১৭ই মার্চ বাঙালির জন্য একটি গৌরবময় দিন। কারণ এই দিন বাংলার বুকে জন্ম হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত একজন ব্যক্তিত্বের। শিশু দিবস কি – ১৭ ই মার্চ – জাতীয় শিশু দিবস সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
শিশু দিবস কি – ১৭ ই মার্চ – জাতীয় শিশু দিবস
শিশু দিবস কি
শিশুদের নিয়ে এবং শিশুদের উদ্দেশ্যে যে দিবস পালন করা হয় তাকে শিশু দিবস বলা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশু দিবস বিভিন্ন দিনে পালন করা হয়। তবে ১৯২০ সালের ২৩ এপ্রিল তুরস্কে সর্বপ্রথম শিশু দিবস পালন করা হয়। প্রতি বছর বিশ ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস এবং জুন মাসের এক ১ তারিখে অর্থাৎ ১ লা জুন আন্তর্জাতিক শিশু দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। তবে প্রত্যেকটা দেশেই তাদের নির্দিষ্ট একটি দিন আছে সেই দিন সেই দেশের শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশে ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
১৭ ই মার্চ – জাতীয় শিশু দিবস
মার্চ মাসের ১৭ তারিখ অর্থাৎ ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস। এই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যদি ওই দিনটি বাঙালি জাতির কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন হিসেবেই বেশি পরিচিতি লাভ করেছে। ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া জেলায় পিতা শেখ লুৎফুর রহমান ও মা সায়রা বেগমের কোল আলো করে পৃথিবীতে আসেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে এই বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশের প্রথম শিশু দিবস পালন করা হয় ১৯৯৪ সালে ১৭ মার্চ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রথম বারের মতো বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন “জাতীয় শিশু দিবস” হিসাবে পালন করে জাতীয় শিশু সংগঠন। বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা ১৯৯৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর শিশু সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার জাতীয় সম্মেলনে শিক্ষাবিদ ডক্টর নীলিমা ইব্রাহিম ১৭ই মার্চ এই দিবসটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করার জন্য প্রস্তাব পেশ করেন।
আর সেই সম্মেলনে তৎকালীন নেত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এবং তিনি শিশু দিবস হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে পালনে ডক্টর নীলিমা ইব্রাহিমের প্রস্তাবের সমর্থন করেন। বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা প্রথমবারের মতো বেসরকারিভাবে ১৯৯৭ সালে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। তবে বঙ্গবন্ধুর জ্যৈষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা প্রথম জাতীয় শিশু দিবস উদ্বোধন করেন।
১৯৯৬ সালের সরকারিভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটি কে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে বেসরকারিভাবে এবং ১৯৯৭ সাল থেকে সরকারিভাবে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনে সারা দেশের শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে শিশু দিবস পালন করা হয়।সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয় এবং এই দিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়।
জাতীয় শিশু দিবস অর্থাৎ ১৭ই মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। এই দিনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড় পত্র প্রকাশ করে থাকে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অপরিসীম ভালোবাসা। তিনি শিশুদের খুব ভালোবাসতেন এবং তাদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন।
শিশুরা দল বেঁধে বঙ্গবন্ধুকে শুভেচ্ছা জানাতে যেত আর এইসব সার্বিক দিক বিবেচনা করে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার লক্ষ্যে ১৭ই মার্চ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে পালন করা হয় জাতীয় শিশু দিবস।
১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন
১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম লুৎফুর রহমান ও মায়ের নাম সায়রা খাতুন। বঙ্গবন্ধুর আদুরে নাম জন্মদিন পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম সহ দেশের সকল মসজিদ ও মাদ্রাসায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করা হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা সহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে এই দিবসটি পালন করা হয়।
