শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ। শিক্ষার্থীর মধ্যে যথার্থ অনুরাগ বা আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারলে শিক্ষণীয় বিষয় সে সহজেই আত্মস্থ করতে পারবে, ফলে শিক্ষা ফলপ্রসূ হবে।
(1) বিষয়বস্তু নির্বাচন : আগ্রহ শিক্ষার্থীকে বিষয়বস্তু নির্বাচনে সহায়তা করে। যেমন— আগ্রহভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষার্থীকে অনুপ্রেরণা দেয়, যা শিক্ষার্থীর জীবনবিকাশের ক্ষেত্রে সহায়ক।
(2) মনােযােগ বৃদ্ধি: কোনাে বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি হলে সেই বিষয়ে শিক্ষার্থী মনােযােগী হয়। কোনাে বিষয়ের সুষ্ঠু আয়ত্তীকরণ ও জ্ঞানার্জন ওই মনােযােগেরই ফসল।
(3) প্রেষণার সঞর: আগ্রহ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রেষণার সঞ্চার করে। প্রেষণাই শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে, সে তখন জ্ঞানের উন্মেষসাধনে ব্রতী হয়।
(4) সাফল্য: আগ্রহ শিশুদের সাফল্যের চাবিকাঠি। কঠিন বিষয়বস্তু সহজবােধ্য হয় আগ্রহ থাকলে, স্বাভাবিক আগ্রহের উপর ভিত্তি করেই কঠিন বিষয় বােধগম্য হয়।
আগ্রহের প্রয়ােজনীয়তা
শিক্ষার ক্ষেত্রে শিশুর আগ্রহ বিশেষভাবে প্রয়ােজনীয়। শিক্ষার্থী পাঠ্যবিষয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠলে শিক্ষা বিষয়টি সামগ্রিকভাবে আনন্দদায়ক হয়ে উঠবে। শিক্ষায় আগ্রহের প্রয়ােজনীয়তাগুলি হল—
(1) সক্রিয়তা বৃদ্ধি: আগ্রহ শিশুকে সক্রিয় করে তােলে। সক্রিয়তা শিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
(2) অনুশীলনে সহায়তা: শিশুর আগ্রহ বৃদ্ধি পেলে তা অনুশীলনে সহায়ক হয়। এই অনুশীলন তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
(3) প্রেষণা সঞ্জার : আগ্রহ শিশুর মধ্যে শিক্ষাভিমুখী প্রেষণা সারে সহায়তা করে এবং তার প্রেষণাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে।
(4) ভবিষ্যৎ জীবনে সফলতা: শিশুর আগ্রহের যথাযথ অনুশীলনই তাকে ভবিষ্যৎ জীবনে সফল হতে সাহায্য করে।
(4) নতুন কর্মে অনুপ্রেরণা: আগ্রহ শিক্ষার্থীদের নতুন সৃষ্টির প্রতি উদ্যম সৃষ্টি করে। নতুন কাজে আগ্রহ জাগায়।
(5) নির্দেশনা প্রদান: শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুশীলন করে তার ভবিষ্যৎ বৃত্তি নির্বাচনে নির্দেশনা প্রদান করা হয়, যার ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীর ভাবী জীবনপথ সুগম হয়।
সুতরাং বলা যায়, শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিশুর মনে জ্ঞান আহরণের প্রতি আগ্রহ সঞ্চার করতে পারলে তা সারাজীবন স্থায়ী হবে।
Leave a comment