What is punishment? What are the types of punishment? Discuss in detail in accordance with Penal Code-1860.

শাস্তি বা দন্ড [Punishment]

কোন ব্যক্তি (অপরাধী) কে তার কৃত অপরাধের জন্য সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত কর্তৃক অপরাধীকে প্রদত্ত বা আরোপিত যে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক কষ্ট, যাতনা,ক্লেশ,পীড়ন বা সাজা দেওয়া হয় তাকে শাস্তি বা দন্ড বলে। সাধারণত রাষ্ট্রে কোন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুষ্টের দমন করে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অপরাধীকে দন্ড প্রদান করে থাকে।

“শাস্তি বা দন্ড হলো এমন একটি আইনি প্রক্রিয়া যার দ্বারা ফৌজদারী আইন বা Criminal Law ভঙ্গকারীগণকে নির্দিষ্ট আইনি ধারা ও পদ্ধতিতে দন্ডিত করা হয়”।[অপরাধ বিজ্ঞানী David Garland ]

শাস্তির উদ্দেশ্য (Objectives of Punishment)

দন্ড বা শাস্তির ০৫টি স্বীকৃত উদ্দেশ্য আছে। যেমন- প্রতিরোধ, অক্ষমতা, পুনর্বাসন, প্রতিশোধ ও পুনরুদ্ধার । আরো বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

১। প্রতিশোধমূলক শাস্তির বিধান করে যেমন চোখের বদলে চোখ ও দাঁতের বদলে দাঁত (A Tooth For A Tooth) কঠোরভাবে অনুসরণ করলে সমাজ বা রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়।

২। অপরাধী কে যথাযথ শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে অন্যান্যদের অপরাধ করা থেকে নিবৃত্ত করা।

৩। যদি কোন অপরাধীকে কঠোর প্রতিরোধমূলক শাস্তি যেমন মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মত দন্ড প্রদান করা হলে ঐসকল অপরাধীরা আর অপরাধ করার সুযোগ পাবে না।

৪। সংশোধনমূলক শাস্তির উদ্দেশ্য হল এর মাধ্যমে অপরাধীকে সংশোধনের সুযোগ করে দেওয়া। বর্তমানে অপরাধবিজ্ঞানীরা শাস্তির এই পদ্ধতির মাধ্যমে অপরাধকে কাউন্সেলিং করে সুস্থ বা সংশোধনীর সুযোগের কথা বলছে।

৫। জরিমানা বা অর্থদণ্ডের অর্থ হল অপরাধীকে শাস্তির অংশ হিসেবে এবং সমাজে ফিরে যাবার শর্তে ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৬। অপরাধী তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়া উক্ত অপরাধীর সর্বোত্তম শাস্তি যাকে প্রায়শ্চিত্তমূলক শাস্তি বলা হয়ে থাকে।

শাস্তির বৈশিষ্ট্য(Characteristics of Punishment)

১। শাস্তি(Punishment) একটি নির্দিষ্ট অবাঞ্ছিত আচরণের(ঐশ্বরিক/মানবিক/আদেশকৃত দায়িত্ব বর্জন/আইন দ্বারা নিষিদ্ধ কাজ) পরিণতি।

২। অপরাধীকে তার কৃত অপরাধের জন্য নির্দিষ্ট আইনি ধারা ও পদ্ধতিতে শাস্তি প্রদান করা হয়।

৩। একজন অপরাধী কি ধরনের অপরাধ করেছে তার মাত্রা আদালত কর্তৃক নিরূপনের প অপরাধীকে শাস্তি পেতে হয়।

৪। একটি দেশের আইনে নির্দেশিত পন্থা অনুযায়ী অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করা হয়।

৫। কোন অপরাধের জন্য আইনের নির্ধারিত পরিমাণ শাস্তি অপরাধীকে প্রদান করা হয়।

৬। অপরাধী তার কৃতকর্মের জন্য আইন অনুযায়ী আদালত ইচ্ছাকৃতভাবে শাস্তি প্রদান করে।

৭। কেউ আইন ভঙ্গ করলে তাঁকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হয়।

৮। ফৌজদারি বিচার প্রশাসন বিচার করে অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করে।

৯। আদালত কর্তৃক কোন অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করা হয়।

