রাজশাহী মেডিকেল কলেজ – হাসপাতাল এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৮ সালের পয়লা জুলাই থেকে। কিন্তু আমরা অনেকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ – হাসপাতাল সম্পর্কে সঠিকভাবে জানি না। তাই আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ – হাসপাতাল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ – হাসপাতাল সম্পর্কে জানতে আমার পোস্ট টি আপনাদের জন্য।
আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ – হাসপাতাল নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এ ছাড়াও মেডিকেল কলেজের ইতিহাস ও পরিচিতি, কলেজের অবস্থান, মেডিকেল কলেজের হোস্টেল, মেডিকেল কলেজের ভবন, রাজশাহী হাসপাতালে বর্তমান অবস্থা সবকিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ – হাসপাতাল
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ – হাসপাতাল
রাজশাহী মেডিকেল কলেজটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। রাজশাহী নগরীতে অবস্থিত এবং এটি একটি সরকারি কলেজ ও হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই মেডিকেল কলেজটি রাজশাহী চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় নামে ও পরিচিত। ১৯৫৮ সালের পয়লা জুলাই যাত্রা শুরু করে। এই কলেজে বর্তমানে ১৮টি অনুষদ রয়েছে।
এই অনুষদের মাধ্যমে স্নাতক পর্যায়ে রয়েছে এম বিবিএস ও পি ডি এস স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এম এস এম ফিল এম ডি এম পি এইচ। এছাড়া ও ডিপ্লোমা ডিগ্রী প্রদান করে থাকে। আসন সংখ্যা স্নাতক পর্যায়ে ২৩০ জন। এছাড়া ও সার্ক ভুক্ত দেশগুলোর ছাত্রছাত্রীদের জন্য আসন বরাদ্দ রয়েছে।
মেডিকেল কলেজের ইতিহাস ও পরিচিতি
১৯৫৮ সালের পয়লা জুলাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং এই কলেজ প্রতিষ্ঠার পেছনে মাদার বাক্সের অবদান অন্যতম। সর্বপ্রথম তিনি এই মেডিকেল কলেজের প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ টি বাংলাদেশের দ্বিতীয় মেডিকেল কলেজ। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ হয় এবং ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হয়। দেশ বিভাগের পূর্বে রাজশাহী জলপাইগুড়ির সাথে সম্পৃক্ত ছিল।
দেশ বিভাগের পর রাজশাহী জলপাইগুড়ি থেকে আলাদা হয়ে যায় যার কারণে মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল সব কিছুই জলপাই গুড়ির মধ্যে পড়ে যায় এবং রাজশাহীতে স্বাস্থ্য সব সেবা দেওয়ার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। ১৯৪৯ সালে রাজনৈতিক বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ স্বনামধন্য সমাজসেবী এবং শিক্ষানুরাগের শহরে প্রতিষ্ঠা করেন বেসরকারি একটি মেডিকেল স্কুল।
চার বছর মেয়াদী এল এম এফ ডিপ্লোমা কোর্স চালু করেন প্রথম স্টেট মেডিকেল ফ্যাকালিটি ঢাকা এর অধীনে।১৯৫৮ সালে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হিসাবে যাত্রা শুরু করে ৪৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। আর এই মেডিকেল কলেজের যাত্রা সেই থেকেই শুরু হয়। প্রথমে এর ক্লাস রুম হিসেবে ব্যবহৃত হয় সাহেব বাজারে কোন অপারেটিভ বিল্ডিং স্কুল এর শ্রেণীকক্ষ। এরপরে মেডিকেল স্কুলের বিভাগ গুলো স্থাপিত হয়েছিল বর্তমানে টিবি ক্লিনিক ভবনের নিচ তলায়।
এরপর একটি ভবন তৈরি করা হয়েছিল এনাটমি বিভাগের সব বা মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ এর জন্য এবং সেটি তৈরি করা হয়েছিল বরেন্দ্র জাদুঘর ভবন প্রাঙ্গণের পশ্চিম দিকে। ছেলেদের জন্য আলমগীর নামে একটি হোস্টেল ছিল সেটি ছিল রাজশাহী কলেজের বিপরীতে অবস্থিত। আর মেয়েদের জন্য সিভিল সার্জন অফিসের বিপরীতে একটি হোস্টেল ছিল যার নাম ছিল “কোছিরন ভিলা”।
পূর্ব পাকিস্তান সরকার ১৯৫৪ সালে এটিকে রূপান্তরিত করেন সরকারি মেডিকেল হিসেবে। এর পর এটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয়। ১৯৫৮ সালে আর সেই সময় থেকে পথচলা শুরু হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের। ঢাকা মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল কলেজ এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হল বাংলাদেশের দ্বিতীয় মেডিকেল কলেজ।
