খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম থেকে চতুর্থ শতকের মধ্যে গ্রিসে বেশ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল যেসব রাষ্ট্রে নাগরিকরা প্রত্যক্ষভাবে রাষ্ট্রের কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে পারত। এসব ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলিকে বাংলায় ‘নগর-রাষ্ট্র’ এবং গ্রিক ভাষায় পলিস’ বলা হয় প্রাচীন গ্রিসের এরূপ নগর-রাষ্ট্রের উদাহরণ হল এথেন্স ও স্পার্টা।


পলিসের দুটি বৈশিষ্ট্য হল- [1] গ্রিক পলিস বা নগর-রাষ্ট্রগুলি আকারে এবং আয়তনে আধুনিক রাষ্ট্রের তুলনায় খুবই ক্ষুদ্র হত। [2] পলিসে জনসংখ্যা খুবই কম হত।


প্রাচীন গ্রিসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পলিস ছিল এথেন্স, স্পার্টা, করিন্থ, থিবস, ইরিথ্রিয়া, আরগস, সিরাকিউজ প্রভৃতি।


নগর-রাষ্ট্রের ধারণা প্রাচীন গ্রিসে গড়ে উঠেছিল।


গ্রিক পলিসগুলির আয়তন ছিল রাষ্ট্রের তুলনায় খুব ছােটো। করিল্থ নামে একটি পলিসের আয়তন ছিল মাত্র ৩৩০ বর্গমাইল।


গ্রিসের পলিসগুলির আয়তন খুব ছােটো হওয়ায় জনসংখ্যা খুব বেশি ছিল না। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে অ্যাটিকা নামের পলিসটির জনসংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ছিল। করিন্থর জনসংখ্যা ৯০ হাজার।


এথেন্স ও স্পার্টার সমিতির নাম যথাক্রমে একলেজিয়া ও অ্যাপেলা।

ইতিহাস চেতনা (History-11 Short Q&A)

রাষ্ট্রের প্রকৃতি এবং এর উপাদান (History-11 Short Q&A)

অর্থনীতির বিভিন্ন দিক (History-11 Short Q&A)

সামাজিক ঘটনাস্রোত (History-11 Short Q&A)

দিগন্তের প্রসার (History-11 Short Q&A)


এথেন্স ও স্পার্টার পরিষদের নাম ছিল যথাক্রমে অ্যারিওপাগাসের কাউন্সিল ও গেরুসিয়া।


অধিকাংশ পলিসের কেন্দ্রস্থলে একটি উঁচু স্থানে বা পাহাড়ি অঞ্চলে পলিসের শাসনকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হত। এগুলিকে অ্যাক্রোপলিস” বলা হত।


অধিকাংশ পলিসে জনসাধারণের জন্য একটি বাজার প্রতিষ্ঠিত হত যা ‘অ্যাগােরা নামে পরিচিত ছিল।


পলিসের নগর-প্রাচীরের বাইরে অবস্থিত দরিদ্রদের বসতি অঞ্চল ও পশুচারণভূমিযুক্ত গ্রামীণ অঞ্চলকে চোরা বলা হত।


পলিসগুলির কয়েকজন প্রধান দেবদেবী ছিলেন জিউস, পসাইডন, হ্যাডেস, অ্যাপােলাে, আরটিমিস, এথেনা, হারমিস, ডিমিটার, হেরা প্রমুখ।


গ্রিক পলিসে বসবাসকারী জনগণ মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। যথা—নাগরিক ও অনাগরিক। জন্মসূত্রে বসবাসকারীরা ছিল নাগরিক। আর অনাগরিকরা ছিল বিদেশী ক্রিতদাস ও মহিলা।


প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল, প্লেটো প্রমুখ পলিসের ক্ষুদ্রত্বকে সমর্থন করেছেন।


প্রাচীন গ্রিক পলিসন্ুলিতে তিন ধরনের শাসন কাঠামাে চালু ছিল। যথা-গণতান্ত্রিক, অভিজাততান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক প্রভৃতি।


পলিসগুলির রাজনৈতিক সংগঠনের প্রধান তিনটি অংশ ছিল। যথা- [1] সমিতি, [2] পরিষদ ও [3] ম্যাজিস্ট্রেট।