১০। শাস্তির সাথে অবশ্যই ব্যথা বা অন্যান্য পরিণতি অন্তর্ভুক্ত থাকে যা সাধারণত অতৃপ্তিকর/ অপ্রীতিকর বলে বিবেচিত হয়।

দন্ড বা শাস্তির প্রকারভেদ (Types of Punishment)

The Penal Code-1860 এর ৫৩ ধারা অনুসারে অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে দন্ড বা শাস্তি ০৫ প্রকার প্রকার। যেমন-

১। মৃত্যুদন্ড [Death]

২। যাবজ্জীবন কারাদন্ড [Imprisonment for life]

৩।কারাদন্ড [Imprisonment]কারাদন্ড আবার দুই প্রকার। যেমনঃ

-সশ্রম কারাদন্ড [কঠোর পরিশ্রমসহ]
-বিনাশ্রম কারাদন্ড [সরল]

৪। সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ [Forfeiture of property]

৫। অর্থদন্ড বা জরিমানা [Fine]

[দ্বীপান্তর বা যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর: বর্তমানে এ ধরনের শাস্তি রহিত করা হয়েছে ]

মৃত্যুদন্ড (Death)

মৃত্যুদণ্ড দন্ডবিধি আইন তথা সকল আইনের অনুমোদিত সর্বোচ্চ শাস্তি। আর এই মৃত্যুদন্ড কিছু গুরুতর অপরাধ সংঘটনের জন্য দণ্ডবিধি অনুযায়ী প্রদান করা হয়। যেমন-

১। যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে কিংবা অনুরূপ যুদ্ধের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে অথবা অনুরূপ যুদ্ধের সহায়তা করে,তবে সে ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।[রাষ্ট্রদ্রোহিতা,দন্ডবিধির ১২১ ধারা ]

২। আবার কোন ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের স্থল ও বিমান বাহিনীর কোন অফিসার কর্তৃক বিদ্রোহ করতে সহায়তা করে সে ব্যক্তিকেও মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা যেতে পারে।[ সেনা/ নৌ/ বিমান বাহিনী কর্তৃক বিদ্রোহ বা এ কাজে উস্কানি,দন্ডবিধির ১৩২ ধারা ]

৩। যদি কোন ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধে দণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সাক্ষ্য দেন তবে সেই ব্যক্তিকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। [মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করানোর জন্য মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া বা বানানো,দন্ডবিধির ১৯৪ ধারা ]

৪। যদি কোন ব্যক্তি কাউকে হত্যা করে তবে শাস্তি হিসেবে তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা যাবে। [খুনের শাস্তি, দন্ডবিধির ৩০২ধারা ]

৫। কোন ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কাউকে যদি খুন করে তবে সেই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।[দন্ডবিধির ৩০৩ ধারা]

৬। ১৮ বছরের কম বয়স্ক কোন ব্যক্তি/কোন উন্মাদ/ বিকারগ্রস্থ/ জড় বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি/ প্রমত্তা গ্রস্থ ব্যক্তি কে আত্মহত্যায় সহায়তা করলে সহায়তাকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে। [শিশু বা উন্মাদ ব্যক্তির আত্মহত্যা সহায়তাকরণ,দন্ডবিধির ৩০৪ ধারা ]

৭। যাবজ্জীবন দণ্ডের দণ্ডিত ব্যক্তি কর্তৃক কাউকে হত্যা চেষ্টা করলে উক্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।[খুনের প্রচেষ্টা,দণ্ডবিধির ধারা ৩০৭]

৮। যদি কেউ ১০ বছরের কম বয়স্ক কোন ব্যক্তিকে অপহরণ করে এবং অপহৃত ব্যক্তি খুন/দাসত্ব/কাম-লালসা লালসায় বশীভূত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেই অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে। [দন্ডবিধির ৩৬৪(ক) ধারা]

৯।০৫ বা ততোধিক ব্যক্তি মিলিত হয়ে ডাকাতিকালে নরহত্যা সংঘটন করলে উক্ত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডে দণ্ডিত করা যাবে।[ দন্ডবিধির ৩৯৬ ধারা ]

যাবজ্জীবন কারাদন্ড[Imprisonment for life]

