শব্দের অর্থ বিশ্লেষণের তত্ত্ব হিসেবে বিষয়মূলক তত্ত্বটি বহু পুরােনাে। বিখ্যাত অস্ট্রীয় দার্শনিক ভিগেনস্টাইন বলেছেন, The meaning of word Is its use in the language”। অর্থাৎ, একটা শব্দের অর্থ বােঝা যায় ভাষায় তার প্রয়ােগ প্রসঙ্গে। ভাষাবিজ্ঞানী ব্লুমফিল্ডও context বা বিষয় প্রসঙ্গের কথা বলেছেন, তবে একটু অন্যভাবে। তার মতে, ভাষার বক্তব্য বিষয় থেকেই শব্দের অর্থ বােঝা যায়। এই মতের অনুসরণকারী ভাষাবিজ্ঞানীরা শব্দের অর্থ বিশ্লেষণে বিষয়মূলক তত্ত্বটিকে বেশি গুরুত্ব দেন।


আমরা জানি বােধগম্য শব্দের ‘অর্থ’ (a meaning) থাকা বাধ্যতামূলক। বিষয়মূলক শব্দার্থ তাত্ত্বিকদের মতে শব্দের সেই অর্থ দুরকম হতে পারে—(১) সুস্পষ্ট নির্দিষ্ট আভিধানিক অর্থ—যাকে বলা যায় মুখ্য অর্থ। (২) মুখ্য অর্থ থেকে জাত আলংকারিক ব্যবহারে সৃষ্ট গৌণ অর্থ বা ব্যাঙ্গার্থ।


যেমন ধরা যাক, ‘হাত’ শব্দটির মুখ্য অর্থ মানবশরীরের একটি অঙ্গ-বিশেষ। এটি হল ‘হাত’-এর আভিধানিক অর্থ। কিন্তু যখন বলি, ছেলেটির ছবি আঁকায় হাত আছে”—তখন ‘হাত’ শব্দের অর্থ হয় ‘দক্ষতা’। ‘দক্ষতা’ হল ‘হাত’-এর গৌণ অর্থ। শব্দটি বিশেষ বিষয়ে ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে এর আভিধানিক অর্থও বদলে যাচ্ছে।


ক্রিয়াপদ, বিশেষণ পদেরও এরকম ভিন্নার্থক ব্যবহার হতে পারে। যেমন— সভা ভাঙা, প্রতিজ্ঞা ভাঙা, ঘাড় ভাঙা, কাচা ইট, কাঁচা আম, অর্ধেক কাঁচা ইত্যাদি।


অনেক সময় এই রকম কোনাে কোনাে শব্দের মুখ্য অর্থ লুপ্ত হয়ে গিয়ে গৌণ অর্থটাই প্রধান হয়ে ওঠে। যেমন ‘ভাঙা বা কচা’ ক্রিয়াপদের গৌণ অর্থেরই ব্যবহার বেশি। এক্ষেত্রে বক্তা কোন্ অথটা বােঝাতে চান, তা নির্ভর করে বক্তা এবং শ্রোতার পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং মনােভাবের ওপর। এই যে শব্দের অর্থ বিশ্লেষণে এরকম বিষয়নির্ভরতা—এটাই শব্দার্থের বিষয়মূলক তত্ত্বের আলােচ্য বিষয়।


কিন্তু আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানে, আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, আধুনিক শব্দার্থতত্ত্বে প্রসঙ্গের (Context) উল্লেখকে অনেকেই তেমন গুরুত্ব দিতে চান না। বরং প্রাধান্য দেওয়া হয় বাক্যের তথা বাক্যের অন্তর্গত শব্দের নিহিত অর্থকে (Sense)।


সমার্থকতা বিষয়টি নিয়ে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

বিপরীতার্থকতা ও ব্যাপকার্থকতা সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

থিসরাস-এর বিস্তৃত বর্ণনা দাও। 

বাক্যতত্ত্বের প্রয়ােগতত্ত্ব বিষয়টি আলােচনা করাে। 

শব্দের অর্থ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান তাত্ত্বিক ধারণার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 

অর্থগত দিক থেকে শব্দের পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্নতা নির্দেশ করাে। 

অথবা, উদাহরণসহ যে-কোনাে দুটি বিভাগের পরিচয় দাও: সমার্থকতা, বিপরীতার্থকতা, ব্যাপকার্থকতা। 

শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা ক-টি ভাগে বিভক্ত ও কী কী? যে-কোনাে একটি ভাগ উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। 

অথবা, শব্দার্থের রূপান্তর বা সংশ্লেষ বলতে কী বােঝ ? উদাহরণ দাও। 

সূচনা পর্ব থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বাংলা গানের ধারা সম্পর্কে আলােচনা করাে। 

বাংলা গানের আদিপর্ব সম্পর্কে যা জান লেখাে। 

বৈয়ব পদাবলীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাংলা কীর্তনগান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

বাংলা গানের ইতিহাসে কবিওয়ালাদের অবদান সম্পর্কে যা জান লেখাে। 

অথবা, বাংলা গানে কবিগানের গুরুত্ব আলােচনা করাে। 

টপ্পা সম্পর্কে আলােচনা করাে।