অথবা, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য অবলম্বনে কয়েকটি প্রবাদ প্রবচনের উল্লেখ কর

উত্তর: আদি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একমাত্র নিদর্শন বড়ু চণ্ডীদাস রচিত ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য। নবজাতি বাংলা ভাষা বড়ু চণ্ডীদাসের মতো শক্তিশালী কবির হাতে অপূর্ব শ্রীমণ্ডিত হয়েছে বাংলা ভাষার বিশিষ্ট বাগভঙ্গি এবং রচনাশৈলী এতে আপন স্বভাবে ভাস্বর। বাংলা ভাষায় প্রচলিত বহু প্রবাদ বাক্য আমরা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে দেখতে পাই।

নিচে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে প্রচলিত প্রবাদ প্রবচনসমূহ উল্লেখ করা হলো:

১. ললাট লিখন খণ্ডন না জাত্র (দানখণ্ড)

২. মোর মন পোড়ে যেন কুম্ভারের পণী। (বিরহখণ্ড)

৩. পাখি জাতি নহোঁ বড়ায়ি উড়ী পড়ি যাওঁ (বংশীখণ্ড)

৪. কাটিল ঘাঅত লেম্বুরান দেহ কত (বিরহ খণ্ড)

৫. মধু লোভে ভ্রমর গুজরে (বিরহখণ্ড)

৬. মাকড়ের হাতে সেহ্ন ঝুনা নারিকেল।

৭. মাকড়ের যোগ্য কড়ো নহে গজমতী।

৮. সোনা ভাঙ্গিলে আছে উপাএ

জুড়ি এ আগুন চাপে

পুরুষ নেহা ভাঙ্গিলে

জুড়ি এ কাহার বাপে (বিরহখণ্ড)

এভাবে আমরা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে প্রবাদ প্রবাচনের ব্যবহার লক্ষ করি।