বিদেশ নীতি কাকে বলে বা পররাষ্ট্রনীতি বলতে কী বোঝো?
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় লক্ষ্য পূরণের জন্য একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থাপনের নীতিকে বিদেশ নীতি বা পররাষ্ট্রনীতি বলা হয়।
পররাষ্ট্রনীতির সংজ্ঞা দাও।
পররাষ্ট্রনীতি বলতে নিজের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থসমূহের সংরক্ষণ কিংবা পরিবর্ধনের জন্য একটি রাষ্ট্র কর্তৃক অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে তার আচরণ সংক্রান্ত নিয়মাবলি প্রণয়ন ও রূপায়ণ করাকে বােঝায়।
ভারতের বিদেশ নীতির মূল উপাদান কী?
জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে সমর্থন করা ভারতের বিদেশ নীতির মূল উপাদান।
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল বৈশিষ্ট্য হল জোটনিরপেক্ষতা। জোটনিরপেক্ষতা বলতে জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী স্বাধীন নীতির অনুসরণকে বােঝায়।
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির দুটি বৈশিষ্ট্য হল – (১) সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের বিরােধিতা করা ও (২) বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি কী?
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি হল— উপনিবেশবাদের বিরােধিতা করা, জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে সমর্থন করা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা।
পররাষ্ট্রনীতির অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলি কী কী?
পররাষ্ট্রনীতির যেসকল অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলি বর্তমান তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, জাতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ, জনমত, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ইত্যাদি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা Short Question)
রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (ভারতের শাসন বিভাগ Short Question)
রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (সরকারের বিভিন্ন বিভাগ Short Question)
রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ Short Question)
রাষ্ট্র বিজ্ঞান Class-12 (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক – Short Question)
পররাষ্ট্রনীতির বাহ্যিক উপাদানগুলি কী কি?
পররাষ্ট্রনীতির বাহ্যিক উপাদানগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল – বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশ্বজনমত, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য কী?
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য হল বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা।
পররাষ্ট্রনীতির প্রধান বিবেচ্য বিষয় কী?
পররাষ্ট্রনীতির প্রধান বিবেচ্য বিষয় হল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা।
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির মর্মবস্তু কী?
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির মর্মবস্তু হল জোটনিরপেক্ষতা বা বিরােধিতা।
ভারতের বিদেশ নীতির প্রধান স্তম্ভ কী?
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান স্তম্ভ হল জোটনিরপেক্ষতা।
ভারতে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে কে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন?
ভারতের প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
পররাষ্ট্রনীতি রূপায়ণে সরকারের কোন্ দপ্তর মুখ্য ভূমিকা পালন করে?
পররাষ্ট্রনীতি রূপায়ণে সরকারের বৈদেশিক কূটনৈতিক দপ্তর মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
জোসেফ ফ্রাঙ্কেল মতে, পররাষ্ট্রনীতি কী?
জোসেফ ফ্র্যাঙ্কেলের মতে, পররাষ্ট্রনীতি হল সেইসকল সিদ্ধান্ত বা ক্রিয়াকলাপের সমষ্টি, যা একাধিক রাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত থাকে।
জোসেফ ফ্র্যাঙ্কেল পররাষ্ট্রনীতির ক-টি উপাদানের কথা উল্লেখ করেছেন?
জোসেফ ফ্র্যাঙ্কেল পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত দুটি উপাদানের কথা বলেছেন – (1) জাতীয় লক্ষ্য পূরণ এবং (2) এই লক্ষ্য পূরণের মাধ্যম নির্ধারণ।
হার্টম্যান-এর মতে, পররাষ্ট্রনীতি কী?
হার্টম্যানের মতে, স্বেচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচিত জাতীয় স্বার্থ সমূহের একটি সুসংবদ্ধ বিবৃতিকেই পররাষ্ট্রনীতি বলা হয়।
চার্লস বার্টন মার্শাল-এর মতে, পররাষ্ট্রনীতি কী?
চার্লস বার্টন মার্শাল-এর মতে, পররাষ্ট্রনীতি বলতে কোনাে রাষ্ট্রের লক্ষ্যের সমষ্টিকে বােঝায় না। পররাষ্ট্রনীতি বলতে কোনাে রাষ্ট্র যেসব ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করছে বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যা করতে চাইছে তাদের সমষ্টিকে বােঝায়।
মডেলস্কি পররাষ্ট্রনীতি বলতে কী বুঝিয়েছেন?
মডেলস্কি বলেছেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কতকগুলি সুসংবদ্ধ কার্যাবলিকে অন্যান্য রাষ্ট্রের আচরণ ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যবিধান ঘটানােকেই এই পররাষ্ট্র নীতি বলা হয়।
শ্লেইচারের মতে, পররাষ্ট্রনীতি কী?
