শিক্ষা ক্ষেত্রে শ্রবণ, দৃশ্য উপকরণগুলির উপস্থাপন শিক্ষণীয় বিষয়কে আরও সহজবােধ্য করে তােলে। শিক্ষণীয় বিষয় সমূহকে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উপকরণগুলি যথাক্রমে- বেতার, টেপরেকর্ডার, সবাক চলচ্চিত্র, টেলিভিশন।

(১) সার্বিক অনুষ্ঠান প্রচার: বেতারের বিভিন্ন অনুষ্ঠান সহজ সরল ভাষায় সাধারণ মানুষের সামনে উপস্থাপন করা হয় ফলে নিরক্ষর মানুষও বুঝতে পারে। সহজসরল ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করে বলে বেতার এত জনপ্রিয়।

(২) স্বল্প খরচ : বেতার বা টেপরেকর্ডারের দাম তুলনামূলকভাবে কম। ফলে সহজেই মানুষ তা কিনতে পারে। ধনী-দরিদ্র সকল শ্রেণির মানুষ এই শ্রবণ উপকরণের সাহায্যে শিক্ষালাভ করতে পারে।

(৩) বাস্তবভিত্তিক অনুষ্ঠান : বেতারে যেসব অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়, তা বাস্তবধর্মী হওয়ায় মানুষের মনকে স্পর্শ করে। মানুষ তাই এগুলির মাধ্যমে শিক্ষা ও আনন্দ দুটিই গ্রহণ করে।

(৪) মৌলিক শিক্ষা : শ্রবণ নির্ভর শিক্ষা-উপকরণগুলি শিক্ষকের শিক্ষণ পদ্ধতিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। উপকরণগুলি মৌখিক শিক্ষাদানে সহায়তা করায় বিষয়বস্তু অনেক আকর্ষণীয় হয়।

(৫) একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান : এই উপকরণগুলির মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান করা সম্ভব হয়।

(৬) অন্ধ শিশুদের জন্য উপযােগী : যারা চোখে দেখতে পায় না বা পড়তে পারে না তারা বিশেষ করে এই উপকরণগুলির উপর বেশি নির্ভরশীল।

(৭) আগ্রহ সৃষ্টি : শ্রবণ নির্ভর উপকরণগুলি ব্যবহার করলে তা অনেক বেশি হৃদয়গ্রাহী হয়, আগ্রহ ও মনােযােগ বৃদ্ধি পায়। ফলে শিখন দ্রুত হয়।

(৮) সমাজ সচেতনতা : বেতারের মাধ্যমে এমন কিছু অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়, যা শ্রোতাদের সমাজসচেতন করে তােলে। তা ছাড়া বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মের প্রতি বেতার প্রতিবাদমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করে।

(৯) বহনযােগ্যতা : বেতার বা টেপরেকর্ডার বহনযােগ্য হওয়ায়, সবাই একে ব্যবহার করতে পারে ও এর মাধ্যমে শিক্ষালাভ করতে পারে।

সুতরাং বেতার বা টেপরেকর্ডার শ্রবণযন্ত্র গুলি শিক্ষার্থীর শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে, তবে রুচিশীল ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচার করতে বিশেষভাবে জোর দেওয়া উচিত।