বাংলাদেশের আইনে মৃত্যুদণ্ডের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান [Imprisonment for life] রাখা হয়েছে । এখানে বলে রাখা ভালো যে পেনাল কোড  [Penal Code-1860] লেখার সময় ১৮৬০ সালে মূল দন্ডবিধিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নামে দন্ড বা শাস্তি ছিল না। ১৯৮৫ সালে এক ordinance জারি করে দন্ডবিধিতে ‘দ্বীপান্তর’ নামের শাস্তি ছিল তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নামে প্রতিস্থাপন করা হয় এবং দণ্ডবিধিতে ৫৩(ক) ধারা যুক্ত করে বলা হয় যে সর্বক্ষেত্রে তা যাবজ্জীবন কারাদন্ড কে বোঝাবে। ১৭২৮ সালে ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম দ্বীপান্তর আইন পাস করে দ্বীপান্তর কে শাস্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সে সময় অপরাধীদেরকে আমেরিকার কোন দ্বীপে ছেড়ে দেওয়া হতো। পরবর্তীতে এরকম কয়েদিদেরকে অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপান্তর করা হতো। আর ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম লর্ড কর্নওয়ালিস আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে দ্বীপান্তর করা হতো।

দন্ডিত কোন অপরাধের মৃত্যু বা প্যারোল [parole] [ অর্থহীন উক্তি শর্থহীন মুক্তি] না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে থাকার বিধানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড বলা হয়। অনেকে বলে থাকেন যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে ৩০ বছরের কারাদন্ড। এটা মোটেও ঠিক নয়। এখানে পেনাল কোডের ধারা ১১৬, ১১৯, ১২৯, ৫১১ এর বিধানেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডের শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দন্ডবিধির ৫৭ ধারাতে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের মেয়াদের যে ৩০ বছর বলা হয়েছে তা শুধুমাত্র সাজার ভগ্নাংশের হিসাব বের করার জন্য ৩০ বছরের বিধান করা হয়েছে অর্থাৎ কোন মামলার সাজা যদি যাবজ্জীবন কারাদন্সহ আর্থিক জরিমানা করা হয় এবং এক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা আদায়ের ক্ষেত্রে সাজার ভগ্নাংশের প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের মেয়াদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু রেয়াতের বিষয় দেখা যায়। যেমন জেলকোড অনুযায়ী ০৯(নয়) মাসে এক বছর গণনা করা হয়। আবার আইজি প্রিজন দন্ডাদেশের সাজা কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী যেকোন দন্ড বা শাস্তি কমাতে, মার্জনা করতে এমনকি স্থগিত করতে পারে।

যাহোক দন্ডবিধির যেসব ধারাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে তা এবার আমরা জানবোঃ

 

দন্ডবিধির ধারা

অপরাধের নাম 

দন্ড বা শাস্তি

১২১ ধারা 

রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ

[Waging or attempting to wage war, or abetting waging of war, against Bangladesh]

যাবজ্জীবন কারাদন্ড

১২১(ক) ধারা 

 রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ

[Conspiracy to commit offenses punishable by
section 121
]

১২২ ধারা 

রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করার জন্য অস্ত্র সংগ্রহ

[Collecting arms, etc., with intention of
waging war against Bangladesh
] 

১২৪(ক) ধারা 

বিদ্রোহ

[Sedition]

১২৫ ধারা 

 কোন এশীয় শক্তির বিরুদ্ধে
যুদ্ধ

[Waging war against any Asiatic Power in
alliance with Bangladesh
]

১২৮ ধারা 

রাজবন্দী বা যুদ্ধবন্দীকে  পলায়নের জন্য সরকারি কর্মচারী সহায়তা

[Public servant voluntarily allowing
prisoner of State or war to escape]

১৩০ ধারা 

 উক্ত প্রকার পলায়ন বন্দিকে
সহায়তা

[Aiding escape of, rescuing or harboring
such prisoner
]

১৩১ ধারা 

 বিদ্রোহে সহায়তা

[Abetting mutiny, or attempting to seduce a
soldier, sailor or airman from his duty
]

১৩২ ধারা 

 বিদ্রোহে সহায়তার সক্রিয়তা

[Abetment of mutiny, if mutiny is committed
in consequence thereof
]

১৯৪ ধারা 

 মৃত্যুদণ্ড দেবার জন্য মিথ্যা
সাক্ষ্য প্রদান সৃজন করা

[Giving or fabricating false evidence with
intent to procure conviction of capital offence; if innocent person be
thereby convicted and executed
]

