রাজশাহী কলেজ রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি স্বনামধন্য কলেজ। রাজশাহী কলেজ ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন হর গোবিন্দ সেন। এর রাজশাহী কলেজে বর্তমানে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।
এই রাজশাহী কলেজ বাংলাদেশের সেরা পরিষ্কার কলেজ হিসেবে পরিচিত। রাজশাহী কলেজ রাজশাহীর পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। নিচে রাজশাহী কলেজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
পোস্ট সূচিপত্রঃ রাজশাহী কলেজ
রাজশাহী কলেজ
রাজশাহী কলেজ বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত একটি সনামধন্য কলেজ। এই কলেজটি ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করতে দুবল হাটির রাজা হরোলাল রায় বাহাদুর আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করতে হরলাল রায় বাহাদুর ১৮৭৩ সালের ২১ শে জানুয়ারি জমি প্রদান করেছিলেন।
তিনি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য যে জমি প্রদান করে করেছিলেন তা থেকে তিনি বছরে পাঁচ ৫ হাজার রুপি আয়ো করতেন।কলেজটি প্রতিষ্ঠার সময় দেশ বিভাগ হয়েছিল না তাই তখন রুপির হিসাব ধরা হতো। ঢাকা কলেজ ও চট্টগ্রাম কলেজের পর রাজশাহী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় তাই রাজশাহী কলেজের অবস্থান তৃতীয় স্থান। রাজশাহী কলেজ প্রাচীনতম কলেজ তাই এই কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ৬৮৫ কলেজের মধ্যে বাংলাদেশের সেরা কলেজ।
এই কলেজ থেকে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মাস্টার ডিগ্রি প্রদান করা শুরু হয়। এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর আসাম, বিহার, পূর্ণিয়া, পূর্ববঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের অঞ্চলের অধিবাসীদের উচ্চশিক্ষা লাভের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। রাজশাহী কলেজের সাথেই অবস্থিত রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুল। এই স্কুল আগে রাজশাহী জেলা স্কুল নামে পরিচিত ছিল স্কুল। এই কলেজটি লাল রঙে রঞ্জিত একটি প্রাচীনতম সুনামধন্য কলেজ।
ইতিহাসও পটভূমি
রাজশাহী নগরীকে বলা হয় শিক্ষা নগরী কারণ রাজশাহী নগরীতে রয়েছে অসংখ্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক স্তরের ছেলেদের জন্য রয়েছে চার ৪ টি সরকারি বিদ্যালয় এবং মেয়েদের জন্য রয়েছে তৃতীয় শ্রেণী থেকে একটি বিদ্যালয়, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে রয়েছে হেলেনা বাদ নামে একটি স্কুল।তবে ১৮২৮ সালে বাউলিয়া ইংলিশ স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাজশাহী শহরকে শিক্ষা নগরী হিসেবে গোরাপত্তন করা হয়।
তখন থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি তদানীতন্ত পূর্ব পাকিস্তানের বা বাংলার পথ প্রদর্শক হয়ে আছে। আধুনিক শিক্ষা হিসেবে এই কলেজটি মূলত রাজশাহীতে কর্মরত ইংরেজ কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় বাউলিয়া ইংলিশ স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত এই স্কুলটি ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৮৩৬ সালে প্রাদেশিক সরকারের স্থানীয়করণের মাধ্যমে স্কুলটি জেলা স্কুল নামে পরিচিত লাভ করে। বর্তমানে এর নাম রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল। এই স্কুলের ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রয়োজন পড়ে একটি কলেজের। ১৯৭৩ সালে রাজশাহী অঞ্চলের অধিকাংশ লোকের আবেদন ও প্রচেষ্টায় এই জেলা স্কুলকে কলেজে মর্যাদা প্রদান করা হয়। ১৮৭৩ সালের ১ লা এপ্রিল পাঁচ ৫ জন হিন্দু ও এক ১ জন মুসলিম ছাত্রসহ মোট ছয় ৬ জন ছাত্র নিয়ে রাজশাহী কলেজের প্রথম ক্লাস শুরু হয়।