শ্লেইচার এর মতে, পররাষ্ট্রনীতি বলতে বােঝায় একটি বাহ্যিক পরিবেশ সম্পর্কে কোনাে একটি রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা ও কার্যকলাপ।
প্যাডেলফোর্ড ও লিঙ্কন পররাষ্ট্রনীতি বলতে কী বুঝিয়েছেন?
প্যাডেলফোর্ড ও লিঙ্কনের মতে, পররাষ্ট্রনীতি হল সেই প্রক্রিয়ার মুখ্য উপাদান, যার মাধ্যমে একটি রাষ্ট্র তার ব্যাপকভাবে পরিকল্পিত লক্ষ্য ও স্বার্থকে বাস্তবে রূপায়িত করার জন্য সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করে।
লার্কে ও সৌদ পররাষ্ট্রনীতি বলতে কী বােঝাতে চেয়েছেন?
লার্কে ও সইদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক পরিবেশে রাষ্ট্রকে বিভিন্ন সময়ে যেসকল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, সেই সকল পরিস্থিতি মােকাবিলা করার জন্য রাষ্ট্র যেসকল নীতি নির্ধারণ ও কার্যকর করে, তাই হল পররাষ্ট্র নীতি।
জয়ন্তানুজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, পররাষ্ট্রনীতি কী?
জয়ন্তানুজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, পররাষ্ট্রনীতি মূলত আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে কোনাে জাতীয় রাষ্ট্রের লক্ষ্য বা লক্ষ্য লাভের উপায়।
পররাষ্ট্রনীতির দূরপাল্লার লক্ষ্য কাকে বলে?
চূড়ান্ত রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন ঘটানােই হল পররাষ্ট্রনীতির দূরপাল্লার লক্ষ্য।
পররাষ্ট্রনীতির মধ্যপাল্লার উদ্দেশ্যসমূহ বলতে কী বােঝাে?
পররাষ্ট্রনীতির মধ্যপাল্লার উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে পড়ে সামাজিক কল্যাণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামরিক শক্তিবৃদ্ধি, ভূখণ্ডগত ও মতাদর্শগত সম্প্রসারণ প্রভৃতি।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষা পররাষ্ট্রনীতির কোন্ উদ্দেশ্যসমূহের অন্তর্গত?
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষা পররাষ্ট্রনীতির মুখ্য স্বার্থ বা উদ্দেশ্য সমূহের অন্তর্গত।
ভারতের মার্কিন ঘেঁষা পররাষ্ট্রনীতির দুটি দৃষ্টান্ত দাও।
(১) বাজপেয়ী সরকার আফগানিস্তান ও সুদানে মার্কিন আক্রমণকে সমর্থন করেছে। (২) ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে যুগোস্লাভিয়া উপর ন্যাটো বাহিনীর বেপরােয়া আক্রমণের বিরুদ্ধেও ওই সরকার কোনাে প্রতিবাদ করেনি।
কূটনীতি কী?
জাতীয় রাষ্ট্রগুলি যে নীতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তাদের ভূমিকা নির্ধারণ করে, তাকেই কূটনীতি বলে।
আক্রমণাত্মক কূটনীতি কাকে বলে?
আক্রমণাত্মক কূটনীতি বলতে এমন এক ধরনের কূটনীতিকে বােঝায় যে কূটনীতি প্রয়ােগে প্রয়ােজনে সামরিক শক্তির ব্যবহারে দ্বিধা করা হয় না।
কূটনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?
পররাষ্ট্রনীতি হল একটি দেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতিসমূহ, আর কূটনীতি হল সেগুলি কার্যকর করার পন্থা-পদ্ধতি বা কৌশল। সংক্ষেপে বলা যায় পররাষ্ট্রনীতি হল লক্ষ্য এবং কূটনীতি হল লক্ষ্যে পৌঁছানোর মাধ্যম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণ করেন?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করেন।
“The Making of Foreign Policy’ গ্রন্থের লেখক কে?
The Making of Foreign Policy’ গ্রন্থের লেখক জোসেফ ফ্রাঙ্কেল।
“An Introduction to Foreign Policy’ গ্রন্থের লেখক কে?
“An Introduction to foreign Policy’ গ্রন্থের লেখক রিজওয়ান।
The End of History and the Last Man’ গ্রন্থের লেখক কে?
‘The End of History and the Last Man’ গ্রন্থের লেখক ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা।
ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা ইতিহাসের পরিসমাপ্তি বলতে কী বুঝিয়েছেন?
ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা ইতিহাসের পরিসমাপ্তি বলতে মানুষের যােগ্য শাসনব্যবস্থার চূড়ান্ত রূপ হিসেবে পাশ্চাত্যের উদারনৈতিক গণতন্ত্রের বিবর্তন ও বিশ্বজনীনতা লাভকে বুঝিয়েছেন।
জাতীয় সংস্কৃতির জন্য কোন দুটি দেশ পররাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে সহমত পোষণ করে?
ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংস্কৃতিগত মিল থাকার দরুন উভয় দেশই পররাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে সহমত পোষণ করে।
ভারত-চিন যুদ্ধ প্রথম কত খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ভারত-চিন যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের মূল কারণ কী ছিল?
১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে কচ্ছকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছিল।
বৈষম্যমূলক পারমাণবিক অস্ত্র প্রসার রােধ চুক্তি কবে হয়?
বৈষম্যমূলক পারমাণবিক অস্ত্র প্রসার রােধ চুক্তি ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত হয়।
রুশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?
রুশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত হয়।
সিমলা চুক্তি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?
সিমলা চুক্তি ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
সিমলা চুক্তি কেন সম্পাদিত হয়?
কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তি সম্পাদিত হয়।
ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার স্গে শান্তি স্থাপনের জন্য চুক্তি করেন ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে?
রাজীব গান্ধি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শান্তি স্থাপনের জন্য ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে চুক্তি করেন।
জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাদের মধ্যে, কবে গঠিত হয়?
১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে ভারত-চিনের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়।
কার আমলে ভারতে প্রথম বিশ্বায়ন ও বাজার অর্থনীতি গ্রহণ করা হয়?
১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও-এর আমলে ভারতে প্রথম বিশ্বায়ন ও বাজার অর্থনীতি গ্রহণ করা হয়।
লাহোর ঘােষণাপত্র কবে ও কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?
লাহোর ঘােষণাপত্র ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
দিল্লি-লাহাের সমঝোতা এক্সপ্রেস এবং দিল্লি-লাহোর বাস সার্ভিস কবে চালু হয়?
১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি-লাহোর সমঝোতা এক্সপ্রেস এবং দিল্লি লাহোর বাস সার্ভিস চালু হয়।
ভারতের পরমাণু নীতির মূল বক্তব্য কী?
ভারতের পরমাণু নীতির মূল বক্তব্য হল ‘No First Strike’
ভারতের ‘No First Strike’ এই পরমাণু নীতির প্রধান রূপকার কোন প্রধানমন্ত্রী?
ভারতের ‘No First Strike’ এই পরমাণু নীতির প্রধান রূপকার প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী।
Vision Document কী?
২০০০ খ্রিস্টাব্দের ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন যে যৌথ প্রতিবেদন স্বাক্ষর করেন, তা ‘Vision Document’ নামে পরিচিত।
গুজরাল নীতি কার সৃষ্টি?
গুজরাল নীতি ইন্দ্র কুমার গুজরাল এর সৃষ্টি।
গুজরাল নীতি কী?
ভারতবর্ষের সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিশেষকরে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের প্রসঙ্গে ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরাল পাঁচটি নীতির অবতারণা করেন। এই নীতিগুলি হল – (১) প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে প্রতিদানের আশা না করে ভারত তাদের বিশ্বাস রক্ষায় সাহায্য করে যাবে, (২) দক্ষিণ এশিয়ার কোনাে রাষ্ট্র তার জমি অন্য রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না, (৩) কোনাে রাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না, (৪) সকল দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলি পরস্পর রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা বজায় রেখে চলবে, (৫) রাষ্ট্রগুলি নিজেদের মধ্যে সমস্যা শান্তিপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করবে।
Look East Policy বা পূর্বে তাকাও নীতির রূপকার কারা?
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বাধীন UPA সরকার এই পূর্বে তাকাও নীতির রূপকার।
পূর্বে তাকাও নীতির মূল বক্তব্য কী ছিল?
ড. মনমোহন সিং-এর পূর্বে তাকাও নীতির মূল বক্তব্য ছিল – প্রশান্ত মহাসাগরের নিকটস্থ পূর্ব এশিয়ার সমগ্র এলাকার অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করা।
কবে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়?
২০০৮ খ্রিস্টাব্দে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কবে সিরিয়া আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে সিরিয়া আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়।
পাক-ভারত উন্নত সম্পর্কের দুটি উদাহরণ দাও।
(১) ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে শ্রীনগর-মুজাফফরবাদ বাস সার্ভিস চালু হয়। (২) ২০১২ খ্রিস্টাব্দে উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে প্রত্যক্ষ পুঁজি বিনিয়োগ চালু হয়।
CTBT কী?