১৯৫ ধারা 

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দেওয়ার জন্য মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান বা সৃজন করা

[Giving or fabricating false evidence with
intent to procure conviction of offence punishable with imprisonment for life
or imprisonment
]

২২২ ধারা 

 দন্ডিত ব্যক্তিকে সরকার কর্তৃক
গ্রেপ্তার না করা

[Intentional omission to apprehend on the
part of public servant bound to apprehend person under sentence or lawfully
committed
]

২২৫ ধারা 

 মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে
পাকড়াও করার বিরুদ্ধে বাধা প্রদান

[Resistance or obstruction to lawful
apprehension of another person
]

২২৬ ধারা 

দ্বীপান্তরিত ব্যক্তির
মেয়েদের পূর্বে প্রত্যাবর্তন

 [Omitted]

২৩২ ধারা 

 মুদ্রার  নকল জাল  করা

[Counterfeiting Bangladesh coin]

২৩৮ ধারা 

 ঐরূপ আমদানি ও রপ্তানি করা

[Import or export of counterfeits of
Bangladesh coin
]

২৫৫ধারা 

স্টাম্প নকল-ভেজাল করা

[Counterfeiting Government stamp]

৩০২ ধারা 

খুন করা

[Punishment for murder]

৩০৪ ধারা 

 নিম খুন(প্রায় খুন হয়েছে এমন)

[Punishment for culpable homicide not
amounting to murder
]

৩০৫ ধারা 

 নাবালক উন্মত্তের আত্মহত্যায়
সহায়তা করা

[Abetment of suicide of child or insane
person
]

৩০৭ ধারা 

আঘাতের সাথে হত্যার
প্রয়াস

[ Attempt to murder Attempts by
life-convicts
]

৩১১ ধারা 

 ঠগ হওয়া

[Thug]

৩১৩ ধারা 

বিনা অনুমতিতে গর্ভপাত

[Causing miscarriage
without women’s consent]

৩১৪ ধারা 

 ঐরূপ গর্ভপাতের দরুন গর্ভবতীর
মৃত্যু হলে

[Death caused by act done
with intent to cause miscarriage]

৩২৬ ধারা 

 মারাত্মক অস্ত্র গুরুতর আঘাত

[Voluntarily causing
grievous hurt by dangerous weapons or means]

৩২৯ ধারা 

 জোর করে কোন কিছু আদায় করার
জন্য গুরুতর আঘাত

[Voluntarily causing
grievous hurt to extort property, or to constrain to an illegal act]

৩৬৪ ধারা 

হত্যার জন্য ছিনতাই

[Kidnapping or abducting
in order to murder]

৩৬৪(ক) ধারা 

১০ বছরের কম বয়স্ক কোন
ব্যক্তিকে অপহরণ বা হরণ করা

[Kidnapping or abducting
a person under the age of ten]

৩৭১ ধারা 

 দাস ব্যবসা

[Habitual dealing in
slaves]

৩৭৬ ধারা 

 বলাৎকার

[Punishment for rape]

৩৭৭ ধারা 

 অস্বাভাবিক যৌন অপরাধ

[Unnatural offences]

৩৮৮ ধারা 

 অবরোধের নামে জবরদস্তিমূলক
আদায়

[Extortion by threat of
accusation of an offence punishable with death or imprisonment, etc.]

৩৮৯ ধারা 

 জবরদস্তিমূলক আদায়  করার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন

[Putting person in fear
of accusation of offence in order to commit extortion]

৩৯৪ ধারা 

আঘাতের সাথে দস্যুতা

[Voluntarily causing hurt
in committing robbery]

৩৯৫ ধারা 

ডাকাতির  দন্ড

[Punishment for dacoity]

৩৯৬ ধারা 

ডাকাতির সাথে হত্যা

[Dacoity with murder]

৪০০ ধারা 

 ডাকাতির  দলে থাকা

[Punishment for belonging
to gang of dacoits]

৪০৯ ধারা 

সরকারি কর্মচারী প্রভৃতি
দ্বারা বিশ্বাস ভঙ্গ

[Criminal breach of trust
by public servant, or by banker, merchant or agent]

৪১২ ধারা 

 চোরাইমাল রাখা

[Dishonestly receiving property stolen in
the commission of a dacoity
]

৪১৩ ধারা 

 চোরাইমালের ব্যবসা

[Habitually dealing in
stolen property]

৪৩৬ ধারা 

 গৃহে অগ্নিসংযোগ

[Mischief by fire or
explosive substance with intent to destroy house, etc.]

