রম্য সাহিত্য ধারায় পরশুরামের অবদান মূল্যায়ন কর।
অথবা, সামাজিক অসংগতি মূল্যায়নে রাজশেখর বসুর হাস্য কৌতুক অতুলনীয় এ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য হাস্য রসাত্মক গল্পকার রাজশেখর বসু সাহিত্য ক্ষেত্রে পরশুরাম ছদ্মনামে গল্প কাহিনি লিখেছেন। তার জন্ম ১৮৮০ সালে এবং ১৯২২ সাল থেকেই তার গল্প লেখা শুরু। এরপর প্রতিদিনই তার গল্প প্রকাশ পেতে থাকে এবং ১৯২৪ সালে তার প্রথম রম্য গল্পগ্রন্থ গড্ডলিকা প্রকাশিত হয়। রাজশেখর বসুর গল্পে সমাজ জীবনের সমস্যাবলি যেমন- ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, ধর্ম প্রভৃতিতে যে অসংগতিগুলো বিদ্যমান তা ব্যঙ্গাত্মক সাহিত্যরূপ পেয়েছে। চরিত্রের আচার-ব্যবহার, সংলাপ, পরিবেশ প্রভৃতি কৌতুককর সন্নিবেশে তার গল্পগুলো সার্থক হয়ে উঠেছে। রুচিবান পাঠক সমাজের কাছে তার গল্পগুলো অত্যন্ত আকর্ষণীয়। হাস্য-কৌতুকই তার রচনার মূল বিষয়। তার নৈপুণ্য দেখে রবীন্দ্রনাথও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
হাস্যরসাত্মক সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ পরশুরাম বেশকিছু গ্রন্থ এবং রম্যগল্প রচনা করেছেন।
গল্পগ্রন্থ প্রধান গল্পসমূহ
১. গল্পকল্প পরশপাথর, মানুষ জাতির কথা, রাজভোগ ইত্যাদি।
২. নীলতারা ভবতোষ ঠাকুর, বরনারী বরণ।
৩. গড্ডলিকা, চিকিৎসা সংকট, শ্রী শ্রী সিদ্বেশ্বরী লিমিটেড, মহাবিদ্যা।
৪. ফজ্জ্বলী জাবালি, স্বয়ম্বরা, কচি-সংসদ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।
Leave a comment