শাসক প্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির পটভূমি পর্যালোচনা করা প্রয়োজন:
সকল রাষ্ট্রেই এই রাজনীতিক প্রক্রিয়া সতত বর্তমান থাকে। দেশের শাসন-বিভাগের প্রধান হলেন এই রাজনীতিক প্রক্রিয়ার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাজনীতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে শাসকপ্রধানের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গিক। শাসকপ্রধান ও রাজনীতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে মিথষ্ক্রিয়া (interaction) পরিলক্ষিত হয়। পরস্পরের মধ্যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার অস্তিত্ব অনস্বীকার্য। শাসকপ্রধানের ক্ষমতার উৎস, কার্যকালের স্থায়িত্ব প্রভৃতি রাজনীতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। সাম্প্রতিককালে অধিকাংশ রাষ্ট্রের রাজনীতিক প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করলে একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। এই সাধারণ বৈশিষ্ট্যটি হল শাসন-বিভাগের উপর আইনসভার নিয়ন্ত্রণ হ্রাস। বল-এর অভিমত অনুসারে সরকারের উপর আইনসভার নিয়ন্ত্রণ হ্রাস এবং প্রশাসনের ক্ষমতার পরিধির ক্রম-সম্প্রসারণকে সরকার বা শাসকপ্রধানের ক্ষমতা ও এক্তিয়ারের ক্রমসম্প্রসারণ হিসাবে মনে করা উচিত নয়। বল তাঁর Modern Politics and Government গ্রন্থে বলেছেন : “The claim of decreasing assembly control of governments and increasing scope of administrative activity is not necessarily to be equated with the increased power of governments or chief executives.” শাসন-বিভাগের প্রধানের ক্ষমতা সকল দেশেই বেড়েছে। শাসকপ্রধানের এই ক্ষমতা বৃদ্ধির পটভূমি পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
অধীনস্থ পদাধিকারীদের প্রভাবিত করা শাসকপ্রধানের ক্ষমতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য:
সকল রাষ্ট্রেই সরকারী কার্যকলাপের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা গ্রহণ করে শাসকপ্রধান। সরকারের মাধ্যমে পদস্থ পদাধিকারীদের তিনি নিযুক্ত করেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, চ্যান্সেলার প্রভৃতি পদাধিকারীদের হাতে সরকারের কর্তাব্যক্তিদের নিযুক্ত করার ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। তাঁরা যাদের নিযুক্ত করেন, তাদের অপসারিতও করতে পারেন। মার্কিন রাষ্ট্রপতি তাঁর সচিবদের নিযুক্ত ও পদচ্যুত করতে পারেন। সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী বা চ্যান্সেলররাও ব্যাপক নিয়োগ ও অপসারণ সম্পর্কিত ক্ষমতার অধিকারী। তবে এই নিয়োগ বা অপসারণের ক্ষমতাটিই শেষ কথা নয়। শাসন-বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কাজকর্ম ও আচার-আচরণকে নিজের ইচ্ছার অনুকূলে তিনি প্রভাবিত করার জন্য সতত সচেষ্ট থাকেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্যের উপর তাঁর ক্ষমতা ও প্রভাব প্রতিপত্তি নির্ভরশীল। বল বলেছেন: “… the process of influence must go further than the mere power to appoint and dismiss, it must be a continual ability to personally affect the behaviour of those he has appointed.” নিয়োগ ও অপসারণের ক্ষেত্রে শাসকপ্রধানগণ যে সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তার পিছনে নানা কারণ কাজ করে। অপসারণমূলক ক্ষমতার সুযোগ শাসক প্রধানের দুর্বলতাই প্রতিপন্ন করে। অধীনস্থ পদাধিকারীকে কোনভাবেই প্রভাবিত করতে না পারার জন্য শাসকপ্রধান সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীকে পদচ্যুত করেছেন, এটাই প্রতীয়মান হয়। বল বলেছেন: “… President Truman’s dismissal of General MacArthur during the Korean War, far from being an example of presidential power, was in fact a confession of weakness, Truman had failed to influence events by other means, and the dismissal of such an important figure as MacArthur, … was a last resort on the part of the president.”
