় নিজের জ্ঞানের অভাবকেই এভাবে অকপটে স্বীকার করেছেন বক্তা অমর গাঙ্গুলি।
এই চার দেওয়ালের মধ্যে, এই ঘরের মধ্যে জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে না—হাসিও পাবে না…। -বক্তার এই মন্তব্যের তাৎপর্য আলােচনা করাে।
এই ঘরের মধ্যে জীবনকে উপলদ্ধি করা যাবে না—জীবনকে উপলদ্ধি করার জন্য বক্তা কী করেছিলেন? শেষে তার কীরূপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল?
…কোথাও জীবনের খােরাক, হাসির খােরাক নেই। -বক্তার এই মন্তব্যটির কারণ আলােচনা করাে।
জীবন কোথায়? -কে, কাকে বলেছেন? বক্তা জীবনকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করেন?
কোথাও জীবনের খােরাক, হাসির খােরাক নেই -বক্তা কে? কোথাও জীবনের খােরাক, হাসির খােরাক নেই বলে বক্তা মনে করেছেন কেন?
এবার নিশ্চয়ই লােকের খুব হাসি পাবে? -সমগ্র নাট্যকাহিনির নিরিখে মন্তব্যটির তাৎপর্য আলােচনা করাে।
অথবা, এবার নিশ্চয়ই লােকের খুব হাসি পাবে—কে, কখন এ কথা বলেছে? এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তা কী বােঝাতে চেয়েছেন?
অথবা, এবার নিশ্চয়ই লােকের খুব হাসি পাবে—কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলা হয়েছে? বক্তব্যটির তাৎপর্য কী?
বিভাব নাটকের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকে শম্ভু মিত্রের নাট্যভাবনার যে প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকে নাট্যরীতির যে নতুনত্ব প্রকাশ পেয়েছে তা আলােচনা করাে।
একাঙ্ক নাটক হিসেবে বিভাব কতখানি সার্থক তা আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।
বিভাব নাটকটির নামকরণ কতখানি তাৎপর্যপূর্ণ, আলােচনা করাে।
আচ্ছা পাগলের পাল্লায় পড়া গেছে যা হােক।—পাগল বলতে এখানে কার কথা বলা হয়েছে? কোন পরিস্থিতিতে এই মন্তব্য করেছিলেন?
Leave a comment