উত্তর: বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন স্বীকৃত। তেরো খণ্ডে বিভক্ত এ কাব্যের গুরুত্বপূর্ণ খণ্ড হচ্ছে বংশীখণ্ড। রাধাকে আকৃষ্ট করার জন্য কৃষ্ণ সময়ে অসময়ে বাঁশিতে সুর তোলে। কৃষ্ণের বাঁশির সুর শুনে রাধার রান্না এলোমেলো হয়ে যায়। রাধার রাতে ঘুম আসে না, মন কুমারের চুলার মতো পুড়তে থাকে, তাই রাতে ঘুম আসে না। এমনকি কৃষ্ণের অদর্শনে রাধা ভোরবেলা মূর্ছা যায়। এহেন পরিস্থিতিতে বড়াই রাধাকে পরামর্শ দেয় এই বলে যে, কৃষ্ণ সারারাত বাঁশি বাজিয়ে সকালে কদমতলায় যখন বাঁশি শিয়রে রেখে ঘুমাবে তখন তুমি সেই বাঁশি চুরি করবে। এতেই তোমার সকল সমস্যার সমাধান হবে। বড়ায়ির মতো রাধা তাই করে। কিন্তু কৃষ্ণ বুদ্ধিমান। তাই বাঁশি কে চুরি করেছে তা বুঝতে তার দেরি হয় না। তবে সহজেই কৃষ্ণ বাঁশি ফেরত পায় না। এজন্য রাধা কৃষ্ণকে বলে যে, বড়ায়িকে সাক্ষী রেখে কৃষ্ণকে কথা দিতে হবে যে, সে (কৃষ্ণ) কখনো রাধার কথার অবাধ্য হবে না এবং রাধাকে পরিত্যাগ করবে না। তবেই রাধা কৃষ্ণের বাঁশির সন্ধান দিবে। রাধার সাথে চুক্তি মতো কৃষ্ণ কথা দিলে বাঁশি ফিরে পায়। এভাবে বংশী খণ্ডে আমরা রাধাকৃষ্ণের মান অভিমানের পরিচয় পাই।
Leave a comment