শাসকপ্রধানের সরকার গঠনের ক্ষমতা অবাধ নয়:
সরকার গঠনের ক্ষেত্রে শাসকপ্রধানের ক্ষমতা অনিয়ন্ত্রিত নয়। কিছু বাধ্যবাধকতা ও স্বআরোপিত সীমাবদ্ধতার মধ্যে শাসকপ্রধানকে সরকার গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। শাসকপ্রধান তাঁর খুশীমত সরকারের সচিব ও মন্ত্রীদের মনোনীত বা নিযুক্ত করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে কতকগুলি সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাঁকে কাজ করতে হয়। এই সীমাবদ্ধতাগুলি হল: নির্বাচনী সাফল্য-অসাফল্যের বিচার-বিবেচনা, রাজনীতিক দলের আভ্যন্তরীণ ভারসাম্য, দলের বিশিষ্ট কোন প্রতিপক্ষকে সরকারের বাইরে রাখার বিপদ, দলের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব প্রভৃতি। প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ ও প্রশাসনিক যোগ্যতাই মন্ত্রিসভা গঠনের একমাত্র মাপকাঠি নয়। নিজ দলের ভিতরকার সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে সরকারের অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। তা না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বাইরে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে সমস্যা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেন। বল বলেছেন: “Chief executives rarely have a free hand in the selection and appointment of members of the government electoral considerations, the party balance of power, and the danger in leaving outside the government prominent rivals who could become a centre for discontent, act as restraints.”
ক্ষমতাসীন থাকাটাই শাসকপ্রধানের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের পরিচায়ক নয়:
কোন একজন ব্যক্তি শাসকপ্রধানের পদে আসীন থাকতে পারেন এবং তিনি শাসকপ্রধানের দায়িত্বও সম্পাদন করতে পারেন। কিন্তু এর থেকে প্রতিপন্ন হয় না যে সংশ্লিষ্ট শাসকপ্রধান প্রভূত ক্ষমতাসম্পন্ন। এ ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় হল ক্ষমতাসীন থাকার জন্য কি পরিমাণ আপস রফা করতে বাধ্য হন। কোন নতুন মন্ত্রীকে নিযুক্ত করা বা কোন মন্ত্রীকে অপসারণ করা নিঃসন্দেহে শাসকপ্রধানের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা। কিন্তু এর থেকে তাঁর ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায় না। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই অবস্থার চাপে বাধ্য হয়ে তাঁকে নিয়োগ বা অপসারণ সম্পর্কিত ক্ষমতা ব্যবহার করতে হয়। ক্ষমতাসীন থাকার জন্য শাসকপ্রধানকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বণ্টন করতে হয়। শাসকদলের ভিতরকার বিক্ষোভ প্রশমন ও ভারসাম্য সংরক্ষণ এবং সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস মোকাবিলা করার জন্য শাসকপ্রধান অনন্যোপায় হয়ে কোন কোন মন্ত্রীকে পদচ্যুত করতে বা নতুন নতুন ব্যক্তিকে মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করতে বাধ্য হন। এই অপসারণ বা নিয়োগ সম্পর্কিত ক্ষমতা শাসকপ্রধানের কর্তৃত্বের পরিচায়ক নয়। বল বলেছেন: “Harold Macmillan dismissed a third of his cabinet in 1962, and this, it could be argued, was an illustration of the power of the British Prime Minister, but the dismissals were partly dictated by the fall in the electoral popularity of the government, they lessened the scope for further changes, and they may have been connected with the willingness of Macmillan to resign in 1963.”