খ্রিস্টপূর্ব ৭৭৬ অব্দে অলিম্পিক খেলা প্রথম শুরু হয়েছিল।


গ্রিক পলিসপুলি আর্থিক দূর্বলতার কারণে পতনের দিকে এগিয়ে যায়। পলিসগুলির সামরিক শক্তি, বিশষত নৌ শক্তির দূর্বলতা ছিল পতনের অন্যতম প্রধান কারণ। সর্বোপরি পলিসের বাসিন্দাদের ব্যক্তিস্বার্থ বৃদ্ধি পেলেও পলিসপুলির মধ্যে বাণিজ্যিক বিরােধ দেখা দিলে পলিসগুলির পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।


‘সপ্তসিন্ধু অঞ্চল বলতে উত্তর-পশ্চিম ভারতের সাতটি নদী অববাহিকাকে বােঝায়। এই নদীগুলি হল- [1] শতদ্রু, [2] বিপাশা, [3] বিতস্তা, [4] চন্দ্রভাগা, [5] ইরাবতী, [6] সিন্ধু ও [7] সরস্বতী।


রামায়ণে উল্লিখিত ২৭টি প্রাচীন জনপদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল—অল্গু, পুন্ড্র, চোল, পাণ্ড্য, কেরল, উৎকল ইত্যাদি। মহাভারতে উল্লিখিত ২৫টি জনপদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল—অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, মগধ, কাশী, কোশল ইত্যাদি। পানিনির অষ্টাধ্যয়ীতে উল্লিখিত ১৫টি জনপদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল—গান্ধারী, মগধ, কলিঙ্গ, কুরু, কম্বােজ ইত্যাদি।


প্রাচীন ভারতে বৈদিক সভ্যতার সময় লৌহ যুগে (১২০০ খ্রিস্টাপূর্বাব্দ) ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্র ও রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হতে থাকে।


বৈদিক যুগে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলিকে ‘জনপদ বলা হয়।


বৈদিক যুগে আর্য সমাজে কয়েকটি পরিবার নিয়ে একটি গােত্র, কয়েকটি গােত্র নিয়ে একটি গ্রাম, কয়েকটি গ্রাম নিয়ে একটি বিশ ও কয়েকটি বিশ নিয়ে একটি জন গড়ে ওঠে।


সংস্কৃত জন শব্দের অর্থ হল ‘উপজাতি এবং পদ শব্দের অর্থ হল পা|সুতরাং, এই অর্থ অনুসারে, ‘জনপদ বলতে সেইসব স্থানকে বােঝায় যেসব স্থানে কোনাে নির্দিষ্ট উপজাতি বা জনগােষ্ঠী বা জন তার ‘পদ’ বা পা রেখেছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনাে উপজাতিগােষ্ঠীর নির্দিষ্ট কোনাে বসতিই হল ‘জনপদ।


জনপদগুলিতে বিভিন্ন আর্য পরিবারের বসবাস ছিল। ক্রীতদাস, শুদ্রদের পাশাপাশি বণিকশ্রেণিও জনপদে বাস করত। বৈদিক সমাজে আর্য উপজাতিগােষ্ঠীর প্রধান রাজা নামে পরিচিত ছিলেন।


খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক নাগাদ দুই বা ততোধিক জনপদ সংযুক্ত হয়ে অপেক্ষাকৃত বৃহদায়তন রাজ্যের উত্থান ঘটে। জনপদ অপেক্ষা বৃহৎ এই রাজ্যগুলি ‘মহাজনপদ’ নামে পরিচিত।


বৌদ্ধগ্রন্থ অঙ্গুত্তরনিকায়, জৈনগ্রন্থ ভগবতীসূত্র, হিন্দু পুরাণ প্রভৃতি থেকে জানা যায় যে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে উত্তর ভারতে ষােলােটি (এদের মধ্যে একটি দক্ষিণ ভারতে)। মহাজনপদের অস্তিত্ব ছিল। এগুলি একত্রে ষােড়শ মহাজনপদ নামে পরিচিত।


যােড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে ১৪টি মহাজনপদই ছিল রাজতান্ত্রিক। বৃজি ও মল্ল নামে দুটি মহাজনপদ ছিল অরাজতান্ত্রিক অর্থাৎ প্রজাতান্ত্রিক।