৪৩৭ ধারা 

জাহাজ প্রভৃতিতে  অগ্নিসংযোগ  

[Mischief with intent to
destroy or make unsafe a decked vessel or one of twenty tons burden]

৪৪৯ ধারা 

মৃত্যুদণ্ডযোগ্য করার জন্য
অনধিকার প্রবেশ

[House-trespass in order
to commit offence punishable with death]

৪৫৯ ধারা 

 অনধিকার প্রবেশপূর্বক গুরুতর
আঘাত

[Grievous hurt caused
whilst committing lurking house-trespass or house-breaking]

৪৬০ ধারা 

উক্ত অপরাধের সঙ্গী হওয়া

[All persons jointly
concerned in lurking house-trespass or house breaking by night punishable
where death or grievous hurt caused by one of them]

৪৬৭ ধারা 

 মূল্যবান দলিল জালকরণ

[Forgery of valuable
security, will, etc.]

৪৭১ ধারা 

কোন জাল দলিলকে খাঁটি বলে
ব্যবহার করা

[Using as genuine a
forged document]

৪৭২ধারা 

জালের উদ্দেশ্যে  সিল প্রস্তুতকরণ

[Making or possessing
counterfeit seal, etc., with intent to commit forgery punishable under
section 467]

৪৭৪ ধারা 

জাল বলে জেনে খাঁটি বলে
ব্যবহার করার ইচ্ছা করে দখল

[Having possession of
document described in section 466 or 467, knowing it to be forged and
intending to use it as genuine]

৪৭৫ ধারা 

 জালিয়াতির জন্য চিহ্ন প্রভৃতি
নকল করা

[Counterfeiting device or
mark used for authenticating documents described in section 467, or
possessing counterfeit marked material]

৪৭৭ ধারা 

  উইল ইত্যাদি জাল 

[Fraudulent cancellation,
destruction, etc., of will, authority to adopt, or valuable security]

৪৮৯(ক) ধারা 

পত্র মুদ্রা সংগ্রহ বা
ব্যাংক নোট জাল করা

[Counterfeiting
currency-notes or bank-notes]

৪৮৯(খ) ধারা 

 জাল কিংবা মেকি পত্র মুদ্রাবাদ
ব্যাংকনোট খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা

[Using as genuine a
forged document]

৪৮৯(গ)ধারা 

পত্র মুদ্রা বা জাল বা
মেকী ব্যাংক নোট অধিকারকরণ

[Possession of forged or
counterfeit currency-notes or bank-notes]

৫১১ ধারা 

যাবজ্জীবন কারাদন্ডে
দন্ডনীয় অপরাধ এ সহায়তা

[Punishment for
attempting to commit offences punishable with imprisonment for life or
imprisonment]

 

কারাদন্ড (Imprisonment)

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ব্যতীত
অন্য সকল কারাদন্ড এইপ্রকার শাস্তির অন্তর্ভুক্ত হবে।
  দন্ডবিধির ৫৫ ধারা অনুযায়ী কারাদন্ড দুই প্রকারঃ

 

 সশ্রম কারাদন্ড শ্রম সহকারে কারাবাস।সশ্রম
কারাদন্ডের ক্ষেত্রে অপরাধীকে শারীরিক পরিশ্রম (গম ভাঙ্গানো
, পানি তোলা, মাটি কাটা ও অন্যান্য কঠোর পরিশ্রমের
কাজ)
  করতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া সশ্রম
কারাদন্ডের সাথে নির্জন কক্ষে অন্তরীণের দন্ডও যুক্ত হতে পারে।

বিনাশ্রম কারাদন্ড বিনাশ্রম কারাদণ্ড শুধু কারাদন্ড। এক্ষেত্রে অপরাধীকে জেলের অভ্যন্তরে
কেবল আটক রাখা হয়। কিন্তু তাকে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করতে হয় না। আবার নির্জন
কক্ষে অন্তরীণ কারাবাসের সাজা যুক্তও করা যায় না। দন্ডবিধির ১৯টি ক্ষেত্রে শুধু
বিনাশ্রম কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
 