শাসকপ্রধানের ক্ষমতা:
সকল দেশের শাসকপ্রধান বহু ও বিভিন্ন ক্ষমতার অধিকারী। সরকারী পদমর্যাদার সুবাদে তিনি এই সমস্ত ক্ষমতা ভোগ করেন। সংবিধানের ভিত্তিতে সরকারী পদই হল এই সমস্ত ক্ষমতার উৎস, রাজনীতি নয়। সরকারী বিধি-ব্যবস্থার বাইরে কেবল রাজনীতিক নেতা হিসাবে এই সমস্ত ক্ষমতা ভোগ করা যায় না। তাই সরকারী ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের বলে শাসকপ্রধান অনায়াসে তাঁর রাজনীতিক প্রতিপক্ষকে পর্যুদস্ত করতে পারেন। শাসন-বিভাগের প্রধানের পদে আসীন থাকার সুবাদে তিনি গণ মাধ্যমগুলির প্রয়োজনমত ব্যবহার করার সুযোগ লাভ করেন। বেতার, সংবাদপত্র, দূরদর্শন প্রভৃতির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি তাঁর ভাবমূর্তিকে অধিকতর উজ্জ্বল ও প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। অ্যালান বল বলেছেন: “…de Gaulle was a master in the utilisation of television, and his carefully staged biennial press conferences were designed to create the impression of aloof royalty unsullied by the real world of political bargaining and compromise.”
শাসকপ্রধান ও রাজনীতিক দল:
বর্তমানে রাজনীতিক প্রক্রিয়ায় একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হল রাজনীতিক দল। এই রাজনীতিক দলই হল শাসকপ্রধানের পদে আসীন হওয়ার এবং পদের স্থায়িত্বের উৎস। প্রত্যেক রাজনীতিক দলের গঠনতন্ত্রের মধ্যে আভ্যন্তরীণ স্তরবিন্যাস বর্তমান। এই সমস্ত স্তর অতিক্রম করার পর কোন ব্যক্তি শাসকপ্রধানের দলে আসীন হওয়ার সুযোগ লাভ করেন। অর্থাৎ রাজনীতিক দলই কোন ব্যক্তিকে রাজনীতিক প্রধানের পদে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। সমাজতান্ত্রিক ও উদারনীতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্বিশেষে রাজনীতিক প্রধানের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই ধারা পরিলক্ষিত হয়। বল বলেছেন: “…political parties in socialist and liberal democratic systems provide through selection processes, and the party is the key to execute stability in these systems.”
শাসক প্রধানের সঙ্গে সরকারের অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্ক:
শাসন-বিভাগের প্রধানের ক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল সরকারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের প্রকৃতি। মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক প্রসঙ্গে একটি প্রবচন প্রচলিত আছে। এই প্রবচনটি অনুসারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হলেন ‘সমপর্যায়ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অগ্রগণ্য’ (Primus inter pares – First among equals)। তবে সাম্প্রতিককালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কারণে এখন অনেকে ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থাকে প্রধানমন্ত্রী শাসিত এমনকি রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থা (Prime Ministerial or even Presidential government) হিসাবে অভিহিত করার পক্ষপাতী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব সচিবালয় ও পরামর্শদাতা আছে। প্রধানমন্ত্রীর উপর এদের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। তার ফলে ক্যাবিনেটের সহকর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটা ব্যবধান বা শিথিল সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনুরূপভাবে ফরাসী রাষ্ট্রপতিরও একটি সচিবালয় আছে। তবে মার্কিন রাষ্ট্রপতির সচিবালয় এ ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তস্বরূপ। হোয়াইট হাউস হল মার্কিন রাষ্ট্রপতির এক উন্নত, আধুনিক ও দুর্ভেদ্য সচিবালয়। হোয়াইট হাউসের এই সচিবালয় গঠিত হয় মার্কিন রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত উপদেষ্টাদের নিয়ে। এই ব্যক্তিগত উপদেষ্টারাই মার্কিন ক্যাবিনেট থেকে রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে এনেছে। মার্কিন প্রশাসনে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে হোয়াইট হাউসের কর্মচারীদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার অনেক সময় এই ব্যক্তিগত পরামর্শদাতারাই মার্কিন প্রশাসন ও রাষ্ট্রপতির বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ান। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসাবে ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারী এবং রাষ্ট্রপতি নিকসনের পদত্যাগের কথা বলা হয়। এ প্রসঙ্গে বল বলেছেন: “A significant aspect of the chief executives position vis-a vis other members of his government is the growth of the leader’s personal secretariat, which is drawn from outside the ranks of the party and the professional civil service…. There is the President’s Office in France and the Prime Minister’s Office in Britain, but the most developed is the American President’s White House Office.”