বৌদ্ধগ্রন্থ অঙ্গুত্তরনিকায়, জৈনগ্রন্থ ভগবতীসূত্র, হিন্দু পুরাণ প্রভৃতি থেকে ষােড়শ মহাজনপদের কথা জানা যায়।


চারটি শ্রেষ্ঠ মহাজনপদ ছিল অবন্তী, বৎস, কোশল ও মগধ।


কাশী ও কোশলের রাজধানী ছিল যথাক্রমে বারাণসী ও শ্রাবস্তী।


[1] মহাজনপদগুলির মধ্যে অবিরাম সংঘর্ষ ও লড়াই লেগেই থাকত। [2] ষােলােটি মহাজনপদের মধ্যে দুটি ছিল প্রজাতান্ত্রিক (বৃজি ও মল্ল), বাকিগুলি ছিল রাজতান্ত্রিক প্রকৃতির। [3] একটিমাত্র মহাজনপদ ছিল দক্ষিণ ভারতে (অস্মক), বাকিগুলি ছিল উত্তর ভারতে অবস্থিত।


কোনাে শক্তিশালী রাজতান্ত্রিক বা অভিজাততান্ত্রিক শাসকগােষ্ঠীর অধীনস্থ সুবৃহৎ রাষ্ট্রকে ‘সাম্রাজ্য বলা যায়।


সুপ্রাচীন কয়েকটি সাম্রাজ্য হল—আক্কাদীয় সাম্রাজ্য, অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য, মিশরীয় সাম্রাজ্য, আকিমেনীয় সাম্রাজ্য প্রভৃতি। সারাগনের নেতৃত্বে আক্কাদীয় ও তৃতীয় থুটমােসের নেতৃত্বে মিশরীয় সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল। পার্সিয়া অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আকিমেনীয় সাম্রাজ্য।


পৃথিবীর প্রাচীনতম সাম্রাজ্য হল আক্কাদীয় সাম্রাজ্য। সারাগন মেসােপটেমিয়ার ইউফ্রেটিস-টাইগ্রিস নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে আক্কাদে বৃহৎ এই সাম্রাজ্য গড়ে তােলেন।


খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের পরবর্তীকালে ভারতে মগধ এবং ইউরােপে ম্যাসিডন নামে বৃহৎ সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে।


ভারতে প্রথম গড়ে ওঠা সাম্রাজ্য হল খ্রিস্টপূর্ব যুগের মৌর্য সাম্রাজ্য।


প্রাচীন ভারতের দুটি উল্লেখযােগ্য সাম্রাজ্যের নাম হল মৌর্য সাম্রাজ্য ও গুপ্ত সাম্রাজ্য।


কয়েকটি সুবৃহৎ সাম্রাজ্য ছিল—মগধ, ম্যাসিডনীয়, রােমান ইত্যাদি সাম্রাজ্য। ভারতে ষােড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে মগধ সাম্রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ইউরোপে দ্বিতীয় ফিলিপ ও তৃতীয় আলেকজান্ডারের নেতৃত্বে ম্যাসিডনীয় সাম্রাজ্যের উদ্ভব ঘটে।পরবর্তীকালে এই ম্যাসিডনীয় সাম্রাজ্যের ধ্বংসস্তুপের ওপর রােমান সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে।


সাম্রাজ্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল—রাষ্ট্র কর্তৃক সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করা। সাম্রাজ্যের শাসন ক্ষমতা পরিচালিত হয় কোনাে রাজতন্ত্র বা অভিজাততন্ত্রের দ্বারা। সাম্রাজ্য বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। যেমন—বিভিন্ন গােষ্ঠী, জাতি, সংস্কৃতি, ধর্ম প্রভৃতি।


বিভিন্ন সময়ে মগধের রাজধানীগুলি ছিল সিরিব্রজ, রাজগৃহ ও পাটলিপুত্র নামক স্থানে।


মগধের মৌর্যবংশের শাসক চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক রাজা বলা হয়।


মগধের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চারটি রাজবংশের নাম হল হর্ষঙ্ক বংশ, শিশুনাগ বংশ, নন্দবংশ ও মৌর্য বংশ।