CTBT হল সার্বিক পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা রােধ চুক্তি। CTBT পুরো কথা হল— Comprehensive Test Ban Treaty।
ভারত কেন CTBT-তে স্বাক্ষর দানে অসম্মত হয়?
ভারতের নীতি ছিল, পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করতে হলে সবার ক্ষেত্রেই তা প্রযােজ্য হতে হবে।
CTBT কবে স্বাক্ষরিত হয়?
CTBT ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত হয়।
ভারত জাতিপুঞ্জের সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর এমন দুটি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করাে।
ভারত ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে বৈষম্যমূলক অস্ত্র প্রসার রােধ চুক্তি এবং ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে সার্বিক পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা রােধ চুক্তি (CTBT)-তে স্বাক্ষরদানে বিরত থেকেছে।
কে FISA প্রণয়ন করেন?
মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ FISA প্রণয়ন করেছিলেন।
FDI কাদের মধ্যে চালু হয়?
২০১২ খ্রিস্টাব্দে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে FDI বা প্রত্যক্ষ পুঁজি বিনিয়োগ চালু হয়।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা WTO কবে গঠিত হয়?
১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা WTO গঠিত হয়।
CIA-এর পুরাে কথা কী?
CIA-এর পুরাে কথাটি হল— Central Intelligence Agency।
CIA কী?
CIA হল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।
BRICS কী?
BRICS হল একটি সম্মেলন। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা দেশগুলির সমন্বয়ে BRICS গঠিত হয়েছিল।
১২৩ চুক্তি কী?
২০০৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত-মার্কিনের মধ্যে যে অসামরিক পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তা ১২৩ চুক্তি নামে পরিচিত।
GATT- এর অর্থ কি?
GATT-এর অর্থ হল সাধারণ বাণিজ্য ও শস্য সংক্রান্ত চুক্তি।
GATT-এর সম্পূর্ণ কথাটি কী?
GATT-General Agreement Trade and Tariff।
NDA-এর পুরাে কথা কী?
National Democratic Alliance।
UPA-এর পুরাে কথা কী?
UPA-এর পুরাে কথাটি হল— United Progressive Alliance।
ISI-এর পুরাে কথা কী?
ISI – Inter-Service Intelligence।
কমনওয়েলথ কী?
কমনওয়েলথ হল স্বাধীন রাষ্ট্রগুলির এক স্বেচ্ছামূলক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান।
মানবসভ্যতার চরম শত্রু কোনটি?
সাম্রাজ্যবাদ বা উপনিবেশবাদ হল মানব সভ্যতার চরম শত্রু।
সাম্রাজ্যবাদের সর্বাধুনিক রূপ কী?
সাম্রাজ্যবাদের সর্বাধুনিক রূপটি হল নয়া উপনিবেশবাদ।
নিরপেক্ষতা বলতে কী বােঝায়?
যে-কোনাে আন্তর্জাতিক সমস্যার ব্যাপারে নিস্পৃহ মনােভাব বা ঔদাসীন্য প্রদর্শনকে নিরপেক্ষতা বলা হয়।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন বলতে কী বােঝায়?
সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, নয়া-উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও জাতিবিদ্বেষবিরােধী এমন একটি আন্দোলন হল জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন। যা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, বিশ্বশান্তি ও জাতীয় নিরাপত্তার নীতিতে গভীরভাবে আস্থাভাজন।
জোট নিরপেক্ষ’ শব্দটি নেহেরু কোথায় ব্যবহার করেন?
জোট নিরপেক্ষ শব্দটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের কলম্বো অধিবেশনে ব্যবহার করেন।
ভারতের জোট নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণের দুটি কারণ লেখাে ৷
ভারতের জোট নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণের দুটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল- (১) ভারতের ভৌগােলিক অবস্থান ও (২) পুঁজিবাদ ও সাম্যবাদের বিরােধিতা।
ভৌগােলিক অবস্থানের দ্বারা কোন দেশের জোট নিরপেক্ষ নীতি প্রভাবিত হয়েছে?
ভারতের জোট নিরপেক্ষ নীতি তার ভৌগােলিক অবস্থানের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।
ভারতের জোট নিরপেক্ষ নীতি প্রথম বিচ্যুতি ঘটে কবে?
ভারতের জোট নিরপেক্ষ নীতি প্রথম বিচ্যুতি ঘটে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে কোরিয়া যুদ্ধের সময়।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে তেহরান সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয়?
২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৩০-৩১ আগস্ট জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের তেহরান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্জোট আন্দোলন কে Workshop of Peace বলেছেন?
ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু।
৭৭ টি রাষ্ট্রের গােষ্ঠী কোন দেশগুলিকে নিয়ে গড়ে ওঠে?