শাসকপ্রধানের ক্ষমতাকে স্থিতিশীল করার উদ্যোগ:
আধুনিক শাসকপ্রধানগণ ক্ষমতাসীন থাকার বিষয়টিকে স্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন উপায়-পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। এই সমস্ত উপায়-পদ্ধতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল : রাজনীতিক দলের মধ্যে ক্ষমতার বণ্টন; আইনসভার মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন; নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিচার-বিবেচনা; ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, শ্রমিক সংগঠন, ধর্মীয় সংগঠন প্রভৃতি শক্তিশালী চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীগুলির সহযোগিতার ব্যবস্থা প্রভৃতি। আবার কোন কোন রাজনীতিক ব্যবস্থায় সামরিক বাহিনীর আনুগত্যও এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়। এগুলি হল সব বাহ্যিক বিষয়। কিন্তু এ বিষয়ে সব থেকে কঠিন সমস্যা হল সরকারের সমগ্র প্রশাসনিক কাঠামোর উপর তদারকির ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করা। রাজনীতিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও প্রশাসন যন্ত্রের পরিকাঠামোকে শাসকপ্রধানের প্রয়োজনমত সংগঠিত ও পুনর্গঠিত করতে পারেন। শাসকপ্রধান সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে নিয়োগ ও অপসারণ এবং সুযোগ-সুবিধা বণ্টনের ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। এতদসত্ত্বেও আধুনির রাষ্ট্রের জটিল প্রশাসন যন্ত্র শাসকপ্রধানের অনুগামী নাও হতে পারে। কোন শাসকপ্রধানই বাঁধাধরা ছক অনুসারে শাসনকার্য পরিচালনা করতে পারেন না। রাজনীতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে তাঁকে প্রয়োজনমত সামঞ্জস্য সাধন করে চলতে হয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে রিচার্ড নিউস্টাডং (Richard Neustadt)-এর অভিমত হল যে, অনেক সময় মন্ত্রীদের উপর প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ বিশেষভাবে ব্যাপক থাকে। এই অবস্থায় একজন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী খুশীমত শাসনকার্য পরিচালনা করতে পারেন। তবে আমলাদের উপর তাঁর প্রভাব ও কর্তৃত্ব বিশেষ সূক্ষ্ম প্রকৃতিযুক্ত। বল বলেছেন: “The organisation and the nature of the political controls over the bureaucracy are, therefore, important aspects of government structure….”
প্রকৃত প্রস্তাবে রাজনীতিক প্রক্রিয়া ও শাসক প্রধানের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের প্রকৃতি প্রসঙ্গে কোন সুনির্দিষ্ট ও সর্বজনগ্রাহ্য রীতি বা পদ্ধতি নেই। সরকারের সাংগঠনিক ব্যবস্থা; দলীয় ব্যবস্থার কাঠামো ও প্রকৃতি; শাসকপ্রধানের গুণগত যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রিয়তা; চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীসমূহের ও আমলাতন্ত্রের সহযোগিতা বা বিরোধিতা প্রভৃতি বহু ও বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাব-প্রতিক্রিয়া এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
Leave a comment