বাসসাকর, কৌটিল্য ও রাধাগুপ্ত ছিলেন যথাক্রমে অজাতশত্রু, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও অশােকের মন্ত্রী।


অজাতশত্ন যুদ্ধে মহাশিলাকণ্টক’ ও ‘রথমুষল’ নামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ব্যবহার করতেন।


৩২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কর্তৃক মগধে মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।


খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক নাগাদ ষােড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে মগধের উত্থান ঘটে। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য আনুমানিক ৩২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নন্দ বংশের শেষ শাসক ধননন্দকে পরাজিত করলে মগধে মৌর্য বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।


জিশুখ্রিস্টের জন্মের অন্তত ৮০০ বছর পূর্বে ইউরােপের গ্রিসে ম্যাসিডনীয়ার উত্থান ঘটে। তৃতীয় অ্যামিনটাস সাম্রাজ্যকে সর্বপ্রথম সুসংহত রূপ দান করলেও পরবর্তীকালে দ্বিতীয় ফিলিপ ও তৃতীয় আলেকজান্ডারের সাম্রাজ্যবাদী নীতির দ্বারা ম্যাসিডনীয়া একটি বৃহৎ সাম্রাজ্যে। পরিণত হয়।


মৌর্য বংশের বিভিন্ন স্তুপ, গুহা স্থাপত্য ও স্তম্ভগুলি ছিল শিল্পকলার উৎকৃষ্ট নিদর্শন। এযুগে সাহিত্য, ছন্দ, ব্যাকরণ, চিকিৎসাশাস্ত্র প্রভৃতি বিষয়ের যথেষ্ট চর্চা হত। মৌর্য সংস্কৃতি মূলত ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছিল।


ম্যাসিডনীয় রাজ্যে শিল্পের কাজে বিশেষ গতি এসেছিল। কাব্য ছাড়াও ইতিহাস, জীবনকাহিনি, কল্পকাহিনি প্রভৃতি বিষয়ে প্রচুর গদ্যসাহিত্যও এযুগে রচিত হয়েছিল। এযুগে বহু বিলাসবহূল ও সুবিশাল প্রাসাদ, অট্টালিকা, সর্বজনীন ভবন, স্মৃতিস্তম্ভ প্রভৃতি নির্মিত হয়েছিল।


[1] মৌর্য ও ম্যাসিডনীয় উভয় সাম্রাজ্যই আয়তনের দিক থেকে সুবিশাল ছিল। [2] উভয় সাম্রাজ্যেরই প্রকৃতি ছিল বংশানুক্রমিক রাজতান্ত্রিক। [3] উভয় সাম্রাজ্যেই স্থাপত্য, শিল্পকলা ও জ্ঞানবিজ্ঞানের উন্নতি ঘটেছিল।


মৌর্যবংশ ৩২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মগধের সিংহাসনে বসে এবং ১৮৭ (মতান্তরে ১৮৫) খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই বংশের পতন ঘটে।


ম্যাসিডনের দুজন শ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যবাদী শাসক হলেন দ্বিতীয় ফিলিপ ও তৃতীয় আলেকজান্ডার।


ক্যারানাস ম্যাসিডনীয় রাজ্যটি প্রতিষ্ঠা করেন। ম্যাসিডনীয়ার প্রথম রাজধানী ছিল পেল্লা।


গ্রিক বীর তৃতীয় আলেকজান্ডার উত্তর-পশ্চিম ভারতের সিন্ধু ও পাঞ্জাব অঞ্চলে গ্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।


মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য সিন্ধু ও পাঞ্জাব থেকে গ্রিকদের বিতাড়িত করেন।


সম্রাট অশােক কলিঙ্গ প্রদেশটি মগধের অন্তর্ভুক্ত করেন। কলিঙ্গের রাজধানী ছিল তােষালী।


সিংহলে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে অশােক নিজ পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রাকে পাঠান।


৩৩৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এথেন্স-সহ কয়েকটি গ্রিক নগর রাষ্ট্র ও ম্যাসিডনের সম্রাট দ্বিতীয় ফিলিপের মধ্যে চেরােনিয়ার যুদ্ধ হয়েছিল।


ঝিলাম বা হিদাসপিসের যুদ্ধ ৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রাজা পুরু ও তৃতীয় আলেকজান্ডারের মধ্যে হয়েছিল।


৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ব্যাবিলনে আলেকজান্ডারের মৃত্যু হয়।


মৌর্ষযুগের উল্লেখযােগ্য কয়েকটি বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল তক্ষশিলা, চম্পা, পাটলিপুত্র, বারাপসী, কোশাম্বী প্রভৃতি।


মৌর্যযুগে ভারতে সাতটি জাতির অস্তিত্ব ছিল বলে মেগাস্থিনিস উল্লেখ করেছেন। এই জাতিগুলি হল- দার্শনিক, সৈনিক, পরিদর্শক, কৃষক, শিল্পী, সভাপতি ও পশুপালক।


ম্যাসিডনীয় সাম্রাজ্যের কয়েকজন জ্যোতির্বিদ হলেন এরিস্টারকাস, হিপার্কাস।


ম্যাসিডনীয় সাম্রাজ্যের দুজন উল্লেখযােগ্য বিজ্ঞানী ছিলেন ইউক্লিড ও আর্কিমিডিস।


মেগাস্থিনিস ছিলেন গ্রিক রাজা সেলুকাসের দূত। মেগাস্থিনিস ৩০৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ভারতে আসেন।


সর্বশেষ মৌর্য সম্রাট বৃহদ্রথকে হত্যা করে তার মন্ত্রী পুষ্যমিত্র শুঙ্গ ১৮৭ (মতান্তরে ১৮৫) খ্রিস্টপূর্বাব্দে মগধের সিংহাসনে বসলে মৌর্যবংশের পতন ঘটে।


প্রাচীন গ্রিসে পরস্পর-বিরােধী এথেন্সের নেতৃত্বাধীন জোট ও স্পার্টার নেতৃত্বাধীন পেলােপনেসীয় লিগের মধ্যে পেলােপনেসীয় যুদ্ধ (৪১৩-৪০৪ খ্রিস্টপূর্ব) হয়।


ইউরােপে ম্যাসিডনীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর এই সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী হিসেবে সেখানে পবিত্র রােমান সাম্রাজ্যের উত্থান ঘটে। প্রাচীন যুগের সমাপ্তিকাল পর্যন্ত পশ্চিম রােমান সাম্রাজ্যের এবং মধ্যযুগের সমাপ্তিকাল পর্যন্ত পূর্ব রােমান সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল।


৭৫৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ইটালির টাইবার নদীর উপকূলে রােম নগরীর প্রতিষ্ঠা হয়।


সম্রাট কনস্টানটাইন ৩৩০ খ্রিস্টাব্দে বাইজানটিয়াম বা কনস্ট্যান্টিনােপল-এ রােমান সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন।


পশ্চিম রােমান সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল রােম এবং পূর্ব রােমান সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল বাইজানটিয়াম বা কনস্ট্যান্টিনােপল।


রােমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার রােমান সাম্রাজ্যের সর্বাধিক সম্প্রসারণ ঘটান।


সম্রাট জুলিয়াস সিজার ৫৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কনসাল পদ লাভ করেন।


8৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রােমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার ও মিশরের রাজা ত্রয়ােদশ টলেমির মধ্যে নীলনদের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।


“আমি এলাম, আমি দেখলাম, আমি জয় করলাম”- উক্তিটি রােমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের।


রােমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার রােমান পঞ্জিকা ও ক্যালেন্ডারের সংস্কার করেন।


ব্রুটাস নামে জনৈক আততায়ী ৪৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জুলিয়াস সিজারকে হত্যা করেন।


রােমান সম্রাট অক্টাভিয়াস বা অগাস্টাস সিজারের নাম অনুসারে ইংরেজি আগস্ট মাসের নামকরণ হয়। অগাস্টাস সিজার ২৭ থেকে ১৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন।


রােমান সমাজে জনগণ তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল। যথা- [1] প্যাট্রিসিয়ান বা অভিজাত শ্রেণি, [2) প্লেবিয়ান বা সাধারণ মানুষ ও [3] ব্রীতদাস।


৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে স্পারটাকাসের নেতৃত্ব্ব রােমে সবচেয়ে বড়াে দাসবিদ্রোহটি সংঘটিত হয়।


মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের (১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) পরবর্তীকালে ভারতের কুষাণ, সাতবাহনসহ ছােটো বড়াে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক রাজ্যের উত্থান ঘটে। কুষাণ ও সাতবাহন রাজ্যের পতনের পরবর্তীকালে ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে শ্ৰীপুপ্তের নেতৃত্বে গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়


গুপ্তযুগের সমাজে মানুষ চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল। যথা— ব্রাত্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র।


উচ্চবর্ণের পুরুষ ও নিম্নবর্ণের নারীর মধ্যে সংঘটিত বিবাহরীতি ‘অনুলােম’ বিবাহরীতি নামে পরিচিত।


উচ্চবর্গের নারী ও নিম্নবর্ণের পুরুষের মধ্যে সংঘটিত বিবাহ প্রতিলােম’ বিবাহরীতি নামে পরিচিত।


গুপ্তযুগে ব্রাহ্মণ নারী ও শূদ্র পুরুষের বিবাহজাত সন্তান ‘চণ্ডাল’ নামে পরিচিত হত।


গুপ্তযুগে শাসকগণ পুণ্য অর্জনের জন্য ব্রাহ্মণ, পুরােহিত, মন্দির, বিহার প্রভৃতি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিষ্কর জমি দান করতেন। এই প্রথা অগ্রহার বা ব্রহ্মদেয় প্রথা নামে পরিচিত।


সমুদ্রগুপ্ত উত্তর ভারত জয়ের ক্ষেত্রে যুদ্ধনীতি এবং উন্মূল্য নীতি গ্রহণ করেন। তিনি দক্ষিণ ভারত জয়ের ক্ষেত্রে যুদ্ধনীতি ছাড়াও গ্রহণ পরিমােক্ষনীতি অর্থাৎ বন্দি ও মুক্তি নীতি নেন। তিনি এক্ষেত্রে সবশেষে অনুগ্রহ নীতি মেনে পরাজিত রাজাদের রাজ্য ফিরিয়ে দেন।


প্রাচীন রােমের আদি বাসিন্দারা ছিলেন প্যাট্রিসিয়ান বা অভিজাত শ্রেণি। রােমের সাধারণ মানুষরা অর্থাৎ দরিদ্র কৃষক শ্রমিক মধ্যবিত্ত, সেনা, ব্যবসায়িক প্রমুখরা ছিলেন প্লেবিয়ান। এ ছাড়াও রােমের সমাজ ব্যবস্থা একটা বড়াে অংশের মানুষ ছিল ক্রীতদাস।


গুপ্ত সমাজ চতুরাশ্রম প্রথায় ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শুদ্র এই চারটি বর্ণে বিভক্ত ছিল। এ ছাড়াও গুপ্তযুগে পঞ্চম জাতি নামে এক অস্পৃশ্য জাতির অস্তিত্ব ছিল। সমাজে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় ছিল সর্বোচ্চ মর্যাদা ও প্রতিপত্তির অধিকারী।


রােমান সমাজব্যবস্থা ছিল শ্রেণিবিভক্ত। রোমান সমাজব্যবস্থায় জনগণ প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল। [1] প্যাট্রিসিয়ান বা অভিজাত শ্রেণি, [2] প্লেবিয়ান বা সাধারণ নানা স্তরভেদ ছিল। গুপ্তযুগের সমাজ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র এই চারভাগে বিভক্ত ছিল।


রােমান সাম্রাজ্য ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘস্থায়ী সাম্রাজ্য। এই সাম্রাজ্য প্রায় ৮০০ বছর অস্তিত্বশীল ছিল। অপরদিকে রােমান সাম্রাজ্যের তুলনায় গুপ্ত সাম্রাজ্যের স্থায়ীত্ব ছিল অনেক কম। গুপ্ত সাম্রাজ্য ২০০ বছরের কিছু বেশি সময় স্থায়ী হয়েছিল।


প্রাচীন রােমের শাসক অগাস্টাস রােমে এক শান্তি ও সমৃদ্ধির যুগের সূচনা করেন। এই শান্তি ও সমৃদ্ধির যুগ Pax Romana নামে পরিচিত।


শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রণীত প্রাচীন রােমান আইন প্যাক্স রােমানা (Pax Romana) নামে পরিচিত ছিল। মধ্যযুগের ইউরােপের সমাজ ও রাষ্ট্রের পুনর্গঠনে এই আইনকানুনগুলি। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। এই আইনগুলির ভিত্তিতে সম্রাট জাস্টিনিয়ান পরে প্রায় ৪০০০ আইন সংবলিত ‘জাস্টিনিয়ান কোড নামে এক আইনবিধি রচনা করেন।


প্রথম চন্দ্রগুপ্ত লিচ্ছবি রাজকন্যা কুমারদেবীকে বিবাহ করেন এবং ‘মহারাজাধিরাজ উপাধি গ্রহণ করেন।


সমুদ্রগুপ্ত উত্তর ভারতে ৯ জন এবং দক্ষিণ ভারতে ১২ জন রাজাকে পরাজিত করেন।


সমুদ্রগুপ্ত দক্ষিণ ভারতের ১২ জন রাজাকে পরাজিত করে তাদের রাজ্য দখল করেও পরাজিত রাজাদের রাজ্য ফিরিয়ে দেন। তার এই নীতি গ্রহণ পরিমােক্ষ নীতি নামে পরিচিত।


সমুদ্রগুপ্ত সীমান্তবর্তী ৫টি রাজ্য দখল করেন। এগুলি হল- [1] নেপাল, [2] কর্তৃপুর, [3] সমতট, [4] দাভক ও [5] কামরূপ।


ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তকে ভারতের নেপােলিয়ন বলে অভিহিত করেছেন।


লাতিন ভাষা থেকে ইতালীয়, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, রােমান। প্রভৃতি ভাষার উৎপত্তি ঘটে।


রােমান যুগের কয়েকজন খ্যাতনামা কবি ও সাহিত্যিক হলেন টেরেন্স, ভার্জিল, হােরাস প্রমুখ।


রােমান সাম্রাজ্যে ঢারতলা বিশিষ্ট ক্রীড়াক্ষেত্রে ৫০ হাজার দর্শক বসে গ্ল্যাডিয়েটরের যুদ্ধ, রথের দৌড় প্রভৃতি দেখতে পারত। এই ক্রীড়াক্ষেত্র অ্যাফিথিয়েটার নামে পরিচিত।


কয়েকটি উল্লেখযােগ্য রােমান স্থাপত্যকর্ম হল প্যান্থিয়ন, অ্যাফিথিয়েটার বা কলােসিয়াম, ফোরাম প্রভৃতি।


রােমান যুগের কয়েকজন ভাস্কর ছিলেন আর্কিসিলােয়াস, বােথােস, স্টেটফানােস, জিনোড্রাউস প্রমুখ।


রােমান যুগের কয়েকজন উল্লেখযােগ্য চিত্রকর ছিলেন ডেমিট্রিয়াস, টিমােম্যাচোস প্রমুখ।


প্রাচীন রােমের প্রধান দেবদেবী হলেন অ্যাপােলাে, ডায়ানা, জুপিটার, মার্স, মারকিউরি, মিনার্ভা, ভেনাস প্রমুখ।


৩১২ (মতান্তরে ৩১৩) খ্রিস্টাব্দে রােমান সম্রাট কনস্টানটাইন প্রথম খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন।


রােমান সম্রাট প্রথম থিওডােসিয়াস ৩৯১ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টান ধর্মকে বৈধধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেন।


রােমান যুগে ক্রীতদাস ও ক্ষুধার্ত পশুর মধ্যে সংঘটিত নিষ্ঠুর লড়াই গ্ল্যাডিয়েটারের লড়াই নামে পরিচিত ছিল।


ভারতে গুপ্ত যুগকে সুবর্ণ যুগ বলা হয়।


গুপ্ত যুগের কয়েকজন বিখ্যাত পণ্ডিত ও দার্শনিক হলেন ঈশ্বরকৃয়, বসুন্ধু, অসঙ্গ, গৌরপাদ, চন্দ্রগােমিন, বৌধায়ণ, দিন্নগাচার্য, ভ্তৃহরি, পাণিনি, পতঞ্জলি প্রমুখ।


