বিভিন্ন পথে বিরোধের অবসান ঘটে: মতভেদ বা বিরোধ এবং বিরোধের মীমাংসা এই হল রাজনীতির উপজীব্য বিষয়। কিন্তু, অধ্যাপক বলের অভিমত অনুসারে বিরোধ আপসহীন হতে পারে না। যে সমস্যাকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হয় তার সমাধান হয়ে গেলে বিরোধ আর থাকে না। অর্থাৎ বিরোধের পরিস্থিতি বা অবস্থা আবহমানকাল অব্যাহত থাকে না। তার অবসান ঘটে। এবং সরকারী পর্যায়ে বিরোধ অবসানের বিভিন্ন উপায়ের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। বল তাঁর Modern Politics and Government শীর্ষক গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন: “At public levels there are various means of reconciling politi cal conflict.” এবং তিনি রাজনীতিক বিরোধ নিরসনের ক্ষেত্রে সরকারী স্তরে কার্যকর হয় এমন কতকগুলি উপায়ের উল্লেখ করেছেন। এই উপায় বা মাধ্যমগুলি হল নির্বাচন, আইনসভার বিতর্ক, রাজনীতিক নেতার অপসারণ, বিচার-বিভাগীয় সিদ্ধান্ত, স্বার্থ-গোষ্ঠীসমূহের ভূমিকা প্রভৃতি।

নির্বাচন: নির্বাচন রাজনীতিক বিরোধ দূরীকরণের ব্যাপারে একটি উল্লেখযোগ্য উপায় হিসাবে বিবেচিত হয়। অধিকাংশ দেশেই একাধিক রাজনীতিক দলের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিক দলগুলির মধ্যে বিরোধ থাকে। নির্বাচনের মাধ্যমে এই বিরোধের সমাধান সম্ভব। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিক দলগুলির মধ্যে কোন দল বা ব্যক্তি ক্ষমতাসীন হবেন এবং সরকারী নীতি ও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিজেদের কর্মসূচীকে কার্যকর করবেন তা নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে নির্ধারণ করা যাবে। বল বলেছেন: “An election decides which of the competing parties or individuals may translate their programme into public policy.”

আইনসভা ও তার কমিটিসমূহের বিতর্ক: সকল আইনসভাতেই বিভিন্ন বিষয়ে নানা কমিটি থাকে। আইনসভায় এবং এই কমিটিগুলিতে আলোচ্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিতর্ক ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই সমস্ত বিতর্ক ও আলোচনায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলি আলোচ্য বিষয়ের উপর তাদের বক্তব্য ব্যক্ত করার সুযোগ পায়। তা ছাড়া জনসাধারণের স্বার্থ-বিরোধী আইনকে ভোটাভুটির মাধ্যমে পরাস্ত ও প্রতিহত করতে পারে। এইভাবে আইনসভা ও তার কমিটিসমূহের আলোচনা ও বিতর্ক রাজনীতিক বিরোধ দূরীকরণে সাহায্য করে। বল বলেছেন: “A debate in the legislature or in a legislative committee allows opponents to express their views and provides an opportunity to try defeat unwelcome legislation.”

বিতর্কিত নেতার অপসারণ: অনেক সময় কোন রাজনীতিক দলের নেতা বা ক্যাবিনেট মন্ত্রীর অনুসৃত নীতি ও কর্মসূচী সংশ্লিষ্ট দলের ভিতরে বা মন্ত্রিসভার মধ্যে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করে। যা কালক্রমে বিদ্রোহের রূপ ধারণ করে। তখন বিতর্কিত নেতাকে পদত্যাগ করতে হতে পারে বা তিনি পদচ্যুত হতে পারেন। এবং তারপর বিতর্কিত নীতি ও কর্মসূচীর পরিবর্তন ঘটে ও বিরোধের অবসান হয়। বল বলেছেন: “A revolt in a political party or a cabinet crisis may force the resignation of a particular leader and a reversal of his policies.”