৭৭ (সাতাত্তর) রাষ্ট্রের গােষ্ঠী জোটনিরপেক্ষ দেশগুলিকে নিয়ে গড়ে ওঠে।
জোট নিরপেক্ষতা ও নিরপেক্ষতার মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?
একটি জোট নিরপেক্ষ দেশ কোনাে সামরিক জোটে যােগ না দিয়েও যুদ্ধ, আগ্রাসন, ঔপনিবেশিকতা, সামরিক ঘাঁটি স্থাপন ইত্যাদি বিরােধিতা করতে পারে, অপরপক্ষে একটি নিরপেক্ষ দেশকে যে-কোনাে আন্তর্জাতিক সমস্যার ব্যাপারে নীরব ও নিস্পৃহ থাকতে হয়।
কোন দেশের অনুকরণে নেহরু পঞ্শীল নীতি উদ্ভাবন করেন?
ইন্দোনেশিয়ার পঞ্জৎ শিলা-র অনুকরণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে পঞ্চশীল নীতি উদ্ভাবন করেন।
পঞ্চশীল চুক্তি কবে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?
১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং চিনের প্রধানমন্ত্রী ঝৌ এনলাই-এর মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
একটি পঞ্চশীল নীতির উল্লেখ করাে।
পঞ্শীল নীতিগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য একটি নীতি হল – অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।
দুটি আঞ্চলিক সাহায্যকারী গােষ্ঠীর নাম লেখাে।
দুটি আঞ্চলিক সাহায্যকারী গােষ্ঠীর নাম হল ASEAN এবং SAARC।
SAARC-এর পুরো কথাটি লেখা?
SAARC-এর পুরাে কথাটি হল— South Asian Association for Regional Cooperation।
সার্কের প্রতিষ্ঠা কবে হয়?
১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
সার্ক গঠনের প্রস্তাব কে প্রথম দেন?
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সর্বপ্রথম সার্ক গঠনের প্রস্তাব দেন।
সার্কের একটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করো।
সার্কের অন্যতম উদ্দেশ্য হল, দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের কল্যাণসাধন করা এবং তাদের জীবনের উৎকর্ষ বিধান করা।
সার্কের বর্তমান সদস্য কত?
সার্কের বর্তমান সদস্য ৮টি রাষ্ট্র।
আফগানিস্তান কবে সার্কের সদস্যপদ লাভ করে?
আফগানিস্তান ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন সদস্যপদ লাভ করে।
সার্কের যে-কোনাে চারটি সদস্য রাষ্ট্রের নাম লেখাে।
সার্কের চারটি সদস্য রাষ্ট্র হল ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা।
সার্কের সদস্যরাষ্ট্রগুলির মধ্যে সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র কোনটি?
সার্কের সদস্যরাষ্ট্রগুলির মধ্যে সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র হল ভারত।
কোন কোন্ রাষ্ট্র সার্কের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে?
চিন ও মায়ানমার সার্কের পূর্ণ সদস্যরাষ্ট্র হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সার্কের সনদে ক-টি ধারা আছে?
সার্কের সনদে ১০টি ধারা আছে।
সার্কের সনদে ক-টি উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে?
সার্কের সনদে ৮টি উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে।
সার্কের ৪নং ধারায় কী বলা হয়েছে?
সার্কের ৪নং ধারায় সার্কের মন্ত্রীসভা গঠন ও কার্যাবলি সম্পর্কে আলােচনা করা হয়েছে।
সার্কের সনদে ক-টি নীতির কথা বলা হয়েছে?
সার্কের সনদে ৩টি নীতির কথা বলা হয়েছে।
সার্কের কত নম্বর ধারায় এর নীতিগুলির কথা বলা হয়েছে?
সার্ক সনদের ২ নম্বর ধারায় এর নীতিগুলির কথা বলা হয়েছে।
সার্কের যে-কোনাে দুটি নীতির উল্লেখ করাে।
সার্কের নীতিগুলির মধ্যে দুটি নীতি হল – (১) ভৌগােলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌম ক্ষমতা, অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এবং পারস্পরিক লাভ এই নীতিগুলির প্রতি প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র শ্রদ্ধাশীল থাকবে। এই পারস্পরিক শ্রদ্ধাই হল সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে সহযােগিতার ভিত, (২) রাষ্ট্রগুলির মধ্যে এই সহযােগিতা তাদের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযােগিতার পরিপূরক রূপে বিবেচিত হয়।
সার্কের কত নম্বর ধারায় এর প্রযুক্তিগত কমিটি সম্পর্কে বলা হয়েছে?