বিশাখদত্ত ‘মুদ্রারাক্ষস এবং বিস্নুশৰ্মা পঞ্চতন্ত্র” রচনা করেন।


গুপ্তযুগের উল্লেখযােগ্য কয়েকটি স্থাপত্য নিদর্শন হল মণিনাগের মন্দির, কোটেশ্বর মন্দির, তিগােয়ার বিষ্ণুমন্দির, ভূমারের শিবমন্দির, কুবীরের পার্বতীমন্দির, দেওগড়ের দশাবতার মন্দির, সাঁচী ও বুদ্ধগয়ার স্থূপ ইত্যাদি।


৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম রােমান সাম্রাজ্যের এবং ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব রােমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।


কনস্ট্যান্টিনােপলের বর্তমান নাম ইস্তানবুল।


ঐতিহাসিক ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার গুপ্তসম্রাট স্কন্দগুপ্তকে ভারতের রক্ষাকারী বলেছেন।


১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পাণিপথের প্রথম যুদ্ধে দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লােদিকে পরাজিত করে বাবর দিল্লিতে মােগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।


ওসমান ১২৯৯ খ্রিস্টাব্দে এশিয়ার উত্তর-পশ্চিম অংশে আনাতােলিয়ায় অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে অটোমান তুর্কি সুলতানরা তুরস্ক ও তুরস্কের বাইরে এক সুবৃহৎ সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে সক্ষম হন।


খানুয়ার যুদ্ধ ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে বাবর ও সংগ্রাম সিংহের মধ্যে হয়েছিল।


পাণিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে মােগল সম্রাট আকবর ও আফগান যােদ্ধা হিমুর মধ্যে হয়েছিল।


১২৮৫ খ্রিস্টাব্দে ওসমান তুর্কির আঙ্কারা থেকে কনস্ট্যান্টিনােপল পর্যন্ত সাম্রাজ্য স্থাপন করেন। তাঁর নাম অনুসারেই তাঁর বংশের লােকেরা অটোমান তুর্কি নামে পরিচিত হন|প্রসঙ্গত, আরবি শব্দ উথমান থেকে ওসমান শব্দটি এসেছে, যার ইংরেজি সংস্করণ হল অটোমান।


অটোমান শাসক সুলতান সুলেমান ‘আইন-প্রণেতা নামে পরিচিত ছিলেন।


মােগল সম্রাট শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করান। তাজমহলের প্রধান স্থপতি ছিলেন ওস্তাদ ঈশা খাঁ।


তুজুক কথার অর্থ হল নিয়মকানুন।


বাবর ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পাণিপথের প্রথম যুদ্ধে দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লােদিকে পরাজিত ও নিহত করেন। তিনি দিল্লি ও আগ্রা দখল করে ‘বাদশাহ’ উপাধি গ্রহণ করেন। এভাবে বাবরের নেতৃত্বে ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতে মােগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয়।


মােগল আমলের কয়েকজন চিত্রকর হলেন তারাচাদ, জগন্নাথ, বসাবন, কে, যশােবন্ত আব্দুল সামাদ, সৈয়দ আলি, ফারুক বেগ প্রমুখ।


তােতাপাখি ফারসি কবিদের অত্যন্ত প্রিয় ছিল। কারণ তারা বুদ্ধিমান হয়, কথা বলতে পারে এবং চিনি খেতে পছন্দ করে বলে তাদের স্বর সুমিষ্ট হয়। এইজন্যই আমির খসরুকে ‘হিন্দুস্থানের তােতাপাখি’ বলা হয়।


মােগল যুগের কয়েকজন সংগীত শিল্পী ছিলেন তানসেন, রামদাস, সুরদাস, হরিদাস, বাজবাহাদুর, বৈজু বাওরা প্রমুখ।


তুর্কি ভাষায় রচিত প্রথম উপন্যাসটি হল তাসুক-উ তালাত ভি ফিৎনাৎ। এটি রচনা করেন সেমসেটিন সামি।


আধুনিক তুর্কি সাহিত্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তেভফিক ফিকরেট।


অটোমান সাম্রাজ্যের বিখ্যাত হস্তশিল্পী বিশারদ হলেন ইয়াকুত আল-মুসতাসিমি।


অটোমান যুগের শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য নিদর্শন হল সুলেমানীয় মসজিদ। এর প্রধান স্থপতি ছিলেন মিরার সিনান।


১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মােগল সাম্রাজ্যের এবং ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে অটোমান সাম্রাজ্যের পতন হয়।