রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিশ্লেষণে আদর্শনিষ্ঠ ও অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যসূচক বৈশিষ্ট্যসমূহ

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়াদির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে দুটি দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিপন্ন হয়। এই দুটি দৃষ্টিভঙ্গির একটি হল আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি বা মূল্যবোধমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অপরটি হল অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠেছে দার্শনিক তত্ত্বের মূল বক্তব্যের ভিত্তিতে। আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি হল একটি ঐতিহ্যবাদী বা পরম্পরাগত দৃষ্টিভঙ্গি। এই দৃষ্টিভঙ্গির দৃষ্টিকোণের একটি বিশেষ ধারা আছে। এই ধারাটি হল দার্শনিক ধারা। অপরদিকে অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মূল কথা হল তথ্য-নিষ্ঠা। তথ্যাদি সংগ্রহ, সংকলন ও বিচার-বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। আলোচ্য বিষয়, বক্তব্য, পদ্ধতি-পরিকাঠামো প্রভৃতির পরিপ্রেক্ষিতে আদর্শনিষ্ঠ ও অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে মৌলিক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এই দুই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে মূল বিরোধিতা দুটি বিষয়কে নিয়ে। এই দুটি বিষয় হল মূল্যবোধ-নির্ভরতা ও তথ্য-নির্ভরতা। বস্তুতঃ আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে বিবিধ ক্ষেত্রে বহু পার্থক্য বর্তমান। এই সমস্ত পার্থক্যের মধ্যে কতকগুলি মৌলিক ও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

‘আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি’ ও ‘অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি’ – রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় এই দুটি দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়েছে ‘তথ্য-মূল্য সমস্যা’ (fact-value problem)-কে কেন্দ্র করে। আদর্শস্থাপনকারী দৃষ্টিভঙ্গির অনুসরণকারীদের অভিমত অনুসারে রাজনীতির অনুশীলনকে মূল্য-নিরপেক্ষ করা যায় না। স্বভাবতই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিশুদ্ধ বিজ্ঞানের পর্যায়ভুক্ত হতে পারে না। বিপরীতক্রমে অভিজ্ঞতাবাদীরা রাজনীতির বিজ্ঞান গড়ে তোলার পক্ষপাতী। তাঁদের মতানুসারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনা হবে মূল্য-নিরপেক্ষ, মূল্যবিচারের কোন অবকাশ এখানে থাকবে না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর দায়িত্ব হল তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ এবং রাজনীতিক আচরণের বর্ণনা ও বিশ্লেষণ। গাউবা (O. P. Gauba) তার Political Theory শীর্ষক গ্রন্থে এ বিষয়ে বলেছেন: “Broadly speaking the empirical approach seeks to discover and describe facts whereas the normative approach seeks to determine and prescribe values. The empirical approach aims at making an empirical statement which is concerned with ‘is’ where as the normative approach aims at making a normative statement which is concerned with what ‘ought to be’ or ‘should be”.”

এক, আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গিতে মূল্যবোধের উপর প্রাধান্য আরোপ করা হয়। আদর্শবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের অভিমত অনুযায়ী মূল্যবোধ ব্যতিরেকে তত্ত্ব গঠন করা যায় না। মানুষ তার জীবনকে গড়ে তোলে নির্দিষ্ট মূল্যবোধের ভিত্তিতে। অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে মূল্যবোধের ধারণাকে সতর্কতার সঙ্গে পরিহার করা হয়। অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি হল মূল্যবোধহীন বা মূল্যবোধ-বর্জিত একটি দৃষ্টিভঙ্গি। এই দৃষ্টিভঙ্গির মূল উপজীব্য বিষয় হল তথ্য। তাই এই দৃষ্টিভঙ্গি তথ্যভিত্তিক ও বাস্তবসম্মত। অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির উপকরণ সংগৃহীত হয় বাস্তব জীবন থেকে। অভিজ্ঞতাবাদীদের অভিমত অনুসারে মূল্যবোধ বা অগ্রাধিকারের ধারণা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব গঠনের পথে প্রতিবন্ধকতা করে।

দুই, আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি বা মূল্যবোধমূলক দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ক্ষেত্রে অনুমানভিত্তিক ও কল্পনাশ্রয়ী। তারফলে বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্কের অভাব দেখা দেয়। স্বভাবতই আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গিতে বিজ্ঞানমনস্কতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। বিপরীতক্রমে বিজ্ঞানমনস্কতা হল অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির একটি বড় বৈশিষ্ট্য।