এ ছাড়াও রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ্য আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় ও ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করে থাকে। বঙ্গবন্ধুর নিজ জন্মভূমি টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারেও বিভিন্ন প্যারেড প্রদর্শন করা হয় এবং বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়াও সকলকে ঘরে বসে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান দেখার জন্য আহ্বান জানানো হয়। বিভিন্ন সরকারি – বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খাদ্য ও সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
১৭ই মার্চ ২০২৩ বঙ্গবন্ধুর কত তম জন্মদিন
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ ছিল বুধবার। আর ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে। ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী পালন করবে সারা বাংলা। এই দিনে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করা হয়। এই দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই দিনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ও বিভিন্ন দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন মসজিদ,মন্দির, চার্চ, প্যাগোডা প্রভৃতিতে বিভিন্ন দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।এছাড়াও রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ্য আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের বৌদ্ধ সম্প্রদায় ও ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা ও সভার আয়োজন করে থাকে। বঙ্গবন্ধুর নিজ মাতৃভূমি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রসারিত অনুষ্ঠান দেখার জন্য সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়
শিশু দিবসে ২০২২ সালে প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল – “গড়বে সোনার দেশ, ছড়িয়ে দিয়ে আলোর বেশ”
এবং ২০২৩ সালে শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – “প্রতিটি শিশুর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তার ভিত্তি গড়ে উঠুক”।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন ও কর্মজীবন অসামান্য গৌরবের ছিল। জাতীয় শিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – বঙ্গবন্ধু গৌরবের ইতিহাস থেকে প্রতিটি শিশুর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তার ভিত্তি গড়ে উঠুক। শিশু কিশোরদের চারিত্রিক দৃঢ়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য পুষ্টির দিকে নজর দিয়ে তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ নিশ্চিত হোক। আমাদের এ বছরের শিশু দিবসের প্রত্যয়।
জাতীয় শিশু দিবস কবে
শিশুদের নিয়ে এবং শিশুদের জন্য যে দিবস পালন করা হয় তাকে শিশু দিবস বলা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় শিশু দিবস পালন করা হয়। তবে ১৯২০ সালের ২৩ শে এপ্রিল তুরস্কের সর্বপ্রথম শিশু দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর ২০ নভেম্বর শিশু দিবস এবং জুন মাসের ১ তারিখে অর্থাৎ পহেলা জুন আন্তর্জাতিক শিশু দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। তবে প্রত্যেকটা দেশেই তাদের নির্দিষ্ট একটি দিন আছে সেদিন সেই দেশে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশে ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস। বাংলাদেশে প্রথম ১৯৯৪ সালে ১৭ই মার্চ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বেসরকারিভাবে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয় এবং ১৯৯৭ সালের ১৭ই মার্চ থেকে সরকারিভাবে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে এই দিনটি পালন করা হয়।
১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস কেন
১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আর এই দিন জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু আমাদের সবার মনে একটি প্রশ্ন জাগে কেন এই দিন জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শিশুসুলভ আচরণের অধিকারী একজন গর্বিত মানুষ। তিনি শিশুদের অনেক ভালোবাসতেন এবং তাদের সঙ্গে খেলা করতে পছন্দ করতেন। ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসতো।
শিশুদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকেই হয়তো ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসের সূচনা হয়েছে। এই জন্যই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে এই দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শিশুদের জন্য আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার নতুন শপথ নিতেই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বাংলাদেশ শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শিশু মনের অধিকারী একজন মানুষ। তিনি শিশুদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন এবং তিনি শিশুদের সাথে খেলা করতেও ভালোবাসতেন। আর এইরকম একজন ব্যক্তির জন্মদিন কে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। তাই আমাদের সবার প্রত্যাশা থাকবে প্রতিটি শিশু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বড় হবে এবং দেশপ্রেমিক হবে আমাদের বঙ্গবন্ধুর মত।
