যে সব কারণে শিক্ষার লক্ষ্যসমূহের প্রয়ােজনীয়তা আছে, তা হল一

  • শিক্ষার লক্ষ্য শিক্ষামূলক কর্মসম্পাদনের প্রেষণা বৃদ্ধি করে।

  • এটি শিক্ষা-সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মপ্রচেষ্টাকে অর্থবহ করে তােলে।

  • শিক্ষার লক্ষ্য শিক্ষার পাঠক্রম প্রণয়নে সাহায্য করে।

  • শিক্ষায় মূল্যায়নের ভিত্তি তৈরি হয়।

  • শিক্ষামূলক কর্মসম্পাদনের পথ নির্দেশ করে, সময় ও শ্রম সাশ্রয় করে।

  • শিক্ষার লক্ষ্য শিক্ষার্থীর বৌদ্ধিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে।

  • শিক্ষার লক্ষ্যগুলি শিক্ষা প্রক্রিয়ার নিরবচ্ছিন্নতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

  • এটি বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

  • বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার লক্ষ্য পর্যালোচনা করে সেইসময়ের দেশের আর্থসামাজিক-সাংস্কৃতিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করা যায়।

শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয় বিবেচনা করা হয়, সেগুলি হল

[1] রাজনৈতিক আদর্শ : রাজনৈতিক মতাদর্শ শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমান গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষে শিক্ষার লক্ষ্য হল শিক্ষায় সমসুযােগ সৃষ্টি করা এবং সকলের জন্য প্রারম্ভিক শিক্ষার ব্যবস্থা‌ করা।

[2] শিক্ষার্থীর ক্ষমতা এবং চাহিদা : শিক্ষার্থীদের জন্যই শিক্ষা তাই শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ও চাহিদা এবং এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পার্থক্যকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়ােজন।

[3] সমাজ ও জাতির চাহিদা : সমাজ ও জাতির কল্যাণ ও উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হল সুষ্ঠু শিক্ষাব্যবস্থা। সেই কারণে সব স্বাধীন দেশ শিক্ষার লক্ষ্য নির্দিষ্টকরণে সমাজ ও জাতির কল্যাণের প্রতি বিশেষ নজর দেয়।

[4] জ্ঞানের প্রসার : প্রতিনিয়ত জ্ঞানের প্রসার ঘটছে। তাই জ্ঞানের প্রসারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করা প্রয়ােজন।

[5] আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শিক্ষা সম্পর্কে নতুন চিন্তাভাবনা : সকলের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা, প্রথাবহির্ভূত শিক্ষা, জীবনব্যাপী শিক্ষা সবই আন্তর্জাতিক স্তরের শিক্ষাচিন্তার ফল| তাই শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শিক্ষা সম্পর্কে নতুন চিন্তাভাবনার ওপর সবিশেষ গুরুত্ব দেওয়া বিশেষ প্রয়ােজন