স্বার্থগোষ্ঠী: সাংবিধানিক আদালতও বিরোধ মীমাংসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাংবিধানিক আদালত আইনসভা কর্তৃক প্রণীত যে কোন আইন বা সরকার কর্তৃক গৃহীত যে-কোন সিদ্ধান্তের সাংবিধানিকতা বিচার-বিবেচনা করতে পারে। এবং বিচার্য আইন বা সিদ্ধান্ত অ-সাংবিধানিক প্রতিপন্ন বলে তা বাতিল করে দিতে পারে। এভাবেও রাজনীতিক বিরোধের অবসান হয়। বল বলেছেন: “A constitutional court may have the authority to declare certain government actions or legislative enactments unconstitutional.”

বিরোধ মীমাংসার উপায়সমূহের ব্যাপারে সতর্কতা: দেশের রাজনীতিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠী থাকে। উদাহরণ হিসাবে বণিক সংঘ, শ্রমিক সংগঠন, শিক্ষক সমিতি প্রভৃতির কথা বলা যায়। এই সমস্ত স্বার্থগোষ্ঠীর বিভিন্ন রাজনীতিক দলের সঙ্গেও যোগাযোগ থাকে। এই স্বার্থগোষ্ঠীগুলি অনেক সময় চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর ভূমিকা পালন করে থাকে। সরকারের নীতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গোষ্ঠীর দাবি-দাওয়ার মধ্যে ভারসাম্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে, প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর বিরোধী দাবী খণ্ডনের ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীগুলি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এবং এইভাবে স্বার্থগোষ্ঠীগুলিও রাজনীতিক বিরোধ নিরসনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। বল বলেছেন: “Pressure groups, such as business organisation or trade unions, may effect a change in government policy, or seek to balance or defeat the counter-claims of opposing groups by aims for closer relations with political leaders.”

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির তুলনা: উপরিউক্ত রাজনীতিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়াসমূহের মাধ্যমে একটা বিশেষ পরিকাঠামোর সৃষ্টি হয়। সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামোর মধ্যে ও সাহায্যে বিদ্যমান রাজনীতিক ব্যবস্থার মধ্যে বর্তমান বিভিন্ন রাজনীতিক বিরোধকে সুনির্দিষ্ট পথে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং বিরোধের অবসান ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বল সংশ্লিষ্ট সকলকে একটি বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। রাজনীতিক বিরোধ মীমাংসার ক্ষেত্রে উপরিউক্ত উপায়-পদ্ধতিগুলিই সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য, এ বিষয়ে সকলের মধ্যে সহমত থাকা দরকার। এই উপায় পদ্ধতিতে অংশগ্রহণের ব্যাপারে সকল গোষ্ঠীর সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার। এবং এ বিষয়ে প্রত্যেক গোষ্ঠীর যে যার মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার। কোন কোন গোষ্ঠীর মনে যদি এই ধারণা জন্মায় যে বিশেষ কোন একটি রাজনীতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের রাজনীতিক দাবি-দাওয়াকে নস্যাৎ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে অশান্তির আশংকা আছে। কারণ তখন সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী বা গোষ্ঠীগুলি স্বীকৃত রাজনীতিক পন্থা-পদ্ধতির বাইরে গিয়ে উদ্দেশ্য সিদ্ধির ব্যাপারে উদ্যোগী হবে। তারা বে-আইনী ও অ-সাংবিধানিক পথে পা বাড়াবে। বিদ্যমান রাজনীতিক ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য তারা হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনের সামিল হবে। সর্বোপরি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের আশংকাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বল বলেছেন: “However, there must be agreement that these are the most acceptable means of accommodating disagreements. If some groups are barred from participating, or feel that a particular political institutional framework is a means of frustrating their political demands, they may seek means of effecting change by acting outside the recognised political channels, illegally or unconstitutionally, and attempt to provoke violence, or seize power by a coup d’etat.”

