শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহের গুরুত্ব
আধুনিক শিক্ষায় শিশুর সামগ্রিক জীবনবিকাশে আগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর শিক্ষায় আগ্রহের ভূমিকা নিম্নরূপ一
(1) সক্রিয়তা বৃদ্ধি : আগ্রহ শিক্ষার্থীকে শিক্ষাগ্রহণে সক্রিয় করে তােলে, যে সক্রিয়তা জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
(2) নতুন কর্মে অনুপ্রেরণা: আগ্রহ শিক্ষার্থীকে নতুন নতুন কর্মে অনুপ্রেরণা জোগায়, নতুন সৃষ্টির প্রতি শিক্ষার্থীকে উৎসাহিত করে।
(3) প্রেষণা সঞর: আগ্রহ শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষাভিমুখী প্রেষণা সঞ্চার করে শিখন প্রক্রিয়াকে অধিক ফলপ্রসূ করে।
(4) নির্দেশনা প্রদান: শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুশীলন করে তার ভবিষ্যৎ বৃত্তি নির্বাচনে নির্দেশনা প্রদান করা হয়, যার ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীর ভাবী জীবনপথ সুগম হয়।
(5) অনুশীলনে সহায়তা: শিশুর আগ্রহ বৃদ্ধি পেলে অনুশীলনে সহায়ক হয়, এই অনুশীলন তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
(6) দক্ষতা বৃদ্ধি: আগ্রহের মাধ্যমে শেখা বিষয় শিক্ষার্থীর বিষয়জ্ঞান নিখুত করে এবং তার কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে। ব্যক্তির কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পেলে সে যে-কোনাে কাজ সাবলীলভাবে করতে পারে।
(7) সৃজনশীলতার বিকাশ: অনুরাগ শিশুর অন্তর্নিহিত সৃজনাত্মক ক্ষমতার বিকাশ ঘটিয়ে অনুসন্ধানমূলক কাজে অনুপ্রেরণা জোগায়।
(8) সাফল্যলাভ: আগ্রহের সহায়তায় শিশু জ্ঞান অর্জন করে এবং সাফল্যলাভ করে। তার ফলে তার উদ্দেশ্যপূরণ হয়।
(9) বিষয়বস্তু নির্বাচন: অনুরাগ শিক্ষার্থীকে বিষয়বস্তু নির্বাচনে সাহায্য করে। শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু শিশুর আগ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত হলে সেই বিষয় সহজে আয়ত্ত হয় এবং অনুশীলনে আনন্দ পাওয়া যায়।
(10) নির্ভুল বিষয়ে জ্ঞান অর্জন: আগ্রহ শিক্ষার্থীকে তার শিক্ষণীয় বিষয়ে নিখুঁত বা নির্ভুল জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করে। ফলে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে।
(11) শিক্ষামূলক ও বৃত্তিমূলক নির্দেশনা: শিক্ষার্থীর অনুরাগকে গুরুত্ব দিয়ে তার শিক্ষামূলক ও বৃত্তিমূলক নির্দেশনা দেওয়া উচিত। তবেই তার জীবনে সাফল্য আসে।
(12) মনােযােগ বৃদ্ধি: আগ্রহকে আশ্রয় করে শিক্ষার্থী শিক্ষণীয় বিষয়ে অধিক মনােযােগী হয়ে ওঠে। কোনাে বিষয়ে সুষ্ঠু আয়ত্তীকরণ এবং জ্ঞানার্জন মনােযােগেরই ফসল।
Leave a comment