তিন, আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গিতে অনুসৃত আলোচনা পদ্ধতি হল বর্ণনামূলক। এই কারণে এই দৃষ্টিভঙ্গিটি হল বর্ণনাত্মক। বিপরীতক্রমে অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়াদি আলোচনার ক্ষেত্রে বর্ণনামূলক পদ্ধতিকে পরিহার করা হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গির আলোচনা পদ্ধতিতে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

চার, আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী আদর্শ সমাজ গড়ে তোলা দরকার। তারজন্য প্রয়োজন হল আদর্শ রাষ্ট্রনীতিক প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ আদর্শ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই কারণে বলা হয় যে, আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রাতিষ্ঠানিক আলোচনা প্রাধান্য পেয়েছে। অপরদিকে অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজনীতিক প্রক্রিয়ার আলোচনার উপর জোর দেওয়া হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রাতিষ্ঠানিক আলোচনাকে স্বীকার ও সমর্থন করা হয় না।

পাঁচ, সুনির্দিষ্ট কোন রাজনীতিক মূল্যবোধ বা মতাদর্শকে ভিত্তি করেই আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠে। কিন্তু অভিজ্ঞতাবাদী রাজনীতিক দৃষ্টিভঙ্গি আদর্শ ও মূল্যবোধের বিরোধী।

ছয়, অভিজ্ঞতাবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা একটি সাধারণ বা সর্বজনীন তত্ত্ব গড়ে তোলার পক্ষপাতী। এই তত্ত্বের মাধ্যমে যে কোন রাজনীতিক বিষয়ের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সম্ভব হবে। অপরদিকে আদর্শবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মূল্যবোধ ও মূল্যবোধের ব্যবধানে বিশ্বাস করেন। এবং তাঁরা এই ব্যবধান পরিমাপ করার উদ্দেশ্যে বিবিধ মানদণ্ড প্রয়োগ করার পক্ষপাতী।

সাত, আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গিতে কোন পূর্ব-নির্ধারিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয় এবং তত্ত্ব গড়ে তোলা হয়। অর্থাৎ আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গির পদ্ধতি হল অবরোহণমূলক। অপরদিকে অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজনীতিক জীবনের পারিপার্শ্বিকতা থেকে প্রয়োজনীয় যাবতীয় উপকরণ ও তথ্যাদি সংগৃহীত হয়। সংগৃহীত তথ্যাদির সংকলন, বিন্যাস ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে তত্ত্ব গড়ে তোলা হয়। সুতরাং অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির পদ্ধতি হল আরোহণমূলক। 

আট, আদর্শবাদীদের অভিমত অনুযায়ী মানব সমাজে বিবিধ আদর্শ বা মূল্যবোধ বর্তমান। এই সমস্ত আদর্শ বা মূল্যবোধ অভিন্ন মানের নয়। এই কারণে আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গিতে মূল্যবোধ বা আদর্শের শ্রেণী বিন্যাস পরিলক্ষিত হয়। অপরদিকে অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির আদর্শ বা মূল্যবোধকে পুরোপুরি পরিহারের কথা বলা হয়।

নয়, আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গির আলোচনায় ন্যায়-অন্যায় ও ঔচিত্য-অনৌচিত্যের প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। একটি আদর্শ জীবনবোধের ধারণাকে এই দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। বিপরীতক্রমে অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে আদর্শ বা মূল্যবোধের অগ্রাধিকারকে অস্বীকার করা হয় এবং তথ্য-নিষ্ঠা ও বিজ্ঞানমনস্কতার উপর জোর দেওয়া হয়।

