১.১৪ লেনদেনের ধারণা

Concept of Transaction

প্রশ্নঃ লেনদেন কাকে বলে?

ভূমিকাঃ হিসাববিজ্ঞানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বহুল ব্যবহৃত শব্দ হচ্ছে লেনদেন। কারণ হিসাবের বইতে ব্যবসায়িক লেনদেনগুলােকে বিজ্ঞানসম্মত ও দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করা হয়।

লেনদেনের পরিচয়ঃ লেনদেন শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে অদান-প্রদান বা বিনিময়। লেনদেনের অর্থ থেকেই স্পষ্ট যে প্রতিটি লেনদেনের সাথে দু’টি পক্ষ জড়িত। একটি পক্ষ সুবিধা গ্রহণ করে এবং অপর পক্ষ সুবিধা প্রদান করে। অর্থের আদান-প্রদান বা অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপ করা যায় এমন ঘটনাই লেনদেন। সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে সেবার দ্বারা যদি ব্যবসায়ের আর্থিত অবস্থার পরিবর্তন অর্থাৎ সম্পত্তি, দায় ও মালিকানা স্বত্ব প্রভাবিত হয় তাহলে ঐ ঘটনাকে লেনদেন বলা হয়।

ধরা যাক, রাশেদ নামক একজন দেনাদার প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশােধ বাবদ অগ্রণী ব্যাংকে ৩,৫০০ টাকা জমা প্রদান করে। এ লেনদেনের মধ্যে দু’টি পক্ষ অর্থাৎ রাশেদ এবং অগ্রণী ব্যাংক বিদ্যমান। এখানে রাশেদ হলাে সুবিধা প্রদানকারী এবং অগ্রণী ব্যাংক হলাে সুবিধা গ্রহণকারী। এছাড়া লেনদেনের সংজ্ঞার আলােকে বলা যায় যে, এ ঘটনাটি অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযােগ্য এবং এর দ্বারা ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে অর্থাৎ ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রাপ্য হিসাব হ্রাস পেয়েছে, তাই এটি একটি লেনদেন । নিম্নে লেনদেনের কয়েকটি প্রামাণ্য সংজ্ঞা প্রদান করা হলাে।

L. C. Cropper-এর মতে, “অর্থের আদান-প্রদান বা অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপ করা যায় এরূপ কোনাে দ্রব্য বা সেবার আদান-প্রদানের দ্বারা কোনাে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে এরূপ আদান-প্রদানকে লেনদেন বলে।

Pyle and Lerson-এর মতে, “কারবারি লেনদেন হচ্ছে পণ্য, সেবা টাকা অথবা, টাকা আদায়ের ক্ষমতার বিনিময়।”

উপসংহারঃ সুতরাং বলা যায় যে, যে ঘটনার মাধ্যমে ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন তথা সম্পদ, দায় ও মালিকানা স্বত্বের পরিবর্তন ঘটে তাকে লেনদেন বলে।