বে-সরকারী উদ্যোগে রাজনীতির বিরোধের নিষ্পত্তি: রাজনীতিক বিরোধ মীমাংসার উপায়-পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনার প্রাক্কালে বল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনার অবতারণা করেছেন। এবং এ ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর অভিমত অনুসারে আন্তর্জাতিক রাজনীতির সঙ্গে তুলনামূলক বিচারে জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে অধিক স্থায়িত্ব পরিলক্ষিত হয়। এর কারণ বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, জাতীয় রাজনীতিতে বিদ্যমান রাজনীতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে কাজ করার আন্তরিক আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। তা ছাড়া জাতীয় রাজনীতিতে বিদ্যমান রাজনীতিক প্রক্রিয়াকে আইনসঙ্গত বলে স্বীকার করা হয়। অপরদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে এর অভাব আছে। রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক অনেক ক্ষেত্রেই স্বৈরতান্ত্রিক। তাছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসার ক্ষেত্রে সাফল্যের অভাবও আশাহত করে। আন্তর্জাতিক স্তরে বিরোধ মীমাংসার ক্ষেত্রে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ব্যর্থতা এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসাবে উল্লেখযোগ্য। এ প্রসঙ্গে বল মন্তব্য করেছেন: “This difference of course, partly stems from reasons of historical development and from the inability to impose sanctions, short of war, at international level.”

রাজনীতিক বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বল রাজনীতিক প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায় পদ্ধতির উপর মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপের পক্ষপাতী নন। নির্বাচন, ক্যাবিনেট মিটিং, সংসদীয় বিতর্ক প্রভৃতি সরকারী রাজনীতিক প্রতিষ্ঠানই এ ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা নয়। রাজনীতিক বিরোধ নিরসনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বে-সরকারী উদ্যোগের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনস্বীকার্য। বে-সরকারী স্তরে বিভিন্ন উপায়-পদ্ধতির মাধ্যমে রাজনীতিক বিরোধের মীমাংসা হতে পারে এবং হয়ও। এই সমস্ত পন্থা পদ্ধতি সরকারী বিচারে আইনানুমোদিত নয়, কিন্তু কার্যকর ও অর্থবহ। এ প্রসঙ্গে বল বলেছেন: “The reconciliation of conflict may be achieved at various levels, which are accepted but no formalised. Adhoc arrangements may equally be a necessary part of the political process.” বে সরকারী উদ্যোগে রাজনীতিক বিরোধ নিরসনের দৃষ্টান্ত হিসাবে বল উইলিয়ামস্ (T. H. Williams)-এর Huey Long শীর্ষক গ্রন্থ থেকে একটি উদাহরণ উল্লেখ করেছেন। উল্লিখিত উদাহরণটি নিম্নরূপ। ১৯২০ সালে লুইসিয়ানার গভর্নর পার্কার নির্বাচনী প্রচারের প্রাক্কালে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন যে ‘Standard Oil কোম্পানীর মত বে-সরকারী কোম্পানিগুলির উপর তিনি কর আরোপ করবেন। অল্প কিছু কর দিতে রাজি হওয়ার জন্য তিনি বে-সরকারী কোম্পানীগুলিকে বললেন। কিন্তু তারা রাজী হল না। তখন পার্কার এই মর্মে ভয় দেখিয়ে চাপ সৃষ্টি করলেন যে আইনসভার মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করে তিনি সামান্য কিছু করবে সরকারী কোম্পানীগুলির উপর আরোপ করবেন। এই চাপ সৃষ্টিতে কাজ হল। বে-সরকারী কোম্পানীগুলি পার্কারের কাছে নতি স্বীকার করুন। বিনিময়ে তাদের পার্কার প্রতিশ্রুতি দিলেন যে ভবিষ্যতে এই করের হার বৃদ্ধি করা হবে না। এমনকি পার্কার বড় বড় বেসরকারী কোম্পানিগুলির প্রতিনিধিদের সম্ভাব্য আইনটির খসড়া প্রস্তুত করার সুযোগ দিলেন। কিন্তু কোম্পানীগুলির সঙ্গে পার্কারের এই ‘ভদ্রলোকের চুক্তি মেনে নিতে আইনসভা অস্বীকার করল। আইনসভা অধিক হারে কর আরোপের পক্ষপাতী ছিল। পার্কার তাঁর বাড়িতে আইনসভার নেতৃবর্গ এবং কোম্পানীর প্রতিনিধিদের এক বৈঠকের ব্যবস্থা করলেন। বৈঠকে বিভিন্ন ছাড় ও সমঝোতার প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবগুলি গৃহীত হয়। এ প্রসঙ্গে উইলিয়ামস্ মন্তব্য করেছেন: “Every party to the controversy got something and everyone seemed satisfied.” উপরিউক্ত উদাহরণ থেকে স্পষ্টত প্রতিপন্ন হয় যে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বা সরকারের প্রতিনিধিরাও রাজনীতিক বিরোধের মীমাংসার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন।