এনাটমি বিভাগের প্রধান ছিলেন প্রথম অধ্যাপক লেফটেনেন্ট কর্নেল গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এবং ফিজিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন অধ্যাপক ডাক্তার নায়েব আলী। মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয় মাত্র ৫ জন কর্মচারী নিয়ে। প্রথম ব্যাচে ৪১ জন ছাত্র ও দুই ২ জন ছাএী নিয়ে মোট ৪৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজটি প্রায় ৯০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল। ১৯৬৫ সালের এপ্রিল মাসে মেডিসিন বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে তখন মেডিকেল ছিল তিন তালা বিশিষ্ট এবং শয্যা সংখ্যা ৫৩০টি। বর্তমানে হাসপাতালটি ৬০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত পূর্বে যা কৃষি ফার্ম ছিল সেটিও হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এর মধ্যে সংক্রামক ব্যাধির হাসপাতাল ছিল ২০ টি শয্যা এবং ১৫০ টি শয্যা ছিল কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।
পরবর্তীতে সদর হাসপাতাল ডেন্টাল হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে এই মেডিকেল কলেজে এম বি বিএস বিডি এস সহ চালু আছে বিভিন্ন পোস্ট গ্রেজুয়েশন কোর্স। ১৯৯০ সালে চালু হয় বিডিএস কোর্স এবং১৯৯৮ সালে চালু হয় পোস্ট গ্রেজুয়েশন কোর্স।
বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী রাজশাহী মেডিকেল কলেজে শিক্ষা গ্রহণ করছে। দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, ইরান ও ইরাক প্রভৃতি। ১৯৯২ সালের পয়লা জুলাই জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিলর ও গ্রেট ব্রিটেন এই মেডিকেল কলেজকে স্বীকৃতি প্রদান করে। অনেক ডাক্তার এবং শিক্ষার্থী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অবস্থান
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ভবনটি রাজশাহী জেলার লক্ষীপুরে অবস্থিত। লক্ষীপুরকে রাজশাহীর প্রাণ কেন্দ্র বলা যেতে পারে। এই কলেজটি প্রায় ৩০ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। কলেজভবনে চারটি গ্যালারি আছে এবং সেখানে রয়েছে কম্পিউটার, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ২ মিউজিয়াম, দুই ২টি ব্যবচ্ছেদ কক্ষ, একটা পোস্ট মোটেম ঘর, ৯ টি ল্যাবরেটরি, একটি লাইব্রেরী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দুইটি কমন রুম
রয়েছে। ভবন তৈরি করা হয় যা মূল ভবনের পূর্বদিকে অবস্থিত।
১৯৯৫ সালে এই ভবনের পূর্ব দিকে ১৮ আসন বিশিষ্ট একটি সুন্দর ও তা আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয় যা বর্তমানে কায়সার রহমান চৌধুরী অডিটোরিয়াম নামে পরিচিত। ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের জন্য আরেকটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয় যা মূল ভবনের পূর্ব উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। এই ভবনে কার্যক্রম চালু হয় ২০১০ সাল থেকে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ লাইব্রেরীতে রয়েছে পর্যাপ্ত নতুন বই সহ প্রায় ১৯৫০ টি বই। এছাড়াও এ মেডিকেল কলেজের সাতটি দেশী-বিদেশি জার্নাল রাখার হয়েছে। এই কলেজের রয়েছে এডুকেশন ইউনিটে ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর সুবিধা। শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের গবেষণার জন্য একটি রিসার্চ সেল রয়েছে।বিএম ডি সি (B MDC) কর্তৃক স্বীকৃত “TAJ” নামক একটি মেডিকেল জার্নাল রয়েছে যা ছয় ৬ মাস অন্তর অন্তর প্রকাশ করা হয়। এই কলেজ চত্তরে রয়েছে একটি সেবিকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
মেডিকেল কলেজের হোস্টেল
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জন্য হোস্টেল। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুন্নবী ও শহীদ শাহ মইনুল আহসান চৌধুরী নামে ছাত্রদের জন্য দুইটি হোস্টেল রয়েছে এবং আয়েশা,পলিন ও ফাল্গুনী নামে ছাত্রীদের জন্য তিনটি হোস্টেল রয়েছে। ২০০৬ সালে আয়েশা ছাত্রী নিবাসী উদ্বোধন করা হয়।
জামিল আক্তার রতন নামে শিক্ষা নিবেশ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ছাত্রাবাস রয়েছে এবং ইন্টানী হোস্টেল নামে মেয়েদের জন্য আলাদা হোস্টেল ও স্টাফ কোয়ার্টার সহ জিমনেসিয়াম রয়েছে।এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রয়েছে একটি বাস। এই হাসপাতালের কিচেনের পাশে প্রথম ক্যান্টিন চালু হয় ১৯৬৩ সালে তা টিনের ছাউনিতে।
প্যাথলজি বিভাগের পাশে স্থানান্তর করা হয় ১৯৮২ সালে চারু মামা নামে একটি ক্যান্টিন পাকা একতলা ভবনে চালু করা হয়। এছাড়াও ২০০৬ সালে আরেকটি ক্যান্টিন নির্মিত হয় পিংকু ছাত্রাবাসের পাশে।
মেডিকেল কলেজের ভবন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের বেশ কিছু ভবন রয়েছে। যেমন-
