বাঙালির বিজ্ঞানভাবনা ও বিজ্ঞানচর্চার সূচনা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির পরিমণ্ডলেই ঘটেছিল। ঠাকুর পরিবার থেকে প্রকাশিত বালক, ভারতী, সাধনা পত্রপত্রিকাতে বিজ্ঞান বিষয়ক বহু রচনা প্রকাশিত হত। কুসংস্কার দূরীকরণে দ্বারকানাথ ঠাকুরের ভূমিকা, চিকিৎসা শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর দান, শবব্যবচ্ছেদ প্রবর্তনে তার প্রচেষ্টা, ফিবার হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা ইতিহাস-সমর্থিত। দ্বারকানাথের জ্যেষ্ঠপুত্র মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের প্রিয় বিষয় ছিল জ্যোতির্বিদ্যা। বিশ্বপরিচয় গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ পিতার এই বিশেষ দিকটির প্রতি আলােকপাত করেছেন। স্বর্ণকুমারী দেবীর জ্যোতিষশিক্ষাও দেবেন্দ্রনাথের হাত ধরে। তার পৃথিবী (১২৮৯ বঙ্গাব্দ) গ্রন্থে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভূমিকাই মুখ্য। জ্যোতির্বিজ্ঞান ছাড়াও ভূতত্ত্বে, বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে দেবেন্দ্রনাথের প্রশ্নাতীত পাণ্ডিত্য ছিল। জ্ঞান ও ধর্মের উন্নতি বইতে ভূতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, জীবতত্ত্ব বিষয়ে তার সেই অধিকারেরই প্রতিফলন লক্ষ করা যায়।
দ্বারকানাথের আর-এক পুত্র গিরীন্দ্রনাথও বিজ্ঞানচর্চা করেন। নিজের ল্যাবরেটরিতেই তিনি অনেক রাসায়নিক বিশ্লেষণ ও পরীক্ষা করতেন। দেবেন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠপুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ গণিতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন, তিনি গণিত বিষয়ে বহু স্মরণীয় প্রবন্ধ রচনা করেন। মহেন্দ্রলাল সরকার ইন্ডিয়ান সায়েন্স অ্যাসােসিয়েশন প্রতিষ্ঠায় তৎপর হলে দ্বিজেন্দ্রনাথ তাঁকে অর্থসাহায্য করেন। রবীন্দ্রনাথের সেজদা হেমেন্দ্রনাথ চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজে কিছুদিন অধ্যয়ন করেন। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের স্থূল মর্ম তাঁর লেখা বই। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ফ্রেনলজি বা শিরােমিতিবিদ্যার চর্চা করতেন
রবীন্দ্রনাথ ব্যতীত ঠাকুরবাড়ির অন্যান্য মানুষজনের বিজ্ঞানচর্চার পরিচয় দাও।
বাঙালির বিজ্ঞান ভাবনা ও বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে অক্ষয়কুমার দত্তের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান আলােচনা করাে |
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদানন্দ রায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার কীটপতঙ্গ গ্রন্থের রচয়িতা কে? বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে তার অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে চারুচন্দ্র ভট্টাচার্যের অবদান আলােচনা করাে।
বাঙালির ক্রীড়া সংস্কৃতির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। প্রত্যেক ধরনের খেলার নাম উল্লেখ করাে।
বাঙালির কুস্তিচর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
অথবা, আমাদের মহাকাব্যে কুস্তি কী নামে পরিচিত ছিল? সংক্ষেপে বাঙালির কুস্তিচর্চার পরিচয় দাও।
বাংলার কুস্তির ইতিহাসে গােবর গুহের অবদান আলোচনা করো।
বাঙালির ক্রীড়া ঐতিহ্যে ফুটবলের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছিল? এই পর্বের ফুটবলের সঙ্গে কোন্ বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের নাম জড়িয়ে আছে? বাংলার ফুটবলের কোন্ ঘটনা, কীভাবে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে উজ্জীবিত করেছিল?
ফুটবল খেলায় বাঙালির অংশগ্রহণ ও সাফল্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
অথবা, বাঙালির ফুটবল চর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
Leave a comment