১৭ই মার্চের কুইজ প্রতিযোগিতা
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কে কেন্দ্র করে ১৭ ই মার্চে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে থাকে নানা ধরনের ছোট বড় প্রশ্ন। এখানে এমনই কিছু প্রশ্নের নমুনা তুলে ধরা হলো –
বঙ্গবন্ধু কত সালে জন্মগ্রহণ করেন
👉১৯২০ সালে
বঙ্গবন্ধু কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন
👉১৭ই মার্চ
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ কি বার ছিল
👉বুধবার
বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম কি
👉খোকা
বঙ্গবন্ধুর বাবার নাম কি
👉 শেখ লুৎফর রহমান
বঙ্গবন্ধুর মায়ের নাম কি
👉সায়রা খাতুন
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা জীবন শুরু হয় কত বছর বয়সে
👉৭ বছর বয়সে
বঙ্গবন্ধুর প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় এর নাম কি
👉গিমাডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুল
বঙ্গবন্ধু কত বছর বয়সে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন
👉৯ বছর বয়সে
বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জের সীতানাথ একাডেমিতে পাবলিক স্কুলে কোন শ্রেণীতে ভর্তি হন
👉তৃতীয় শ্রেণীতে
বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জের সীতানাথ একাডেমী পাবলিক স্কুলে কত সালে ভর্তি হন
👉১৯২৯ সালে
বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন কোন বিদ্যালয় থেকে
👉গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুল থেকে
বঙ্গবন্ধু ছাত্র জীবন সূচনা হয় কত সালে
👉১৯২৭ সালে
বঙ্গবন্ধু বিয়ে পাস করেন কোথা থেকে
👉 কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে
বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন বিভাগে ভর্তি হন
👉 আইন বিভাগে
বঙ্গবন্ধু কত সালে ৬ দফা পেশ করেন
👉 ১৯৬৬ সালে
বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ কত সালে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে
👉 ১৯৭০ সালে
১৯৭১ সালের কত তারিখে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন
👉 ৭ই মার্চ
বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ দেন কোথায়
👉 রেসকোর্স ময়দানে
কত সালে অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি প্রকাশিত হয়
👉 ২০১২ সালে
কোন বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু নামে চেয়ার স্থাপন করে
👉 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান ইনস্টিটিউট থাইল্যান্ড।
বঙ্গবন্ধু রচিত বই সমূহের নাম কি কি
👉 অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারে রজন মোচা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার দেখা নয়া চীন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল
👉এবারের সংগ্রাম মুক্তি সংগ্রাম, এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
কখন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন
👉 ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ
বঙ্গবন্ধু কখন মুক্তিযুদ্ধে গ্রেফতার হন
👉 ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর
মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয় কবে
👉 ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন
👉 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধুর মুক্তির পর কোন দুটি দেশ হয়ে দেশে ফেরেন
👉 যুক্তরাজ্য ও ভারত
কবে বঙ্গবন্ধু দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন
👉 ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি
কবে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ দেন
👉 ১৯৭৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর
কবে বঙ্গবন্ধু শান্তির জন্য জুলিও কুরি পদক লাভ করেন
👉 ১৯৭২ সালে ফ্রান্সে ১৮ অক্টোবর
কখন বঙ্গবন্ধু সহ পরিবারের নিহত হন
👉 ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট
বঙ্গবন্ধুর পরিবারে বেঁচে যাওয়া দুইজনের নাম কি কি
👉 শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধু কোথায় সপরিবারে নিহত হন
👉 ধানমন্ডির ৩২ নম্বর নিজ বাসভবন
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে কারা হামলা করে
👉 সেনাবাহিনীর একদল ঘাতক
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা তখন কোথায় ছিলেন
👉 পশ্চিম জার্মানি
বঙ্গবন্ধুর কতজন খুনিকে আদালত মৃত্যুদণ্ড দেন
👉 ১২ জন
বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন
👉 আইন বিভাগের
শেষ কথা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন অসামান্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন মানুষ। তিনি ছিলেন যেমন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ, তেমনি ছিলেন একজন প্রজা সুলভ সরকার। তিনি শিশুদের ভালবাসতেন, তাদের সঙ্গে খেলা করতেন। তাইতো ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে এই দিন জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
Leave a comment