কোনাে শব্দ সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেতে এবং তার সঙ্গে অন্যান্য শব্দের যথার্থ সম্পর্ক খুঁজে পেতে শব্দটিকে ভেঙে তার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অর্থপূর্ণ অংশকে বিশ্লেষণ করতে হয়। এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শব্দার্থ-উপাদানকে ‘শব্দার্থগত বিষয়শ্রেণি’ বা ‘শব্দার্থ উপাদান’ বলা হয়। শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বে শব্দের ‘শব্দার্থ উপাদান’-গুলিকে নির্ণয় করে সেই উপাদানের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শব্দকে কতকগুলি নির্দিষ্ট শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। যেমন一

পুরুষ : বৃষ, মােরগ

নারী : গাভি, মুরগি

শিশু : বাছুর, মােরগছানা


ওপরের শব্দগুলির মধ্যে নারী-শিশু, গাভিবাছুর এবং মুরগি-মােরগছানার মধ্যেকার অর্থগত সম্পর্ক অনুরূপ। আবার পুরুষ নারী, বৃষ-গাভি এবং মােরগ- মুরগির মধ্যেকার অর্থগত সম্পর্ক অনুরূপ। প্রথম পর্যায়টির (পুরুষঃ বৃষ, মােরগ) মধ্যেকার সাধারণ অর্থ-উপাদান—’পুরুষ-জাতীয় ও প্রাপ্তবয়স্ক’, দ্বিতীয় পর্যায়টির ‘স্ত্রী-জাতীয় ও প্রাপ্তবয়স্ক’ এবং তৃতীয় পর্যায়টির ‘কেবল অপ্রাপ্তবয়স্ক’। শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্ব অনুযায়ী এই উপাদানগুলির সমষ্টিই শব্দের অর্থের সৃষ্টি করে। ওপরের প্রথম সারির শব্দ তিনটিকেও এইভাবে কয়েকটি অর্থ-উপাদানের সমষ্টি হিসেবে দেখানাে যায়一

পুরুষ = + মানব-জাতীয় + প্রাপ্তবয়স্ক + পুরুষ-জাতীয়

নারী = + মানব-জাতীয় + প্রাপ্তবয়স্ক + স্ত্রী-জাতীয়

শিশু = + মানব-জাতীয় – প্রাপ্তবয়স্ক


এভাবেই এই পদ্ধতিতে এই তত্ত্বের মাধ্যমে শব্দার্থ উপাদান’-এর ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শব্দের মধ্যেকার অন্তর্নিহিত সাধারণ উপাদানকে শনাক্ত করা হয় এবং শব্দগুলিকে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। শব্দের স্বাভাবিক শ্রেণি-নির্ধারণ এবং বিন্যাসের আলােচনায় এই তত্ত্বটি বিশেষভাবে উপযােগী।


তবে শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বের কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। প্রথমত, এই তত্ত্বটি সবরকম শব্দের অর্থের ব্যাখ্যায় সমর্থ নয়। দ্বিতীয়ত, এক্ষেত্রে শব্দের ‘শব্দার্থ উপাদান’-গুলি হল হয় কেবলমাত্র বহুল-প্রচলিত নতুবা একেবারে নতুন। তৃতীয়ত, বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির উপযােগী সর্বজনগ্রাহ্য ‘শব্দার্থ উপাদান’ বিরল।


শব্দার্থের সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বটি আলােচনা করাে। 

শব্দার্থের বিষয়মূলক তত্ত্বটি আলােচনা করাে। 

সমার্থকতা বিষয়টি নিয়ে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

বিপরীতার্থকতা ও ব্যাপকার্থকতা সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

থিসরাস-এর বিস্তৃত বর্ণনা দাও। 

বাক্যতত্ত্বের প্রয়ােগতত্ত্ব বিষয়টি আলােচনা করাে। 

শব্দের অর্থ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান তাত্ত্বিক ধারণার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 

অর্থগত দিক থেকে শব্দের পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্নতা নির্দেশ করাে। 

অথবা, উদাহরণসহ যে-কোনাে দুটি বিভাগের পরিচয় দাও: সমার্থকতা, বিপরীতার্থকতা, ব্যাপকার্থকতা। 

শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা ক-টি ভাগে বিভক্ত ও কী কী? যে-কোনাে একটি ভাগ উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। 

অথবা, শব্দার্থের রূপান্তর বা সংশ্লেষ বলতে কী বােঝ ? উদাহরণ দাও। 

সূচনা পর্ব থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বাংলা গানের ধারা সম্পর্কে আলােচনা করাে। 

বাংলা গানের আদিপর্ব সম্পর্কে যা জান লেখাে। 

বৈয়ব পদাবলীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাংলা কীর্তনগান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।