শুরুর দিকে এ কলেজের শুধু ছাত্ররাই ভর্তি হওয়ার নিয়ম ছিল। পরবর্তীতে ১৯ ৩০ সালের দিকে এর ছাত্র সংখ্যা ছিল প্রায় এক হাজার। ১৯৩১ সাল থেকে ছাত্রী ভর্তি শুরু হয় পরবর্তীতে অর্থাৎ১৯৪১ সালের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮৪০ জনে। এর মধ্যে ছাত্রী ছিল মাত্র ৩00 জন এবং ছাত্র ছিল ১৫৪০ জন। এই কলেজটির পরিসর বৃদ্ধি পায় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর।,
এবং ১৯৯০ সালের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৪৭৩২ জনে যাদের মধ্যে ছাত্রী ছিল ১৩৫২ জন। এবং ২০১০ সালে এসে এর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২৫ হাজার জনে। বর্তমানে এখানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার জন। কলেজটি প্রতিষ্ঠার তিন ৩ বছর পর অর্থাৎ ১৮৭৮ সালে গ্রেট মর্যাদা লাভ করে এবং ১৮৭৮ সালেই এর নামকরণ করা হয় রাজশাহী কলেজ হিসেবে। রাজশাহী কলেজ উত্তরবঙ্গের প্রথম কলেজ হয় কলিকাতা কলেজের অধিভুক্ত হয় এবং ১৮১৮ সালেই বি এ কোর্স চালু করা হয়।
পরবর্তী সময়ে স্নাতকোত্তর চালু করা হয় ১৮৮১ সালে এবং বি এল কোর্স চালু করা হয় ১৮৮৩ সালে। পরবর্তীতে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও ১৯০৯ সালে মাস্টার্স কোর্স ও বি এল কোর্সের অধিভুক্ত বাতিল হয়। এরপর অধিভুক্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এখন রাজশাহী কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স ও সম্মান ডিগ্রী প্রদান করা হয়। রাজশাহী কলেজ তখন থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা চালু ছিল।
তবে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ২০১০ সাল থেকে আবারো উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। মাত্র ছয় ৬ জন ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এই কলেজটি এখন পরিণত হয়েছে দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ হিসেবে।
ভবন নির্মাণ
রাজশাহী কলেজের প্রথম ভবন হল বর্তমানে প্রশাসনিক ভবন। ঐতিহ্যের এই ভবনটির চূড়াই এক সময় ছিল প্যালাস অ্যাথিমি যা এক সময় ছিল রোমানো পুরানো জ্ঞান ও চারু শিল্পের ভাস্কর্য। এরপরে হেমন্ত কুমারী ছাত্রাবাসেও একই আদলে দুটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয় ।মুক্তিযুদ্ধের সময়ই দখলদার পাকবাহিনীর দোসরদের চাপে স্থাপিত চারটি ভাস্কর্য অপসারিত করা হয়। আর এই স্থাপত্য অপসারণ করতে ব্যয় হয়েছিল ৬০ হাজার ৭০৩ টাকা।
শরৎ সুন্দরী দেবী যিনি পুঠিয়ার মহারানী ছিলেন তিনিও এই সুন্দর স্থাপত্য নির্মাণে ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। মহারানী এই কলেজের রোলিং ও সীমানার প্রাচীর নির্মাণে ও অর্থ প্রদান করেছিলেন। তবে ১৯৩৩ থেকে ৩৪ শিক্ষাবর্ষের পোস্টপেইক্টাসে ৬১ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন ভাবে ক্লাস শুরু হলে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর ক্লাস সমূহ চালুর বিষয়ে অনুমোদিত হয় বলে অনেকে ধারণা করেন। আপনি এই কলেজের প্রশাসন ভবনের সামনে লোকজ বাংলা দেখতে পাবেন। রাজশাহীর চোখ টেরাকোটা। আরেকটি টেরাকোটা আপনি দেখতে পাবেন রক্তে ভেজা বর্ণমালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দেশের প্রথম শহীদ মিনার।
