উত্তরঃ হিসাবচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ খতিয়ানের পরবর্তী ধাপ হলো রেওয়ামিল। খতিয়ানের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা ও আর্থিক বিবরণী প্রস্ততে সহায়তার জন্য রেওয়ামিল প্রস্তত করা হয়। রেওয়ামিলের ডেবিট ও ক্রেডিট উভয় পাশের সমতা হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করার একটি মাধ্যম। যদি কোনো কারণে হিসাব গাণিতিকভাবে শুদ্ধ না হয় কিংবা অন্য কোনো ভুল থাকে তা সংশোধন করতে হয়।
রেওয়ামিলের সংজ্ঞা (Concept of Trial Balance): লেনদেনগুলো খতিয়ানভুক্ত করার পর হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করার জন্য খতিয়ানসমূহের জের নিয়ে যে বিবরণী প্রস্তুত করা হয় তাকে রেওয়ামিল বলে। হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্য মূলতঃ রেওয়ামিল প্রস্তত করা হয়। এটি কোনো হিসাব নয় বা এটি হিসাবের কোনো অপরিহার্য অংশও নয়। একটি বিবরণী মাত্র। রেওয়ামিলের ডেবিট ও ক্রেডিট উভয় পাশে টাকার পরিমাণ সমান হলে বুঝতে হবে যে, গাণিতিকভাবে হিসাব শুদ্ধ আছে। অন্যদিকে না মিললে বুঝতে হবে যে, হিসাবের কোথাও না কোথাও ভুল আছে। সাধারণত দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির কারণে বা হিসাব সমীকরণের প্রভাবে রেওয়ামিল মিলে যায়।
রেওয়ামিলের বৈশিষ্ট্যঃ রেওয়ামিলের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপঃ
১. রেওয়ামিল কোনো হিসাব বা হিসাবের অংশ নয়। এটি একটি বিবরণী।
২. রেওয়ামিলে ডেবিট ও ক্রেডিট দুটি টাকার ঘর থাকে। খতিয়ানের ডেবিট জেরগুলো ডেবিট পাশে ও ক্রেডিট জেরগুলো ক্রেডিট পাশে বসাতে হয়।
৩. এর জন্য কোনো হিসাবের বই ব্যবহার করা হয় না। বরং আলাদা কাগজে রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।
৪. এটি সাধারণত হিসাবকালের শেষ তারিখে আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের পূর্বে তৈরি করা হয়।
৫. এ বিবরণীতে সকল হিসাবের জের (আয়, ব্যয়, সম্পত্তি, দায়, মূলধন ও উত্তোলন) থাকে।
৬. রেওয়ামিল হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করতে পারে।
৭. রেওয়ামিল আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতে সহায়তা করে থাকে।
Leave a comment