দন্ডবিধির ধারা

অপরাধের নাম 

দন্ড বা শাস্তি

১৬৮ ধারা

সরকারি কর্মচারীর
বেআইনিভাবে ব্যবসা করা

[Public servant
unlawfully engaging in trade]

        বিনাশ্রম কারাদন্ড

১৬৯ ধারা

 সরকারি কর্মচারীর বেআইনিভাবে
সম্পত্তি বিক্রয় অথবা নিলামে ডাকা

[Public servant
unlawfully buying or bidding for property]

১৭২ ধারা 

১৭৩ ধারা

 সমন এড়ানো

[Absconding to avoid
service of summons or other proceeding]

[Preventing service of
summons or other proceeding or preventing publication thereof]

১৭৪ ধারা

সমন অথবা নির্দেশ পালনে
ব্যর্থতা

[Non-attendance in
obedience to an order from public servant]

১৭৫ ধারা

 দলিল উপস্থাপন করতে ব্যর্থ
হওয়া

[Omission to produce
document to public servant by person legally bound to produce it]

১৭৬ ধারা

 তথ্য প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়া

[Omission to give notice
or information to public servant by person legally bound to give it]

১৭৮ ধারা

হলফ নিতে অস্বীকার

[Refusing oath or
affirmation when duly required by public servant to make it]

১৭৯ ধারা

 প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার

Refusing to answer public
servant authorized to question]

১৮০ ধারা

 বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিতে
অস্বীকার

[Refusing to sign
statement]

১৮৭ ধারা

সাহায্যের জন্য আইনত বাধ্য
হওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারী কে সাহায্য না করা
 

[Omission to assist
public servant when bound by law to give assistance]

১৮৮  ধারা

আইনগত আদেশ অমান্য

[Disobedience to order
duly promulgated by public servant]

২২৩ ধারা

 সরকারি কর্মচারীর অবহেলায়
অবরোধ হতে পলায়ন

[Escape from confinement
or custody negligently suffered by public servant]

২২৫(ক) ধারা

 সরকারি কর্মচারী দ্বারা
অবহেলাভরে গ্রেপ্তার না করা বা অবরোধ হতে পালাতে সহায়তা করা

[Omission to apprehend,
or sufferance of escape, on part of public servant, in cases not otherwise
provided for]

২২৮ ধারা

 বিচারে বাধা প্রদান

[Intentional insult or
interruption to public servant sitting in judicial proceeding]

২৯১ ধারা

 নিষেধাজ্ঞার পরেও উপদ্রব বজায়
রাখা

[Continuance of nuisance
after injunction to discontinue]

৩৪১ ধারা

 অন্যায় অবরোধ

[Punishment for wrongful
restraint]

৩৮৫ ধারা

 বলপূর্বক গ্রহণের উদ্দেশ্যে কোন
ব্যক্তিকে কোন ক্ষতির ভীতি প্রদর্শন

[Putting person in fear
of injury in order to commit extortion]

৫০৯ ধারা

 অশালীন আচরণ

[Word, gesture or act
intended to insult the modesty of a woman]

৫১০ ধারা

 মদ্যপায়ীর  অসদাচরণ

[Punishment for
attempting to commit offences punishable with imprisonment for life or
imprisonment]

 

সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ [Forfeiture of property]

দন্ডবিধি অনুযায়ী অপরাধে
দোষী সাব্যস্থ হলে আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে।
দন্ডবিধির ধারা-১২৫
, ধারা-১২৬,ধারা-১২৭ ও ধারা-১৬৯ তে
সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ (
Forfeiture of property) সম্পর্কে
বিধান বর্ণিত রয়েছে। লক্ষণীয় যে
, Forfeiture Confiscation
এর অর্থ এক নয়। Forfeiture এক ধরনের শাস্তি আর
Confiscation হলো সম্পত্তির নিষ্পত্তির একটি উপায়।

 

অর্থদন্ড (Fine)

বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৬৪ ধারা, ১৫৪ ধারা,
১৭১ (ক) ধারা,২৮৩ ধারা অর্থদন্ড সম্পর্কে
বিধান বর্ণিত আছে।
 

উৎস ঃ

১। দন্ডবিধি:বাসুদেব গাঙ্গুলী
২। দণ্ডবিধির ভাষ্য(dandobidhi-vasso): গাজী শামছুর রহমান(Gazi Shamsur Rahman)
৩।দন্ডবিধি Penal Code,1860 : অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন
৪।