সার্ক সনদের নং ধারায় এর প্রযুক্তিগত কমিটি গঠন ও তার কার্যাবলি সম্পর্কে বলা হয়েছে।
সার্কের প্রযুক্তিগত কমিটি কাদের নিয়ে গঠিত হয়?
সদস্যরাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে সার্কের প্রযুক্তিগত কমিটি গঠিত হয়।
সার্কের একটি টেকনিক্যাল কমিটির নাম কী?
সার্কের একটি টেকনিক্যাল কমিটি হল কর্মসূচি রূপায়ণ সম্পর্কিত কমিটি।
সার্কের কত নম্বর ধারায় অ্যাকশন কমিটির কথা বলা হয়েছে?
সার্কের ৭ নম্বর ধারায় অ্যাকশন কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে।
সার্কের অ্যাকশন কমিটি কে গঠন করে?
সার্কের স্থায়ী কমিটি প্রয়ােজন মনে করলে অ্যাকশন কমিটি গঠন করতে পারে।
সার্কের কত নম্বর ধারায় সচিবালয় গঠনের কথা বলা হয়েছে?
সার্কের ৮ নম্বর ধারায় সচিবালয় গঠনের কথা বলা হয়েছে।
সার্কের সচিবালয়ের প্রধান কে? তিনি কত বছরের জন্য মনােনীত হন?
সার্কের সচিবালয়ের প্রধান হলেন একজন মহাসচিব। তিনি তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
সার্কের সচিবালয় গঠনের সিদ্ধান্ত কে নেয়?
সার্কের মন্ত্রীসভা সচিবালয় গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।
সার্কের সচিবালয় কোথায় অবস্থিত?
সার্কের সচিবালয় নেপালের কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।
সার্কের মন্ত্রীসভা কাদের নিয়ে গঠিত হয়?
সার্কের মন্ত্রীসভা সার্কের অন্তর্ভুক্ত সদস্য রাষ্ট্র গুলির পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত হয়।
সার্কের মন্ত্রীসভার কাজ কী?
নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
সার্কের সর্বোচ্চ সংস্থা কোনটি?
সার্কের সর্বোচ্চ সংস্থা হল মন্ত্রীসভা।
সার্কের সর্বোচ্চ সংস্থা কাদের নিয়ে গঠিত?
সার্কের প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত।
সার্কের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
সার্কের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়।
সার্কের প্রথম অধিবেশনের সভাপতি কে ছিলেন?
সার্কের প্রথম অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
সার্কের প্রথম অধিবেশনে উপস্থিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
সার্কের প্রথম অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি।
সার্কের দ্বিতীয় সম্মেলনের একটি গুরুত্ব লেখাে।
সার্কের দ্বিতীয় সম্মেলনের স্মারকপত্রে আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসার ও সন্ত্রাসবাদ রােধের সংকল্প ব্যক্ত করা হয়।
সার্কের কোন সম্মেলনে নারীর সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও মাদকদ্রব্য পাচারের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়?
১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে সার্কের বেঙ্গালুরতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে নারীর সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও মাদকদ্রব্য পাচার প্রভৃতি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সার্কের তৃতীয় সম্মেলনে কোন প্রস্তাব গৃহীত হয়?
সার্কের তৃতীয় সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান পরিবেশ বিপর্যয় সম্পর্কে সজাগ থাকার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সার্কের চতুর্থ সম্মেলনে কোন কোন্ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়?
সার্কের চতুর্থ সম্মেলনে সাক্ষরতা, বাসস্থান এবং স্বাস্থ্য এই তিনটি ক্ষেত্রে জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়।
সার্কের কোন অধিবেশনে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দকে কন্যাবর্ষ বলা হয়েছে?
১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে সার্কের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দকে কন্যাবর্ষরূপে চিহ্নিত করা হয়।
সার্কের পঞ্ম শীর্ষ সম্মেলনে কোন বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?
সার্কের পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সার্কের ষষ্ঠ সম্মেলনে কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়?
সার্কের ষষ্ঠ সম্মেলনে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও কারিগরি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে উদারনীতি প্রবর্তনের উপর গুরুত্ব আরােপ করা হয়।
সার্কের সপ্তম শীর্ষ সম্মেলনের গুরুত্ব লেখাে।
সার্কের সপ্তম শীর্ষ সম্মেলনে সাতটি রাষ্ট্রের স্বাক্ষরিত সাপটা চুক্তি সম্পাদিত হয়। এ ছাড়া এশিয়ান, ইউরােপিয়ান অর্থনৈতিক গােষ্ঠী এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে যােগাযােগ স্থাপিত হয়।
সার্কের অষ্টম শীর্ষ সম্মেলনে কোন্ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়?
