Technology শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দ Technic’ থেকে যার অর্থ হল শিক্ষা বা দক্ষতা এবং ‘Logia’ যার অর্থ হল বিজ্ঞান বা অধ্যয়ন। বর্তমান সমাজ প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে দ্রুত এগিয়ে চলেছে, আধুনিককালে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা ও ব্যবসা বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের বিশেষ সুবিধা আছে।

(১) সক্রিয়তা সৃষ্টি: সক্রিয়তা ছাড়া শিখন কার্যকরী হয় না। প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে শিক্ষায়, শিক্ষার্থীকে সর্বদাই সক্রিয় থাকতে হয়। সক্রিয়তা শিক্ষার্থীকে সাফল্যলাভে সাহায্য করে।

(২) ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান : সাধারণ পাঠদানের ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান সম্ভব হয় না। কিন্তু প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ভিত্তিক শিক্ষাদান সম্ভব হয়। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মানসিক ক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষালাভ করতে সক্ষম হয়।

(৩) প্রেষণা সঞ্চার : প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ইতিবাচক মনােভাব গঠনে সহায়ক। এতে শিক্ষার্থীর মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়, প্রেষণার সার ঘটে। এই প্রেষণা কাজে উৎসাহ জোগায়।

(৪) অনুশীলনের সুযােগ : প্রযুক্তিবিদ্যা তথা কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযােগ পায়। শিক্ষার্থীরা প্রয়ােজন অনুসারে নিজস্ব সময় অনুযায়ী অনুশীলন করতে পারে, ফলে শিক্ষণীয় বিষয় অধিক ত্রুটিমুক্ত হয়।

(৫) সমস্যাসমাধান মূলক শিখন : প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা নিজেরাই সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়। এতে তারা আত্মতৃপ্তিও লাভ করে।

(৬) আত্মপ্রত্যয় সৃষ্টি : প্রযুক্তিভিত্তিক শিখনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধান করতে পারে। ফলে তাদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় বা আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয়।

সুতরাং বর্তমানে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা বিশেষ জনপ্রিয়। বিভিন্ন মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় প্রযুক্তি বিশেষ সাহায্য করে, যা অন্য মাধ্যমে সম্ভব নয়।