রাজনীতি মূল্যমান-নিরপেক্ষ: বলের অভিমত অনুসারে রাজনীতি নিজে মূল্যমান-নিরপেক্ষ। রাজনীতিকে ভাল বা মন্দ বলা যায় না। নিরপেক্ষভাবে রাজনীতি পরিচালিত হয়ে থাকে। কোন কোন রাজনীতিবিদকে বা কোন বিষয়ে উদ্দেশ্য সিদ্ধির রাজনীতিক উপায়কে অপছন্দ করা যায়; কিন্তু রাজনীতি হল মূল্যমান-নিরপেক্ষ। তাঁর মতানুসারে রাজনীতিক কার্যাবলী বলতে মূলত বোঝায় মতানৈক্য নিরসনের উপায়কে। বল বলেছেন: “Political activity is simply a means of reconciling differences. In itself it is neither good nor bad. Particular politicians or political methods of achieving certain goods may be disliked, but politics itself is neutral.” বল এ ক্ষেত্রে রাজনীতিক কার্যাবলী প্রসঙ্গে উদারনীতিক মতবাদগ্রহণ করার কথা বলেননি। উদারনীতিক মতবাদ অনুসারে সরকার হল নিরপেক্ষ। সমাজের বিভিন্ন ও পরস্পর-বিরোধী স্বার্থসমূহের মধ্যে সরকার কেবল মধ্যস্থতা করে। পরস্পর-বিরোধী বহু ও বিভিন্ন স্বার্থকে নিয়ে সরকার গঠিত হয়। তবে বিশেষ একটি স্বার্থের দ্বারা সরকার প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। বল এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন: “Certainly governments generate interests of their own, even if it is simply that of preserving the status quo.”

রাজনীতিক কার্যাবলী সর্বজনীন: বলের মতানুসারে সকল ধরনের সরকারের ক্ষেত্রে রাজনীতিক কার্যাবলীর ধারণা প্রযোজ্য। অর্থাৎ রাজনীতিক কার্যাবলী হল এমন একটি বিষয় যা সর্বজনীন। বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বল বলেছেন যে, বৈচিত্র্যের ভিত্তিতেই রাজনীতিক কার্যাবলীর সৃষ্টি হয়। এই বৈচিত্র্য সূত্রেই মতপার্থক্য ও বিরোধের সৃষ্টি হয়। রাজনীতিক কার্যাবলীর মাধ্যমে সেই বিরোধ মীমাংসার ব্যবস্থা হয়। সরকারী স্তরে স্বীকৃত বিভিন্ন রাজনীতিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনীতিক পরিকাঠামোর মধ্যে এই মীমাংসার ব্যবস্থা হয়ে থাকে। বল বলেছেন: “No political regime has succeeded in sup pressing differences, none has established a uniformity of behaviour, nor have any ended disagreement.” বলের অভিমত অনুসারে রাজনীতিক কার্যাবলীর সমাপ্তি সাধন সম্ভব নয়। এবং রাজনীতিকে উদারনীতিক স্বাধীনতাসমূহের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলাও উচিত হবে না। সমাজের ব্যক্তিবর্গের অধিকারসমূহের স্বীকৃতি অথবা সমাজতান্ত্রিক বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থায় নাগরিক অধিকারের অস্বীকৃতি রাজনীতির ধারণার অন্তর্ভুক্ত নয়। পরিশেষে বলের অভিমত প্রণিধানযোগ্য। তিনি মন্তব্য করেছেন: “Politics is … a universal activity. The propaganda myths that propose the end of conflict with the realisation of certain social and economic changes should not be accepted as the actual realisation of those aims.”