অথবা, শাস্তি ধারণাটির সংজ্ঞা লিখ।
অথবা, শাস্তি কি?
অথবা, Punishment বলতে কি বুঝ?
অথবা, শাস্তি কাকে বলে?
ভূমিকাঃ সমাজে প্রচলিত নিয়ম কানুন লঙ্ঘন করে মানুষ যখন সমাজবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয় তখন সমাজে তাকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হয়। সমাজের নিয়ম কানুন ও শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্র অপরাধীকে নানা প্রকার শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করে। কি অপরাধের জন্য অপরাধীর কি রকম শাস্তি হবে তাই নিয়ে নীতি বিদ্যার উদ্ভব ঘটেছে শাস্তি বিষয়ক বিভিন্ন মতবাদ।
শাস্তির সংজ্ঞাঃ শাস্তিকে নৈতিক নিয়ম লঙ্ঘনের ফল বা পুরস্কার হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে। সমাজে সুষ্ঠুভাবে বসবাস করার জন্য মানুষকে কিছু নিয়মকানুন ও বিধি নিষেধ মেনে চলতে হয়। কেউ যদি এই নিষেধ ও নিয়ম কানুন লঙ্ঘন করে, তবে সমাজের শাস্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে তখন রাষ্ট্র সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, প্রতিশোধ, ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি হিসেবে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাকে শাস্তি বলা হয়। শাস্তি হলো মানুষের আচরণের সংশোধনের সর্বশেষ উপায়। শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্য হলো মানুষকে সু-নাগরিকের গুণাবলি থেকে বিচ্যুত হওয়ার থেকে বিরত রাখা। অন্যায়কারীকে যদি শাস্তি না দেওয়া হয় তবে সমাজে অপরাধ প্রবণতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। নৈতিক নিয়মের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অতএব সমাজে বসবাসের সুষ্ঠু পরিবেশ এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই রাষ্ট্র শাস্তি ব্যবস্থা চালু রাখে। সুতরাং শাস্তি হলো, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অপরাধকে প্রচলিত আইন ভঙ্গের জন্য দণ্ড প্রদান।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, শাস্তি হলো সমাজের মানুষকে অপরাধ থেকে বিরত রাখার একটি কৌশল। কিন্তু শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে অপরাধীর মানবিক অধিকার হিসাবে অপরাধের উদ্দেশ্য, মানসিক অবস্থা, বয়স, পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদি অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।
Leave a comment