রাসায়নিক সাম্যাবস্থাঃ  কোন উভমুখী বিক্রিয়ার সম্মুখমুখী বিক্রিয়ার হার ও পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়ার হার সমান হলে তাকে রাসায়নিক সাম্যবস্থা বলা হয়।
           

PCl₅ (g)<——-> PCl₃ (g)+ Cl₂(g)
         
H₂ (g) + I₂ (g) <——–> 2HI (g)

আপাতদৃষ্টিতে সাম্যবস্থায় বিক্রিয়াটি স্থির বলে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে বিক্রিয়াটি গতিশীল। 

সাম্যবস্থায় একক সময়ে যে পরিমাণ বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিনত হয় ওই একই সময়ে উৎপাদের একই পরিমাণ বিক্রিয়কে পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ এই অবস্থায় প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো অনু বিক্রিয়া করে উৎপাদ তৈরি করে ওই একই সময়ে বিক্রিয়া করে ঠিক ততগুলো বিক্রিয়ক উৎপন্ন করে।

যেমন – ফসফরাস পেন্টাক্লোরাইড বিয়োযিত হয়ে ফসফরাস ট্রাই ক্লোরাইড ও ক্লোরিন উৎপন্ন করে। বিক্রিয়ার প্রথম দিকে বিক্রিয়ক ফসফরাস পেন্টাক্লোরাইডের ঘনমাত্রা বেশি থাকায় সামনের দিকের বিক্রিয়ার হার বেশি হয়। সময়ের সাথে উৎপাদের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি পাই, সেই সাথে পশ্চাদমুখী বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এক সময় সামনের বিক্রিয়ার হার ও পিছনের বিক্রিয়ার হার সমান হয়ে যায়। 

এই অবস্থাকে রাসায়নিক সাম্যাবস্থা বলে। 

একইভাবে হাইড্রোজেন ও আয়োডিন বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেনআয়োডাইড  উৎপন্ন হয়। বিক্রিয়াটি উভয়মুখী হওয়ায় সাম্যবস্থা অর্জিত হয়। সাম্যবস্থায় উভমুখী বিক্রিয়া স্হির মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তা গতিশীল। 

অর্থাৎ সামনের বিক্রিয়ার হার ও পিছনের বিক্রিয়ার হার সমান থাকে।
যেমন- হাইড্রোজেন ও আয়োডিনের বিক্রিয়ায় সাম্যবস্থা অর্জনের পর যদি আমরা বিক্রিয়কে কিছু পরিমাণ তেজস্ক্রিয় আয়োডিন (I₂*) যোগ করি তবে কিছু সময় পরে উৎপাদ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় উৎপাদে তেজস্ক্রিয় হাইড্রোজেনআয়োডাইড (HI*) তৈরি হয়। এতে প্রমাণিত হয় সাম্যবস্থায় বিক্রিয়া স্থির নয় বরং উভয় দিকে সমান হারে গতিশীল।
            

     H₂ + I₂*  <———> 2HI*