স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে সার্জেন্ট কমিটির উল্লেখযােগ্য সুপারিশগুলি হল一
(১) স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ: বিদ্যালয় স্তরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্য-সচেতনতা গড়ে তােলার জন্য একটি ‘একটি জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
(২) শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা: প্রতিটি শিক্ষার্থীর- শিক্ষালয়ে ভরতির সময়ে, নিম্নবুনিয়াদি শিক্ষাশেষে এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাশেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপাের্ট তার Cumulative Record Card-a লিপিবদ্ধ করতে হবে।
(৩) ছাত্রছাত্রীদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন: বিদ্যালয় স্তরের ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত সংখ্যক সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। সম্ভব হলে ওই কেন্দ্রগুলির সহায়তায় ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যশিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
(৪) স্বাস্থ্য কর্মসূচি পালনে কমিটি গঠন: সমগ্র স্বাস্থ্য কর্মসূচি পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে।
(৫) আবশ্যিক বিষয় হিসেবে শারীরশিক্ষা: বিদ্যালয়ন্তরে শারীরশিক্ষাকে আবশ্যিক করতে হবে।
প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা বিষয়ে সার্জেন্ট কমিশন যে সুপারিশগুলি করেছে, সেগুলি হল一
(১) প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয় স্থাপন: প্রতিবন্ধীদের প্রকৃতি অনুযায়ী তাদের জন্য বিশেষ ধরনের বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।
(২) সরকারি তত্ত্বাবধানে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা: মূক ও বধির এবং অন্যান্য দৈহিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ বিশেষ বিদ্যালয় স্থাপন করে, সেগুলি সরকারি শিক্ষাবিভাগের দায়িত্বে পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৩) প্রতিবন্ধীদের উপার্জনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ: প্রতিবন্ধীরা শিক্ষা শেষে যাতে উপার্জনক্ষম হয়, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(৪) সাধারণ বিদ্যালয়ে পাঠরত আংশিক প্রতিবন্ধীদের যন্ত্রগ্রহণ: যারা তুলনামূলকভাবে অল্প প্রতিবন্ধী, তাদের সাধারণ বিদ্যালয়ে রেখে বিশেষভাবে নজরদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
Leave a comment