উপসংহার: আদর্শনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই দুই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে মৌলিক পার্থক্যের বিষয়টি অনস্বীকার্য। এতদসত্ত্বেও এই দুই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে ক্ষীণ একটি সংযোগের সূত্রও আছে। অভিজ্ঞতাও একেবারে মূল্যবোধবর্জিত হতে পারে না। কোন ব্যক্তিই সম্পূর্ণরূপে মূল্যবোধ-নিরপেক্ষ হতে পারে না। প্রত্যেকেরই চিন্তা-চেতনা আদর্শ বা মূল্যবোধের দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয়। অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়, সংকলন করা হয়, আবার বর্জনও করা হয়। এই প্রক্রিয়ার মধ্যেও মূল্যবোধের অস্তিত্বকে একেবারে অস্বীকার করা যায় না। ব্যক্তি মানুষের অগ্রাধিকারের ধারণা তার চিন্তাধারাকে প্রভাবান্বিত করে। আবার মূল্যবোধের ধারণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠে মানুষের অগ্রাধিকারের ধারণা। মানুষেরই নিরলস অনুসন্ধান সূত্রে বিবিধ বিজ্ঞানশাস্ত্রসমূহের সিদ্ধান্তমূলক সম্পদসমূহ সংগৃহীত হয়েছে। স্বভাবতই সামাজিক বা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানসমূহের বিবিধ সিদ্ধান্তের সঙ্গেও মানবিক মূল্যবোধের সম্পর্কের বিষয়টি একেবারে উপেক্ষা করা যায় না।


রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিশ্লেষণে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির সূত্রপাত

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রবক্তাদের মধ্যে গ্রাহাম ওয়ালাস পথিকৃৎ হিসাবে পরিচিত। তাঁর লেখা Human Nature in Politics গ্রন্থটি ১৯০৮ সালে প্রকাশিত হয়। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় বইটি আলোড়নের সৃষ্টি করে। ওয়ালাস নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রাষ্ট্রনীতি আলোচনার ধারা প্রবর্তন করেন। তিনি মনুষ্য প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রনীতি আলোচনার বিরোধী। তাঁর মতানুসারে মনুষ্য প্রকৃতি বা ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব রাষ্ট্রনীতির আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত হওয়া আবশ্যক। মনুষ্য প্রকৃতি অন্তর্ভুক্ত হলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিপূর্ণতা লাভ করবে।

আর্থার বেন্টলি-ও এক্ষেত্রে একটি বিশিষ্ট নাম। তাঁর লেখা The Process of Government ১৯০৮ সালেই প্রকাশিত হয়। বেন্টলি ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন ভাবে না দেখে গোষ্ঠীর অংশ হিসাবে বিচার-বিবেচনা করেছেন। রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষের বিভিন্ন কাজকর্মের উপর তিনি জোর দিয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গবেষণার উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন।

আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রবক্তাদের মধ্যে চার্লস মেরিয়াম-এর নামও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁর লেখা সাড়া জাগানো গ্রন্থটির নাম হল New Aspects of Politics। বইটি ১৯২৫ সালে প্রকাশিত হয়। মেরিয়ামের মতানুসারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভিত্তি ও দৃষ্টিভঙ্গি বিজ্ঞানসম্মত হওয়া আবশ্যক। এই উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের নতুন পন্থা-পদ্ধতি ও কলা-কৌশল অনুসরণ করতে হবে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনাকে সফল করার জন্য পর্যবেক্ষণ, পরিসংখ্যান ও তুলনামূলক আলোচনার কৌশল অবলম্বন করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি পাঠচক্র গড়ে ওঠে। এই পাঠচক্রের নেতৃত্বে ছিলেন মেরিয়াম। এই পাঠচক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন গাব্রিয়েল অ্যালমণ্ড, ডেভিড ট্রুম্যান, ভি. ও. কী, হার্বার্ট সাইমন প্রমুখ।

কিছু প্রবাসী জার্মান চিন্তাবিদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমাজতত্ত্বের পটভূমিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনার সূত্রপাত করেন। এই আলোচনা কালক্রমে আচরণবাদ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। এ প্রসঙ্গে ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber)-এর নাম উল্লেখযোগ্য। তা ছাড়া ১৯২৭ সালে প্রকাশিত ক্যাটলিন (J. E. Catlin) -এর The Science and Method in Politics, ১৯২৮ সালে প্রকাশিত রাইস (Stuart Rice) -এর Political Behaviour: The Heretofore Unwritten Law, ১৯৩০ সালে প্রকাশিত ল্যাসওয়েল (Harold D. Lasswell) -এর Psycho Pathology and Politics প্রভৃতি সাড়া জাগানো গ্রন্থগুলির অবদানও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনুশীলনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে (ক) আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, (খ) ব্যবস্থামূলক দৃষ্টিভঙ্গি, (গ) কাঠামো কার্যগত দৃষ্টিভঙ্গি, (ঘ) গোষ্ঠীগত দৃষ্টিভঙ্গি, (ঙ) যোগাযোগ তত্ত্ব এবং (চ) নতুন রাষ্ট্রনীতিক আর্থনীতিক দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য।