জীবদেহে এমন কতগুলো অঙ্গ দেখা যায় যেগুলো নির্দিষ্ট জীবদেহে সক্রিয় থাকে কিন্তু এ সম্পর্কিত অঙ্গ অন্য জীবদেহে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। এ ধরনের অঙ্গগুলোকে লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বা নিষ্ক্রিয় অঙ্গ বলে।
 

জীবদেহে বহু লুপ্তপ্রায় অঙ্গ পরিলক্ষিত হয়। মানুষের দেহে লেজ নেই। তবু মেরুদন্ডের শেষ প্রান্তে ককসিক্স নামক লুপ্তপ্রায় অঙ্গ থাকে। এই ককসিক্স মানুষের পূর্বপুরুষের সুগঠিত ছিল। আবার মানুষের সিকাম ও সিকাম সংলগ্ন ক্ষুদ্র অ্যাপেন্ডিক্সটি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। কিন্তু স্তন্যপায়ী তৃণভোজী গিনিপিগের দেহে এগুলো সক্রিয় অবস্থায় থাকে। লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বহনকারী প্রাণের উৎপত্তি ঘটেছে এমন প্রাণী থেকে যার দেহে উক্ত অঙ্গটি সক্রিয় ছিল।