-
- গ্রন্থাগার
-
- ১000 আসন বিশিষ্ট আধুনিক অডিটোরিয়াম
-
- ফার্মালজিক ভবন
-
- কলেজ ক্যান্টিন
-
- ক্যাফেটেরিয়া
-
- জিমনেসিয়াম
- নার্স ট্রেনিং সেন্টার
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবকাঠামো
১৯৬৫ সালের এপ্রিল মাসে চালু হয় ৫৩০ শয্যা ৩ তালা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি। ২০১২ সালে মেডিকেলের ফাঁকা জায়গাতে আরো একটি চারতালা ভবন নির্মাণ করা হয়। এছাড়া তিন তালা ভবনের বেড সংখ্যা ৩৫২ টি এবং অপারেশন থিয়েটার রয়েছে ছয় ৬টি যার ফলে ২০১২ সালে হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৬২টি।
২০১২ সালে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের উত্তর পাশে আরো একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং এই ভবনে দশ ১০ টি আইসিইউ চালু করা হয়। ২০১৪ সালে এই ভবনের বার্ন ইউনিটও চালু করা হয়। হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বর্তমানে ১২০০ টি। ১৯৬৯ সালে পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করা হয়। রাজশাহীতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবা চালু করার জন্য ১৯৮৪ সালে করোনারি ইউনিট চালু করা হয় যা গড়ে উঠেছে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায়।
১৯৯০ সালে কার্ডিওলজি হিসেবে পূর্ণতা লাভ করে এই কেয়ার ইউনিট। ১৯১৪ সালে আরও একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং এই ভবনের কার্ডিওলজি বিভাগ বর্ধিত করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে এই করোনারি বিভাগে নিয়মিত এনজিওগ্রাম ও পেসমেকার প্রতিস্থাপন করা হয়। ১৯৯১ সালে খোলা হয় নিউরো সার্জারি ও কিডনি বিভাগ ২০০৪ সাল থেকে এই কিডনি বিভাগে চালু করা হয় হেমোডায়ালাইসিস।
১৯৯৩ সালে চালু করা হয় নিউরো সার্জারি এবং ১৯৯৪ সালে চালু করা হয় নিউরো মেডিসিন ১৯৯৬ সালে ৬0 মেশিন চালু করা হয় ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য চালু করা হয়। নির্যাতিত মেয়েদের আইনিসেবা ও চিকিৎসা প্রদানের জন্য ২০০৫ সালে চালু করা হয় সিটি স্ক্যান ও এম আর আই করার জন্য রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগ।
২০০৭ সালে চালু করা হয় কোলোনস্কপি ও এন্ডোসকপি হাসপাতালে যুক্ত হবে নতুন করে আরো
১২ শয্যা এতে হাসপাতাল টিতে ২৪০০ শয্যা সংখ্যা হবে তাহলে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা
নিশ্চিত করা যাবে।
রাজশাহী হাসপাতালের বর্তমান অবস্থা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের বর্তমানে বেড সংখ্যা ১২০০, ওয়াড সংখ্যা ৫৭ টি,নার্স সংখ্যা ১২১১ জন এবং ওটির সংখ্যা ১২ টি। এছাড়াও হাসপাতালের কিছু কাজ চলমান ও কিছু কাজ শেষ পর্যায়ে এর মধ্যে রয়েছে চল্লিশ ৪০ শয্যা বিশিষ্ট আই সি ইউ, ইমার্জেন্সি ও ক্যাজুয়ালিটির ক্ষমতা বৃদ্ধি, গাইনি আউটডোর, মর্ডান মরচ্যুয়ারি, দর্শনার্থীদের জন্য গোসলখানার সাথে চার ৪ টি টয়লেট এর মধ্যে দুইটি
পুরুষদের জন্য এবং দুইটি মহিলাদের জন্য, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি।
কিডনি, ক্যান্সার, রেডিওলজি, বিদ্যুৎ সাব স্টেশন, তিনতলা বিশিষ্ট গাইনি ওটি এবং পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য অ্যাপ্রন ড্রেন করা হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালে পরীক্ষা করা হয় ৯০ শতাংশ রোগের। এইসব কার্যক্রম শেষ হলে ব্যাপক উন্নয়ন হবে এবং সেবার মান নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশের ১৭ টি সরকারি মেডিকেলের মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল সেবার দিক থেকে সেরা অবস্থানে উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক মূল্যায়ন সূচকে বলা হয় হাসপাতালে মূল্যায়ন স্কোরের মধ্যে রাজশাহীর অবস্থান ৬৩. ৭৫ স্কোর নিয়ে প্রথম অবস্থান, সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৬৩.৩৮ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান এবং তৃতীয় অবস্থানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এর স্কোর ৬৩।
শেষ কথা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বাংলাদেশের মধ্যে এখন শ্রেষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। ১৯৫৮ সালের পয়লা জুলাই এই কলেজ যাত্রা শুরু করে এবং মাত্র ৪৩ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে এর অবস্থান ছিল। এখন হাজার হাজার ডাক্তার এই মেডিকেল কলেজ থেকে বের হয়ে মানুষের সেবা নিশ্চিত করছে।
Leave a comment