শিক্ষা সম্পর্কিত বিজ্ঞান ভিত্তিক জ্ঞান, শিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য যে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানের ব্যবহার করা হয়, তাকে বলে শিক্ষাপ্রযুক্তি সুতরাং শিক্ষা-শিখন প্রক্রিয়া বিকশিত করার জন্য শিক্ষা প্রযুক্তির প্রয়ােজন। বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদানগুলি হল—

(১) শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে প্রযুক্তিবিজ্ঞান: ব্যক্তি ও সমাজের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে প্রযুক্তিবিদ্যা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যেমন— বর্তমানে কম্পিউটার সবক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য বলে মনে করা হয়।

(২) একঘেয়েমি দূরীকরণ: সাধারণ ধর্মের তাত্ত্বিক শিক্ষার মাধ্যমে পঠন পাঠনে শিক্ষার্থীর মনে একঘেয়েমি আসে। কিন্তু শিক্ষায় প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার শিক্ষার্থীকে এই একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেয়, ফলে শিক্ষা হয় স্বতঃস্ফূর্ত, শিক্ষার্থীকে আনন্দ দান করে।

(৩) আত্মতৃপ্তি: যে শিক্ষায় যথার্থ তৃপ্তি নেই, সে শিক্ষায় যথার্থ ফল নেই। আত্মতৃপ্তিই আত্মবিকাশের সহায়ক। প্রযুক্তিবিদ্যা আত্মতৃপ্তি আনে, এটি মানুষের দেহে-মনে, চিন্তায়, রুচিতে অভিনবত্বের প্রকাশ ঘটায়।

(৪) সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ: সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানাের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যা বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছে।

(৫) শিক্ষা প্রশাসন ক্ষেত্রে প্রযুক্তি : নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিস্তার, ভরতির আবেদনপত্র, ভরতি তালিকা প্রস্তুত ইত্যাদি ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রযুক্তির ব্যবহার সক্রিয়।

(৬) মূল্যায়ন প্রক্রিয়া: আজকের দিনে শিক্ষা প্রযুক্তি মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন— MCQ বা বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নের উত্তরপত্র দেখা, মার্কশিট তৈরি করা, নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ প্রভৃতি।

সুতরাং উল্লিখিত দিকগুলি ছাড়াও প্রযুক্তিবিদ্যা শিক্ষায় শিক্ষকের সাহায্য করে। এটি নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনমত সাহায্য করে ও গবেষণা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।

পরিবেশ শিক্ষা সম্পর্কে ইউনেস্কোর ভূমিকা আলােচনা করাে।

ইউনেস্কোর প্রকাশিত শিক্ষা সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক মানের ছ-টি পুস্তকের নাম উল্লেখ করাে।

শিক্ষার দিক ও শিক্ষকের অবস্থান সম্পর্কে ইউনেস্কোর বক্তব্য লেখো।