অথবা, “সই, কেবা শুনাইল শ্যাম নাম কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল গো আকুল কিরল মোর প্রাণ।” ব্যাখ্যা কর

অথবা, রাধার কৃষ্ণানুগ বিষয়ক পদটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

উত্তর: রাধাকৃষ্ণ প্রেমের ব্যাকুলতায়, ভাবগভীরতায়, আত্মার গভীরতম প্রদেশে অবতরণ করেছে। কৃষ্ণ তার ধ্যানজ্ঞান, রাধার কামনা বাসনা দিয়ে তিল তিল করে গঠিত হয়েছে এ কৃষ্ণমূর্তি। একটি নামের সংকেতেই কল্পনার সেই ধন যেন রাধার কাছে মূর্তি ধারণ করে। তাই কৃষ্ণ সম্বন্ধে বলতে গিয়ে রাধা তার সখীকে বলছে যে, শ্যাম নামের জন্য তার অন্তর যেন আজন্ম তৃষিত ছিল। তাই শ্রবণমাত্রই কৃষ্ণ নাম যেন তার কান দিয়ে একেবারে বুকের গভীরে প্রবেশ করেছে। আর তাতেই রাধার হৃদয়রাজ্য এলোমেলো হয়েছে। শ্যাম নামে যে মধুরতা আছে তা দেহমনকে জুড়িয়ে দিয়েছে। সেই শ্যাম নাম জপ করতে করতে রাধার সারা শরীর অবশ হয়ে গেছে। তার শরীর যেন কিছুতেই ছাড়তে চায় না কৃষ্ণকে।

পরিশেষে আমরা একথাই বলতে পারি যে, কৃষ্ণ নামের মাধুর্য রাধাকে এমনভাবে আকর্ষণে বেঁধে ফেলেছে যে ক্ষণিকের জন্যও সে এ নাম- ভুলতে পারছে না।