শব্দের অর্থ ও তার প্রয়ােগের তত্ত্ব বিশ্লেষণের প্রকৃতি অনুসারে আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানে বেশ কয়েকটি ধারণা প্রচলিত আছে। তার মধ্যে বহু আলােচিত ধারণা তিনটি হল—
- (১) শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্ব,
- (২) শব্দার্থের সত্য-সাপেক্ষ তত্ত্ব এবং
- (৩) শব্দার্থের বিষয়মূলক তত্ত্ব।
শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্ব: গঠনমূলক শব্দার্থতত্ত্বের ধারায় উপাদানমূলক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে শব্দার্থকে ভেঙে তাকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশে অর্থাৎ শব্দার্থ-উপাদানে বিভক্ত করে বিশ্লেষণ করা হয়। এমনটা করার ফলে শব্দটির অর্থ সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা এবং অন্যান্য শব্দের সঙ্গে তার সম্পর্কের একটি যথার্থ রূপ পাওয়া যায়। যেমন—‘মা’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ থেকে সাধারণ অর্থ সমাধানের পথটি হবে নিম্নরূপ—
মা→মহিলা→বয়স্কা→স্ত্রীলিঙ্গ→একবচন→বিশেষ্য→মনুষ্যবাচক।
নােয়াম চমস্কিও তার রূপান্তরমূলক ব্যাকরণে অর্থ বিশ্লেষণের এই তত্ত্বটিকে মডেল রূপে গণ্য করেন। তবে সেক্ষেত্রে তিনি শব্দার্থের ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক দিকগুলিও নির্দেশ করেন।
শব্দার্থের সত্যসাপেক্ষ তত্ত্ব : শব্দার্থের সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বটির মূল কথা হল, যখন আমরা কোনাে বাক্যকে সত্য বলে জ্ঞান করি বা বাক্যটি বাস্তব সত্যের ভিত্তিতে রচিত বলে মনে করি, তখন সেই বাক্যের অন্তর্গত শব্দগুলি সম্পর্কেও আমাদের মধ্যে একটি অর্থের বােধ গড়ে ওঠে। অর্থাৎ, এই তত্ত্বানুসারে বাক্যের সত্যাসত্যের উপরই শব্দের অর্থ নির্ভর করে। যেমন বরফ হয় সাদা। এই বাক্যটি যদি সত্য হয়, তবে বরফ যে সাদা রঙের হয় এই অর্থটি প্রতীয়মান হবে।
শব্দার্থের বিষয়মূলক তত্ত্ব বা প্রাসঙ্গিক অর্থতত্ত্ব: বিষয়মূলক তাত্ত্বিকরা মনে করেন, শব্দের অর্থ বােঝা যায় ভাষায় ব্যবহৃত শব্দটির বক্তব্য বিষয় থেকে। যেমন—
আমার হাতে আঘাত লেগেছে।
তুমি হাত চালিয়ে কাজটা সেরে নাও।
বিদ্যাসাগর কখনও কারও কাছে হাত পাতেননি।
উপরের বাক্যগুলিতে ‘হাত শব্দটি নানা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম বাক্যের হাত’ তার মূল অর্থ (অঙ্গ-বিশেষ) বজায় রেখেছে। কিন্তু অন্য বাক্য দুটিতে হাত’ শব্দের অর্থটি বাক্যের বিষয় অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়েছে।
এইভাবে বক্তব্যের বিষয় অনুযায়ী অর্থাৎ প্রসঙ্গ এবং পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী শব্দের অর্থ বিশ্লেষণের ধারাটি বিষয়মূলক তত্ত্ব বা Contextual theory হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
অর্থগত দিক থেকে শব্দের পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্নতা নির্দেশ করাে।
অথবা, উদাহরণসহ যে-কোনাে দুটি বিভাগের পরিচয় দাও: সমার্থকতা, বিপরীতার্থকতা, ব্যাপকার্থকতা।
শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা ক-টি ভাগে বিভক্ত ও কী কী? যে-কোনাে একটি ভাগ উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।
অথবা, শব্দার্থের রূপান্তর বা সংশ্লেষ বলতে কী বােঝ ? উদাহরণ দাও।
সূচনা পর্ব থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বাংলা গানের ধারা সম্পর্কে আলােচনা করাে।
বাংলা গানের আদিপর্ব সম্পর্কে যা জান লেখাে।
বৈয়ব পদাবলীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাংলা কীর্তনগান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাংলা গানের ইতিহাসে কবিওয়ালাদের অবদান সম্পর্কে যা জান লেখাে।
অথবা, বাংলা গানে কবিগানের গুরুত্ব আলােচনা করাে।
টপ্পা সম্পর্কে আলােচনা করাে।
যাত্রাগান সম্পর্কে যা জান আলােচনা করাে।
পক্ষীর গান সম্পর্কে যা জান আলােচনা করাে।
যাত্রা শব্দের অর্থ ও যাত্রাপালার বিষয় ও ভাবের পরিচয় দাও।
আধুনিক বাংলা গানের ধারায় রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর পরবর্তী সময়ের গীতিকারদের পরিচয় দাও।
বাংলা গণসংগীতের সূচনা কোন্ ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে? এই ধারার গীতিকার, সুরকার এবং গায়কদের সম্পর্কে লেখাে।
অথবা, বাংলা গণসংগীতের ধারা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে।
অথবা, গণসংগীত বলতে কী বােঝ? বাংলা গণসংগীতের ধারাটি আলােচনা করাে।
Leave a comment