বর্তমানে এই কলেজ ক্যাম্পাসে আপনি দেখতে পাবেন জিনিয়া,ডালিয়া, গাঁদা, ক্যালেন্ডুলার সহ অনেক ধরনের ফুল ।ক্যাম্পাসের ছোট খালে দেখতে পাবেন পদ্ম ফুলসহ মাছ। মহারানী হেমন্ত কুমারী ১৯৫ সালে রাজশাহী কলেজের অধীনস্থ সাংস্কৃতিক শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯১০ সালে কুমার শরবিন্দু রায়ের অর্থয়ান করলে রাজা কৃষ্ণানন্দ অহল নামে ক লেজের প্রাক্তন মিলনায়তন নির্মিত হয়। এরপর ১৯১৫ সালে ৫৭১৪৫ টাকা ব্যয় ফিজিক্স বিল্ডিং নির্মিত হয়। অধ্যাপক হর গোবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজশাহী অ্যাসোসিরিয়েশনের উদ্যোগে ৩৫৩৮৩৬ টাকা ব্যায়ে পাঁচটি এবং ১৯২২ সালে ৭৮ ৩০ টাকা ব্যয়ে একটি সহ পরিশোধ ১৯২৩ সালের মধ্যে মোট ৬ টি হোস্টেল নির্মিত হয় ।এই ছয় ৬ টি হোস্টেলে আবাসিক সুবিধা ছিল মোট ৯৬০ জন ছাত্রছাত্রীর। ১৯২৬ সালের কলাভবন নির্মিত হয় এবং এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮৬৮০৯ টাকা।
১৯২৭ সালে কলেজের দক্ষিণ প্রান্তে অধ্যক্ষের জন্য একটি বাসভবন নির্মাণ করা হয়। কলেজটি প্রায় ৩৫ একর জমির উপর নির্মিত হয়েছে। কলেজ প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পর অর্থাৎ ১৮৮৪ সালের রাজশাহীর কলেজ প্রাঙ্গনে রাজশাহী মাদ্রাসার জন্য একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এরপর ১৯৩০ সালে মাদ্রাসাটি অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিল্ডিঙ রাজশাহী কলেজের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এরপর ১৯৩০ সালে মাদ্রাসাটি অনত্রে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিল্ডিং রাজশাহী কলেজে নিকট হস্তান্তর করা হয়। ১৯০৯ সালে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ফুলার হোস্টেল নামে আরেকটি বিল্ডিং হস্তান্তর করা হয়। ১৯৩৬ সালের রাজশাহী কলেজের অধীনে নাটোরের দীঘা প্রতিয়ার কুমার বসন্তকুমার রায়ের অর্থ স্থাপিত হয় বসন্তকুমার এগ্রিকালচার ইন্সটিটিউট।
১৯৫২ সালে ইনস্টিটিউট টি বন্ধ হয়ে গেলে পরে একে ছাত্রাবাসে রূপান্তর করা হয়। ১৮৮১ সালে কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং ১৮৮৩ সালে বি এল কোর্সের অনুমোদন পায়। ১৯০৯ সালের দিকে এগুলো আবার প্রত্যাহার করে যদিও কলেজটি অনুমোদনের কয়েক বছরের মধ্যে ৬০ জন বিএলও ৮ জন এ মে ডিগ্রি অর্জন করেছিল।
দেশ বিভাগের পর কলেজটি পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হয়। ১৯৫২ সালে কমার্স ১৯৫৪ সালে বি এল সালে অনার্স কোর্স চালু হয় এরপর ১৯৯৪ সালে মাস্টার্স কোর্স চালু হয় ১৯৯৬ সালে বন্ধ করা হয় এইচএসসি কোর্স।
কলেজের প্রথম অধ্যক্ষের নাম
রাজশাহী জেলায স্কুল বর্তমানেকলিজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরো গোবিন্দ সেন রাজশাহী কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে ১৮৭৩ সাল থেকে ১৮৭৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৭৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় এফ এ পরীক্ষা এবং এই পরীক্ষায় দুই ২ জন ছাত্র তাদের কৃতিত্ব লাভ করে কলেজটিকে সরকার বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল ঠিক কিন্তু রাজশাহীর অ্যাসোসিয়েশনের প্রচেষ্টার কারণে তা আর বন্ধ করতে পারেনি।
কলেজের বৃত্তি
এই কলেজে মেধাবী, গরিব ও কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য বৃত্তি ও পুরস্কার রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রাজশাহী কলেজ বৃত্তি, রানী মনমোহিনী বৃত্তি ,কেসি সরকার বৃত্তি, মোহিনী মোহন প্রাইজ ফান্ড, মিয়োমেমোরিয়াল বৃত্তি, মহসিন স্ট্রাইপেড অন্যতম নির্বাচনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য প্রদান করা হয় আবু তালেব অ্যাওয়ার্ড ফর মেরিটোরিয়াস স্টুডেন্টস রাজশাহী কলেজের আওয়ার্ড ফর মেরিটোরিয়াস স্টুডেন্টস প্রদান করা হয় অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য।
পঠিতব্য বিষয়
