শব্দদূষণ সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
সেতু : জানাে, কাল রাতে একদম ঘুমাতে পারিনি।
মিতু : কেন? কী হয়েছে?
সেতু : মাইকের প্রচণ্ড শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গিয়েছিল । কানে বালিশ চাপা দিয়েছিলাম, তবুও ঘুমাতে পারিনি।
মিতু : আসলেই মানুষের এ ধরনের অসচেতনতা দেখলে খুব অবাক হতে হয়। কারও কোনাে অধিকার নেই অন্যকে এভাবে ব্রিত করার । এভাবে শব্দদূষণের ফলে কত মানুষ যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার হিসাব কেউ রাখছে না।
সেতু : হ্যা, সেদিন একটি ফিচার পড়লাম। শব্দদূষণ একটি নীরব ঘাতক। এর থেকে মাথা ব্যথা, বধিরতা, অনিদ্রা, পেপটিক আলসার, হৃদরােগ ইত্যাদি হতে পারে।
মিতু : তুমি কি জানাে, সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে ব্যস্ত বিমানবন্দরের আশেপাশে সন্তানসম্ভবা অধিকাংশ মায়েরা বিকলাঙ্গ ও অপুষ্ট সন্তান জন্ম দিয়েছে । এর কারণ কি জান?
সেতু : না, জানি না তাে।
মিতু : এর কারণ হলাে শব্দদূষণ।
সেতু : কী কী কারণে শব্দদূষণ হতে পারে?
মিতু : যানবাহনের আওয়াজ, হাইড্রোলিক হর্নের শব্দ, কল কারখানার শব্দ, বিমান, হেলিকপ্টারের শব্দ, মানুষের কোলাহল, উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার, মাইকের শব্দ ইত্যাদি শব্দদূষণ সৃষ্টি করে।
সেতু : এর প্রতিকার কী?
মিতু : পরিবেশ আইনজীবী সংগঠন বেশ কয়েক বছর আগে (২০০২) জনস্বার্থে রিট পিটিশন করেছিল । উচ্চ আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল শব্দদূষণকারী হাইড্রোলিক হর্নের ব্যাপারে। কিন্তু কেউ তা মানছে না।
সেতু : তাহলে উপায়?
মিতু : ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। শব্দদূষণ কী এটি যেমন জনগণকে বােঝাতে হবে তেমনি এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সকলকে অবগত করতে হবে। হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধ করতে হবে। শব্দদূষণ সম্পর্কে যে আইন আছে তার কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে।
সেতু: আমার মনে হয় সরকার ও জনগণ উভয়ে একসাথে কাজ করলে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
মিতু : একদম ঠিক বলেছ। ধন্যবাদ।
সেতু : তােমাকেও ধন্যবাদ।
Leave a comment