অথবা, বিদ্যাপতি রাধার রূপের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা সংক্ষেপে আলোচনা কর

উত্তর : বিদ্যাপতি নিঃসংশয়ে বয়ঃসন্ধির শ্রেষ্ঠ কবি। শ্রীরাধার দেহ ও মন উভয়ের পরিবর্তন এবং বিকাশের অপূর্ব চিত্র অঙ্কন করেছেন। কবি বলছেন যে, রাধার শৈশব ও যৌবনের সন্ধিক্ষণে দুই দলের (শৈশব ও যৌবন) দ্বন্দ্ব আরম্ভ হয়েছে। যৌবনের ফুলকুঁড়ি ফুটি ফুটি করছে। সদ্য বিকচ হৃদয় সহসা আপনার সৌরভ আপনি অনুভব করছে। রাধা যেন আপনার সম্বন্ধে আপনি সবেমাত্র সচেতন হয়ে উঠেছে। তাই লজ্জায়, ভয়ে, আনন্দে সংশয়ে আপনাকে গোপন করবে কি প্রকাশ করবে ভেবে পাচ্ছে না। রাধা কখনো কেশ বাঁধছে, কখনো এলিয়ে দিচ্ছে। কখনও অঙ্গ ঢেকে রাখছে, কখনো অনাবৃত করছে। রাধার স্থির নয়ন কিছুটা অস্থির। উরোজের (পয়োধরের) উদয়স্থলে সালিসা দেখা দিয়েছে। চরণ ছিল চঞ্চল, এখন তার চিত্ত চঞ্চল হল। মুদিত নয়নে যেন মদন জেগেছে।

এভাবে গোবিন্দদাস রাধার বয়ঃসন্ধি রূপের বর্ণনা দিয়ে পাঠক সমাজে রাধাকে উপযুক্ত গুণে বর্ণনা দিয়েছেন। সুতরাং প্রথম যৌবনের আগমনে রাধার দেহমনের চঞ্চলতা আমাদের মুগ্ধ করে।