উত্তর : প্রকৃতি চারদিকে সুসজ্জিত। গাছে গাছে কদম ফুল ফুটেছে। ডালগুলো ফুলের ভারে নুয়ে পড়েছে। কিন্তু বিরহিণী রাধার মনে শান্তি নেই, কারণ এখনো কৃষ্ণের দেখা সে পায়নি। কৃষ্ণবিরহে তার অন্তর ক্রমশ দগ্ধ হচ্ছে। আর কত সে বসনে বুক ঢেকে রাখবে। নির্দয় হৃদয় কৃষ্ণ তা বলে যায়নি। শৈশবের প্রেমকে নষ্ট করে দিল। প্রাণনাথ কৃষ্ণ এখনো ঘরে এল না। রাধা তাই সিঁথির সিঁদুর মুছে ফেলবে এবং বাহুর বলয় শঙ্খচূর করবে। রাধা এখানে বলছে যে, বিষাক্ত তীরের আঘাতে হরিণীর যেমন হয় তেমনি কৃষ্ণ বিহনে সারাক্ষণ তার প্রাণ পোড়ে। পুণ্যবর্তী সব গোয়ালিনী সুখে আছে। কোন দোষে বিধি রাধাকে এত দুঃখ দিল। অহর্নিশি রাধা কৃষ্ণের গুণের কথা স্মরণ করছে, বজ্র দিয়ে গঠিত বুক ফেটে যায় না। জ্যৈষ্ঠ মাস চলে গেল, আষাঢ় মাস এল, শ্যামল মেঘে দক্ষিণ প্রদেশ ছেয়ে গেল। তবু নিষ্ঠুর নন্দের নন্দনের দেখা রাধা পেল না।

বর্ষা ঋতুর সমাগমে একটা মহাশূন্যতা রাধার চিত্তকে ভারাক্রান্ত করে তুলেছে।