সার্কের অষ্টম শীর্ষ সম্মেলনে ২০০২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে গরিবি দূরীকরণের সংকল্প গ্রহণ করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সার্ক একটা দরিদ্র মানুষের আসর নয়’ কে বলেছেন?
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও সার্কের অষ্টম শীর্ষ সম্মেলনে এ কথা বলেছিলেন।
সার্কের নবম শীর্ষ সম্মেলনে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়?
সার্কের নবম শীর্ষ সম্মেলনে দারিদ্র্য দূরীকরণ, অর্থনৈতিক সহযােগিতা বৃদ্ধি, মহিলা ও শিশু কল্যাণ এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সার্কের কোন সম্মেলনে প্রথা বহির্ভূত শিক্ষা প্রসারের জন্য একটি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় মণ্ডলী গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়?
১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে মালদ্বীপের রাজধানী মালে অনুষ্ঠিত সার্কের নবম শীর্ষ সম্মেলনে প্রথা বহির্ভূত শিক্ষা প্রসারের জন্য একটি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় মণ্ডলী গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সার্কের দশম শীর্ষ সম্মেলনে কোন্ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়?
সার্কের দশম শীর্ষ সম্মেলনে আন্তঃরাষ্ট্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিমাণগত অন্তরায় দূর করা এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করা প্রভৃতি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সার্কের একাদশ শীর্ষ সম্মেলনে কোন্ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়?
সার্কের একাদশ শীর্ষ সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সার্কের দ্বাদশ শীর্ষ সম্মেলনে কোন্ কোন্ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়?
সার্কের দ্বাদশ শীর্ষ সম্মেলনে – (১)এশীয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল স্থাপন, (২) সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে একটি অতিরিক্ত নিয়ম বিধি এবং (৩) একটি সামাজিক সনদ রচনা করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সার্কের ত্রয়ােদশ শীর্ষ সম্মেলনে কোন কোন বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়?
সার্কের ত্রয়ােদশ শীর্ষ সম্মেলনে তিনটি বিষয়ে চুক্তি সম্পাদনের পদক্ষেপ নেওয়া হয় – (১) সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে করদাতাদের দু-তরফে কর দান থেকে রেহাই প্রদান, (২) ভিসা সংক্রান্ত নিয়মকানুনের সরলীকরণ এবং (৩) একটি সার্ক সালিশি পরিষদ স্থাপন।
সার্কের চতুর্দশ শীর্ষ সম্মেলনের মুখ্য বিষয় বা থিম কী ছিল?
সার্কের চতুর্দশ শীর্ষ সম্মেলনের মুখ্য বিষয় বা থিম ছিল পারস্পরিক সংযােগ বৃদ্ধি।
সার্কের নতুন দিল্লি সম্মেলনে (এপ্রিল ২০০৭) কী কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল?
সার্কের নতুন দিল্লি সম্মেলনে কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই বিষয়গুলি হল – (১) একটি সুদৃঢ় সংযুক্ত ও পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তােলা, (২) পানীয় জল, খাদ্য, জ্বালানি ও দূষণমুক্ত পরিবেশ গঠনকে অগ্রাধিকার প্রদান করা প্রভৃতি।
সার্কের পঞ্চদশ শীর্ষ সম্মেলনে কোন বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়?
সার্কের পঞ্চদশ শীর্ষ সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সার্কের যােড়শ শীর্ষ সম্মেলনের থিম কী ছিল?
সার্কের ষােড়শ শীর্ষ সম্মেলনের থিম ছিল একটি সবুজ ও সুখী দক্ষিণ এশিয়ার দিকে।
সার্কের কোন্ সম্মেলনে সার্ক ২০০০’ নামে একটি ভবিষ্যম্মুখী প্রকল্প রচিত হয়?
১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের ২৯-৩১ ডিসেম্বর সার্কের ইসলামাবাদ শীর্ষ সম্মেলনে সার্ক ২০০০’ নামে ভবিষ্যম্মুখী প্রকল্প রচিত হয়।
২০০১ খ্রিস্টাব্দে এডু সিটিতে অনুষ্ঠিত সার্ক সম্মেলনে গৃহীত সেতুবন্ধন কর্মসূচি-তে কোন্ বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরােপ করা হয়?
সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক আয়-বন্টনের ক্ষেত্রে অসম বিকাশ এবং পুরুষ ও মহিলার মধ্যে বৈষম্য হ্রাসের জন্য সম্মান ও মর্যাদার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযােগিতার উপর প্রতিনিধিরা বিশেষ গুরুত্ব আরােপ করেন।
কত খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলকে একটি মুক্ত বাণিজ্যিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তােলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
২০২৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলকে একটি মুক্ত বাণিজ্যিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তােলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সার্কের সদস্যদের মধ্যে ভুল বােঝাবুঝির অবসানে ভারতের যে-কোনাে দুটি প্রয়াস উল্লেখ করাে।
সার্কের সদস্যদের মধ্যে ভুল বােঝাবুঝির অবসানে ভারতের উল্লেখযােগ্য দুটি প্রয়াস হল – (১) গঙ্গার জল বণ্টনের ব্যাপারে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন, (২) ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত-পাকিস্তান সড়ক যােগাযােগ স্থাপনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া।
সীমান্ত সমস্যা সার্কের কোন দেশের বাস্তব সমস্যা?
সার্কের সদস্যরাষ্ট্রগুলির মধ্যে সীমান্ত সমস্যা ভারতের বাস্তব সমস্যা।
চাণক্য পরিকল্পনা কী?
সার্কের মতাে একটি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সংস্থা গড়ে তােলার প্রয়াসকে পাকিস্তান চাণক্য পরিকল্পনা বলে উল্লেখ করেছে।
শ্রবণ-দর্শন বিনিময় ব্যবস্থা কারা গড়ে তোলেন?
সার্কের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে নিবিড় সংযােগ সম্পর্ক সৃষ্টির স্বার্থে এই শ্রবণ-দর্শন বিনিময় ব্যবস্থা (Audio Visual-Exchange System) গড়ে তোলেন।
ASEAN -এর পুরাে কথা কী?
ASEANৎ- Association of South East Asian Nations।
সার্কের একটি সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করাে।
সার্কের সদস্যরাষ্ট্রগুলির অতিরিক্ত জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির দরুন পারস্পরিক সহযােগিতা গড়ে তােলার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
সার্কের একটি দুর্বলতা উল্লেখ করাে।
সার্কের অন্যতম দুর্বলতা হল সার্কের সদস্যরাষ্ট্রগুলির অভ্যন্তরীণ বিবাদ।
সার্কের একটি বড়াে সমস্যা লেখাে।
সার্কের একটি বড় সমস্যা হল দারিদ্র ও নিরক্ষরতা।
SAFTA বলতে কী বােঝাে?
SAFTA হল সার্কের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির জন্য বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বাণিজ্যিক এলাকা গঠনের একটি উদ্যোগ।
OAU-এর পুরাে কথা কী?
OAU-এর পুরাে কথাটি হল Organization of African Unity।
SAFTA-এর পুরাে কথা কী?
SAFTA – এর পুরাে কথা – South Asian Free Trade Area অর্থাৎ দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল।
সার্কের কোন সম্মেলনে, কার উদ্যোগে SAFTA গড়ে তােলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়?
২০০৪ খ্রিস্টাব্দে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত সার্কের দ্বাদশ সম্মেলনে ভারতের উদ্যোগে SAFTA গড়ে তােলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
SAFTA গঠনের উদ্দেশ্য কী?
SAFTA গঠনের উদ্দেশ্য হল ইউরােপীয় ইউনিয়নের মতাে দক্ষিণ এশীয় একটি সংঘ গড়ে উঠুক, যেখানে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যিক আদানপ্রদান চলবে, যার জন্যই সার্কের দ্বাদশ সম্মেলনে NAFTA গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
SAPTA (সাপটা) গঠনের প্রস্তাব কোন্ সার্ক সম্মেলনে উত্থাপিত হয়?
SAPTA গঠনের প্রস্তাব উত্থাপিত হয় কলম্বােয় অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে।
সাপটা বা দক্ষিণ এশীয় বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বাণিজ্যিক এলাকা গঠনের প্রস্তাব সার্ক-এর কোন দেশ উত্থাপন করে?
সাপটা গঠনের প্রস্তাব সার্ক অন্তর্ভুক্ত শ্রীলঙ্কা দেশ উত্থাপন করে।
SAPTA-র পুরাে কথাটি কী?
SAPTA – South Asian Preferential Trade Agreement।
South Asian Preferential Trade Agreement SAPTA গঠনের প্রস্তাব কত খ্রিস্টাব্দে উত্থাপিত হয়?
১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর SAPTA গঠনের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়।
কোন চুক্তিতে বলা হয়েছে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সার্কভুক্ত দেশগুলির অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে তুলবে?
SAFTA (সাফটা) নামক চুক্তিতে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে তােলার কথা বলা হয়েছে।
সাপটার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য কী?
সাপটার (SAPTA)-র দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলকে একটি মুক্ত বাণিজ্যিক অঞ্চলে পরিণত করা।
সাপটার কর্মসূচিকে কী বলা হয়?
সাপটার কর্মসূচিকে ‘SAFTA বা দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল বলা হয়।
Leave a comment