কোনাে লেখকের লেখার শৈলীর ভাষাবিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণকেই শৈলীবিজ্ঞান (Stylistics) বলা হয়।
শৈলীকে প্রথাগতভাবে দু-ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে一 (১) মূল্যায়নভিত্তিক (Evaluative) শৈলী এবং (২) বর্ণনামূলক (Descriptive) শৈলী। কোনাে রচনার শৈলীর বৈশিষ্ট্যসমূহের প্রকাশই হল মূল্যায়নভিত্তিক শৈলী। আর, কোনাে লেখকের লেখার শৈলীর বিবরণই হল বর্ণনামূলক শৈলী। প্রথম প্রকারের শৈলীতে দুজন লেখকের শৈলীর পার্থক্য নির্ণয় করা যায়। আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে কোনাে লেখকের দুটি পৃথক, একজাতীয় রচনার শৈলীর পার্থক্যের বিবরণ দেওয়া যায়। ফার্দিনান্দ দ্য সােস্যুরের মতে শৈলীর দুটি দিক一 (১) লাঙ’ ও (২) ‘পারােল। ভাষার নানা উপাদান (যেমন ধ্বনি, রূপ, বাক্য ইত্যাদি) এবং সেই উপাদানগুলির পারস্পরিক সম্পর্কের বিধিবদ্ধ জালবিন্যাসই হল লাঙ (Langue)। আর সেই লা-এর বিধিকে মান্য করেও লেখক যখন তাঁর ভাষা-ব্যবহারের উপাদান নির্বাচন ও প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে নিজস্ব একটি বাচনক্রিয়া তৈরি করেন, তখন তাকে বলে পারােল (Parole)। লেখকের মূল ভিত্তি তাই লাঙ হলেও শৈলী বিষয়টি প্রধানত পারোল-এর এক্তিয়ারভুক্তই। শৈলীবিজ্ঞানে লেখকের ভাষা ব্যবহারের রূপরীতি ও স্টাইলের পর্যালােচনা করা হয়। সুতরাং শৈলীবিজ্ঞানসম্মত সাহিত্যবিচার অনেক বেশি Objective, সেখানে রচনার বাক্য গঠন, শব্দ ব্যবহারের অভ্যাস, দীর্ঘ ও হ্স্ববাক্য ব্যবহারের পৌনঃপুনিকতা, বিভিন্ন নামপদের সংখ্যাগত প্রাধান্য ক্রিয়া ও ক্রিয়াবিশেষণের অনুপাত, আতিশয্যমূলক শব্দের ব্যবহার ইত্যাদির ওপর জোর দেওয়া হয়।
শৈলীতে যে প্রকরণ (Tool) গুলি ব্যবহৃত হয়, সেগুলি হল一 (১) প্রমুখন (Foregrounding), (২) বিচ্যুতি (Deviation) বা বিসারণ, (৩) সমান্তরালতা (Parallelism), (8) কোড-বদল বা সংকেত বদল (Code switching), (৫) বহুস্বরতা বা বহুধ্বনিময়তা (Polyphony)। বক্তব্যকে পাঠকের সামনে নিয়ে আসাই হল প্রমুখন। ভাষার প্রতিষ্ঠিত ও প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে আসার ঘটনাই হল বিচ্যুতি। বাক্যের অধিগঠন এবং অধােগঠন—এই দুই স্তরেই হতে পারে বিচ্যুতি বা বিসারণ। একই কথার পৌনঃপুনিক ব্যবহারই হল সমান্তরালতা। একটি ভাষারীতির মধ্যে অন্যরীতির শব্দ বা বাক্যখণ্ড ব্যবহারকেই বলে কোড বদল। কোনা বড়াে আখ্যানে থাকা বহু, বিচিত্র চরিত্রগুলি রচনাতে ভিন্ন ভিন্ন স্বরকে প্রতিষ্ঠা করে এবং সেই স্বরগুলি রচনার জটিল বিন্যাসে গ্রথিত হয়। এটাই বহুস্বরতা।
শৈলীবিজ্ঞানের বিশেষ বিশেষ প্রকরণের নাম লেখাে এবং নির্বাচন প্রকরণ-এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
অভিধান বিজ্ঞান কাকে বলে? অভিধান কত রকমের হতে পারে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
অথবা, অভিধান বিজ্ঞান কী? বিষয়টি ভাষাবিজ্ঞান অনুসারে ব্যাখ্যা করাে।
ধ্বনিমূল সম্পর্কে তােমার ধারণাটি সংক্ষেপে স্পষ্ট করাে।
ধ্বনিমূলের স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য (Distinctive feature) উদাহরণ সহযােগে বুঝিয়ে দাও।
ধ্বনিতত্ত্বে ন্যূনতম শব্দজোড়ের (Minimal pair) ভূমিকা সবিস্তারে লেখাে।
সহধ্বনির (Allophone) স্বরূপ বিশ্লেষণ করাে।
বিভাজ্য ধ্বনিমূল ও অবিভাজ্য ধ্বনিমূলের তুলনামূলক আলােচনা করাে।
উদাহরণ সহযােগে ধ্বনিমূলের অবস্থান (Distribution) ব্যাখ্যা করাে।
কয়েকটি পদ্ধতির সাহায্যে খুব সংক্ষেপে ভাষায় উচ্চারিত বিভিন্ন ধ্বনির মধ্যে ধ্বনিমূল ও সহধবনি শনাক্ত করাে।
অথবা, ভাষার ধ্বনিমূল এবং সহধ্বনি শনাক্তকরণের প্রধান তিনটি পদ্ধতির আলােচনা সংক্ষেপে করাে।
উদাহরণসহ ধ্বনিমূল এবং সহ ধ্বনির সম্পর্ক নির্ণয় করাে।
দুটি করে উদাহরণ-সহ গুচ্ছ ধ্বনি ও যুক্ত ধ্বনি-র পরিচয় দাও।
অবিভাজ্য ধ্বনি বলতে কী বােঝ? উদাহরণসহ অবিভাজ্য ধ্বনিগুলি সম্পর্কে আলােচনা করাে।
অথবা, অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? দুটি অবিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও।
Leave a comment