বর্তমানে কলেজে এইচএসসি কোর্স চালু রয়েছে এবং ১৯ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে এবং মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে ২১ টি বিষয়ের উপর। এই কলেজে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে এই কথাগারে বইয়ের সংখ্যা ৬৯৪৩৯। এই গ্রন্থাগারের রয়েছে অনেক পুরনো বই, পুথি -পাণ্ডুলিপি বিশ্বকোষ -গেজেট ও পত্র-পত্রিকা। এই গ্রন্থাগারের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে একটি সুবৃষ্টিত অডিটোরিয়াম।
এই অডিটোরিয়াম কলেজ কতৃক আয়োজিত সকল অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
অন্যান্য
এই কলেজের শিক্ষকর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ।ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য একটি বিশাল মাঠ। ব্যায়ামের জন্য জিমনেশিয়াম, নামাজের জন্য একটি মসজিদ, একটি পুকুর যাতে পদ্মফুলে সৌন্দর্যমন্ডিত করে আছে। একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবহনের জন্য কয়েকটি বাস। এছাড়াও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে একটি টিচার্স ক্লাব ও বিদেশী ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
রাজশাহী কলেজে বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেট -হকি -ফুটবল -লন টেনিস প্রভৃতি খেলাধুলা করানো হয়। গ্রন্থাগারের পূর্ব পাশে রয়েছে শহীদ মিনার।
অবদান
রাজশাহী কলেজটির রাজশাহীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রাজশাহী শহরের সোনা দিঘি মোড়ের সাথে রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুল এবং এর সাথে রাজশাহী কলেজ অবস্থিত। কলেজটিরপাশেই পদ্মা পাড়ে অবস্থিত বলে এর সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজশাহী কলেজ প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বৃত্ত শালীদের এদের মধ্যে যারা সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য তারা হলেন-
দুবল আহাঁটির জমিদার হরনাথ রায় চৌধুরী, পঠিয়ার রানী শরৎ সুন্দরী দেবী, রাজা প্রমোদ রায় ও বসন্তরায়, দীঘা প্রতিয়ার রাজা প্রমথ নাথ রায়, দেবী হেমন্ত কুমারী, খান বাহাদুর, এমাদ উদ্দিন আহমেদ, বলিহারীর কুমার সরবিন্দু রায়, হাজি লাল মোঃ ইমিয়ায়ি শাহাদাত এর অনুবাদক মির্জা মোহাম্মদ ইউসুফ আলী খান বাহাদুর, এরশাদ আলী খান চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়াও রাজশাহী কলেজের প্রায় ২০ জন ছাত্রের থাকা খাওয়ার জন্য নাটোরের খান চৌধুরী জমিদার পরিবার রাজশাহীর হেতমখা এলাকায় তাদের বাড়ি দিয়েছিলেন।
রাজশাহী কলেজ কত একর
রাজশাহী কলেজটি ৩৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এই কলেজটি ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজশাহী কলেজ মাত্র পাঁচ জন হিন্দু এবং একজন মুসলিম ছাত্র নিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে এর ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।
রাজশাহী কলেজ কোন থানায়
আমাদের মনে প্রশ্ন জাগের রাজশাহী কলেজ কোন থানায় অবস্থিত আর আমরা এই বিষয়টি জানার জন্য অনেক সময় গুগলে সার্চ করে থাকি এবং পরিচিত সৌন্দর জিজ্ঞাসা করে থাকে তাই যারা জানতে চান রাজশাহী কলেজ কোন থানায় অবস্থিত আমি তাদের জন্য বলছি রাজশাহি কলেজ বোয়ালিয়া থানায় অবস্থিত।
রাজশাহী কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ
রাজশাহী কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষের নাম আব্দুল খালেক তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী কলেজ পরপর তিনবার দেশের সেরা কলেজ হিসেবে কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
শেষ কথা
রাজশাহী শহরের পান কেন্দ্রে অবস্থিত রাজশাহী কলেজ। আমি এই কলেজের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমি আশা করি এই তথ্য আপনাদের অনেক উপকারে আসবে আমি এই কলেজের একজন ছাত্রী হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি।
Leave a comment